সার মজুতের জন্য দুটি গুদাম নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর একটি হবে নেত্রকোনায়, অন্যটি ময়মনসিংহে। ১১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই দুই গুদাম নির্মাণের পূর্তকাজের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহে সারের গুদাম নির্মিত হচ্ছে। নেত্রকোনার গুদামটি হবে ১০ হাজার টন সার ধারণক্ষমতার। আর ময়মনসিংহেরটি হবে ২৫ হাজার টনের ধারণক্ষমতার। গুদাম দুটি তৈরি হবে ইস্পাত দিয়ে (স্টিল স্ট্রাকচারড)। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) এই দুটি গুদাম তৈরির বাস্তবায়নকারী সংস্থা।

জানা যায়, ৩৪টি গুদাম তৈরির প্রকল্পটি নেওয়া হয় ২০১৮ সালে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) এ প্রকল্প অনুমোদন পায় ওই বছরের ৪ নভেম্বর। তখন ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। জমির দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে পরে ২০২৩ সালের নভেম্বরে সংশোধনের মাধ্যমে ২৫ শতাংশ ব্যয় বাড়িয়ে ২ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা করা হয়।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বেশির ভাগ জেলায় ভূমি অধিগ্রহণের কাজটি হয়েছে। যদিও চার জেলায় তা এখনো বাকি। তবে কোনো জেলায় এখন পর্যন্ত একটি গুদামও হয়নি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৭০ শতাংশ কৃষক আইএমইডিকে জানিয়েছেন, বোরো মৌসুমে সময়মতো চাহিদা অনুযায়ী তাঁরা সার পান না। কৃষকেরা জানিয়েছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সারা দেশে প্রায় আট লাখ টন সার মজুত রাখা যাবে।

প্রকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী, যেসব জেলায় গুদাম হওয়ার কথা, সেগুলো হলো ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সিরাজগঞ্জ, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, নড়াইল, মাগুরা, খুলনা, সাতক্ষীরা, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাইবান্ধা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, রাজশাহী, নাটোর, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, ফরিদপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর।

গুদাম নির্মাণের পূর্তকাজ ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে চারটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব জমা দেয়। এর মধ্যে দুটি প্রস্তাব আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। সব প্রক্রিয়া শেষে যৌথভাবে কাজ পায় এআইএল এবং এসসিএল।

এদিকে ক্রয় কমিটিতে সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এতে ৫৮৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয় হবে। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজ পেয়েছে গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড।

ক্রয় কমিটিতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্পের পাঁচটি প্যাকেজের আওতায় পূর্তকাজের ছয়টি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ক্রয় কমিটি। এতে ১৬৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

এলএনজির দাম আরও কমেছে

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের একটি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে গণ খাতে ক্রয় বিধিমালা, ২০০৮ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক দরপত্র প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এই এলএনজি আমদানি করা হবে। এক কার্গো সমান ৩৩ লাখ ৬০ হাজার মিলিয়ন মেট্রিক ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) এলএনজি। প্রতি এমএমবিটিইউর দাম পড়ছে ১২ দশমিক ১৮ মার্কিন ডলার। গত ৭ মে ভিটল এশিয়া লিমিটেড থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ১১ দশমিক ৪৪৮৮ মার্কিন ডলার দরে এক কার্গো এবং প্রতি এমএমবিটিইউ ১১ দশমিক ৫৭৮৮ ডলার দরে আরেক কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এমএমব ট প রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

সকালেই স্বস্তির বৃষ্টি

সাত সকালেই এক পশলা বৃষ্টিতে ভিজলো ঢাকা। কালো মেঘে সকালেই সাঁঝের আবহ তৈরি হয়। বইতে শুরু করে ঝড়ো হাওয়া। এরপর কিছু স্থানে নামে স্বস্তির বৃষ্টি। 

সোমবার (১২ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া এ বৃষ্টি ঝরে আধা ঘণ্টার মতো। আজ সারা দিনই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রবিবার রাতেও সামান্য বৃষ্টি হয়। এতে তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবনে কিছুটা হলেও ফেরে স্বস্তি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সোমবার ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো, বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপামাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
মঙ্গলবার সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো, বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আগামীকাল সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে ৫২ মিলিমিটার। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডঙ্গায় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ধারের টাকায় মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে না
  • মাদারীপুর সদর হাসপাতালে দুদকের অভিযান
  • ১৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৬ প্রস্তাব অনুমোদন
  • ১ কার্গো এলএনজি ও ১ কোটি ২০ লাখ লিটার ভোজ্য তেল ক্রয়ে অনুমোদন
  • বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
  • গোপালগঞ্জে শিলাবৃষ্টি, ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা
  • ঈদুল ফিতরের বোনাস ও বকেয়া বেতনের দাবিতে বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
  • বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমবে তাপমাত্রা
  • সকালেই স্বস্তির বৃষ্টি