গুলশান ও বনানী এলাকার পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সমন্বিতভাবে কাজ করবে ঢাকা ওয়াসা, রাজউক এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বনানী লেকের পাড়ে কড়াইল বস্তি সংলগ্ন ডিএনসিসি নির্মিত সুষ্ঠু পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট পরিদর্শনকালে এ তথ্য জানান ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো.

কামরুজ্জামান।

তিনি জানান, বনানী ১১ নম্বর সড়কের ব্রিজ থেকে কড়াইল বস্তির দিকে লেকের পাড়ের রাস্তাটি রাজউকের সম্পত্তি। রাজউক সেখানে ড্রেনেজ নির্মাণের জন্য ডিএনসিসিকে অনুরোধ করেছে। ডিএনসিসি দ্রুত সময়ের মধ্যেই ওই ড্রেনেজ নির্মাণ করবে।

আরো পড়ুন:

সচিবালয়ের নিরাপত্তায় বসছে এআই নজরদারি

ভর্তিতে বিড়ম্বনা এড়াতে বিশেষ উদ্যোগ ঢাবি প্রশাসনের

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী আরো বলেন, ইউনিসেফের সহায়তায় ডিএনসিসি ইতোমধ্যে তিনটি সুষ্ঠু পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট নির্মাণ করেছে, যা চলতি মাসেই পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে। কোনো রাসায়নিক পদার্থ ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে কাজ করবে এই প্রযুক্তি। পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সফল হলে ডিএনসিসির অন্যান্য এলাকাতেও এই ধরনের প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে।

তিনি বাড়িওয়ালাদের প্রতি অনুরোধ জানান, বাড়ির পয়ঃবর্জ্য সরাসরি সিটি করপোরেশনের স্টর্ম ড্রেনে না দেওয়ার জন্য। যেসব এলাকায় ওয়াসার পয়ঃবর্জ্য নিষ্কাশন নেটওয়ার্ক নেই, সেখানে বাড়িতেই পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট স্থাপনের পরামর্শ দেন তিনি।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম সামসুল আলম, ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা এবং গুলশান-বনানী সোসাইটির প্রতিনিধিরা।

ঢাকা/এএএম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এনস স ড এনস স র র জউক

এছাড়াও পড়ুন:

শুল্ক চুক্তি চূড়ান্তে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা অব্যাহত

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক চুক্তি চূড়ান্ত করতে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সর্বশেষ দুই দেশের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৮ জুন) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে দেশটির সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ নেতৃত্ব দেন।

জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলনের (ইউএনসিটিএডি) সাবেক বাণিজ্য নীতি প্রধান খলিলুর রহমান বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনায় খুব ভালো অগ্রগতি হয়েছে। উভয় পক্ষই চুক্তিটি দ্রুত চূড়ান্ত করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’’ 

আরো পড়ুন:

ট্রাম্পের ক্ষমতা বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট 

খামেনির বিরুদ্ধে ট্রাম্পের বিষোদগার, আবারো হামলার হুমকি

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। ঢালাওভাবে এ শুল্ক আরোপকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যনীতিতে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। 

ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা সমস্ত পণ্যের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশসহ প্রায় ৬০টি দেশের ওপর নির্দিষ্ট হারে আরো বেশি ‘রেসিপ্রোকাল শুল্ক’ আরোপ করা হবে।

আগে বাংলাদেশি পণ্য গড়ে ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ শুল্ক দিয়ে মার্কিন বাজারে প্রবেশ করতো।

ঢাকা/হাসান/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ