পুলিশ হত্যাকারী ফোর্স হতে পারে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বিষয় বোঝাতে চেয়েছে, যে অস্ত্রের গুলির ফলে নিশ্চিত মৃত্যু হয়, যেগুলো থেকে বুলেট নির্গত হয়-সেগুলো আমরা এড়িয়ে যাব। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করব। তবে আমরা এটাই মনে করি, পুলিশ ক্যান নট বি কিলার ফোর্স (পুলিশ হত্যাকারী ফোর্স হতে পারে না)।”

মঙ্গলবার (১৩ মে) মিরপুর ১৪ নম্বরে বাংলাদেশ পুলিশ ক্রিকেট ক্লাব মাঠে ‘আইজিপি কাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪-২৫’ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব বলেন।

আরো পড়ুন:

গজারিয়ায় অস্ত্র-গুলি উদ্ধার, আটক ৩

গাজীপুরে সংঘর্ষে আহত ৪, কৃষকের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন

বাহারুল আলম বলেন, “আমার কাছে বড়জোর শটগান থাকবে, এটাই স্বাভাবিক প্রত্যাশা সবার। বিশেষ জায়গাগুলোয় যেখানে ঝুঁকি থাকে বা রিভল্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বা বিদ্রোহী থাকেন যেখানে-সেসব জায়গায় আমাদের ব্যবস্থাপনাটা ভিন্ন থাকে। কিন্তু সাধারণত আমাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আমরা চেষ্টা করি যেন কোনো মারণাস্ত্র না থাকে, প্রাণঘাতী অস্ত্র না থাকে। আর এটাই সারা বিশ্বে গ্রহণযোগ্য।”

অনুষ্ঠানে বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে আইজিপি কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ক্রিকেট দল ও রানার্সআপ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ক্রিকেট দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আইজিপি।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইজ প

এছাড়াও পড়ুন:

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাবি ছাত্রদল নেতা খুন, ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হয়েছেন।

একদল দুর্বৃত্তের সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে তার ওপর হামলায় তিনি খুন হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে এবং ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চেয়ে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় সহপাঠীরা শাহরিয়ার আলমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

১৩ মামলার আসামি যুবলীগকর্মীকে হত্যা, আটক ২  

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যা, বাবা-মা গ্রেপ্তার

শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। থাকতেন এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়।

শাহরিয়ার আলমের সহপাঠী আশরাফুল ইসলাম রাফি বলেন, “রাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মুক্ত মঞ্চের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন সাম্য। এ সময় অন্য একটি বাইকের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে কথা কাটাকাটি থেকে ধস্তাধস্তি হয় তাদের মধ্যে। এক পর্যায়ে সাম্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান উরুতে আঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যায়।”

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক।

তিনি জানান, রাতে ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। তার ডান পায়ে ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় রাত ২টার দিকে ক্যাম্পাসের হলপাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন হল ঘুরে সন্ত্রাসবাদী রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই', ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে', ‘বিচার বিচার বিচার চাই, ভাই হত্যার বিচার চাই' স্লোগান দেন।।

বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ ঢাবি উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেওয়ার কথা ফেসবুকে বলছেন।

ঢাকা/সৌরভ/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ