ইন্দোনেশিয়ার বৃত্তিতে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পড়াশোনা, করুন আবেদন
Published: 14th, May 2025 GMT
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৃত্তি নিয়ে পড়ার ক্ষেত্রে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন ও ইউরোপের প্রতি বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেশি। তবে পাশাপাশি মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় প্রতি আগ্রহও লক্ষ্যণীয়। সেই ইন্দোনেশিয়ার একটি বৃত্তি হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল প্রায়োরিটি স্কলারশিপ–আইপিএস। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সম্পূর্ণ অর্থায়িত আইপিএস বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় দেশটির মুহাম্মাদিয়াহ ইউনিভার্সিটি অব সুরাকার্তায় (ইউএমএস) পড়াশোনার সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। বৃত্তি প্রোগ্রামটি আগামী সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হবে।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে আইটি প্রশিক্ষণে করুন আবেদন, ২ লাখ টাকার কোর্স শেষে কর্মসংস্থানের সুযোগ৮ ঘণ্টা আগেসুযোগ-সুবিধা
*আইপিএস বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ টিউশন মওকুফ পাবেন
*জীবনযাত্রার ভাতা হিসেবে শিক্ষার্থীরা প্রতি মাসে ১৭ লাখ ৫০ হাজার আইডিআর পাবেন
*বই ভাতা হিসেবে প্রতি মাসে মিলবে ৫০ হাজার আইডিআর
*স্বাস্থ্যবিমা
*বিমানে যাতায়াতের টিকিট
পড়াশোনার বিষয় কী কী—
শিক্ষা অনুষদ, অর্থনীতি ও ব্যবসা অনুষদ, আইন অনুষদ, প্রকৌশল অনুষদ, ফার্মেসি অনুষদ, মনোবিজ্ঞান অনুষদ, ভূগোল অনুষদ, ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ, স্বাস্থ্য অনুষদ, যোগাযোগ ও তথ্যবিজ্ঞান অনুষদ।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
*একাডেমিক সার্টিফিকেট
*একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
*ভাষা সার্টিফিকেট
*বৈধ পাসপোর্ট
*একাডেমিক সুপারিশপত্র
*মোটিভেশন লেটার
*তত্ত্বাবধায়কের সুপারিশপত্র
*মেডিকেল রিপোর্ট।
আরও পড়ুনইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের ওয়াইপিপি প্রোগ্রাম, আরবি অথবা ফরাসি ভাষায় দক্ষতায় বাড়তি সুযোগ০৩ মে ২০২৫ফাইল ছবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আধুনিক টিভির যত আধুনিক সুবিধা
টেলিভিশনকে বাংলায় বলা হয় ‘দূরদর্শন’। মাত্র কয়েক বছর আগেও এটি সত্যিই ছিল দূরদর্শনের মাধ্যম—দূরের কোনো ঘটনা চোখের সামনে এনে দেওয়ার একটি যন্ত্র। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে টিভির সংজ্ঞা, উদ্দেশ্য ও ব্যবহার। প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতিতে আজকাল টিভি হয়ে উঠেছে একটি ‘স্মার্ট হাব’, যেখানে সিনেমা দেখা, গেম খেলা, ভিডিও কল করা, এমনকি বাড়ির অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আধুনিক টিভিগুলোর সুবিধা কেবল ছবি বা সাউন্ডে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এগুলো এখন ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স।
স্মার্ট অপারেটিং সিস্টেমবর্তমান প্রজন্মের টিভিগুলো শুধু নাটক কিংবা সিনেমা দেখার একটি স্ক্রিন নয়, বরং একটি সম্পূর্ণ স্মার্ট ডিভাইস। স্মার্ট টিভিতে অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) হিসেবে টাইজেন, অ্যান্ড্রয়েড টিভি, রোকু টিভি এবং ওয়েবওএস ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। এই সিস্টেমগুলোর মাধ্যমেই বর্তমান যুগের টিভিগুলো হয়ে উঠছে আধুনিক থেকে আধুনিকতর। ব্যবহারকারীরা এখন চাইলেই স্মার্ট টিভিগুলোতে নেটফ্লিক্স, ইউটিউব, স্পটিফাই, অ্যামাজন প্রাইম কিংবা যেকোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্মও সরাসরি উপভোগ করতে পারেন।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ‘অ্যাপ স্টোর ইন্টিগ্রেশন’। টিভিতেই এখন মোবাইলের মতো অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। ওয়েদার অ্যাপ, গেমস, নিউজ—এমনকি ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপও ব্যবহার করা যায় টিভির বড় স্ক্রিনে।
ভয়েস কন্ট্রোল: কথা বলেই নিয়ন্ত্রণরিমোট খোঁজার ঝামেলা এখন যেন অতীত। আগে টিভির সবকিছু রিমোট দ্বারা পরিচালিত হলেও এখনকার আধুনিক টিভিগুলোতে আছে ভয়েস কন্ট্রোল—যেখানে ব্যবহারকারীর ভয়েস দ্বারাই টিভি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই প্রযুক্তি বিক্সবি, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যালেক্সার মতো ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে কাজ করে। এর পাশাপাশি কিছু হাই-এন্ড মডেলে রয়েছে জেসচার কন্ট্রোল—যেখানে হাত নাড়লেই টিভি রেসপন্স করে। টিভি চালু-বন্ধ করা, চ্যানেল পরিবর্তন—এমনকি ভলিউম বাড়ানো-কমানোর মতো কাজও করা যায় হাতের ইশারায়। এ ক্ষেত্রে গ্যালাক্সি ওয়াচের কথা বলা যায়। এটি হাতের নড়াচড়াকে শনাক্ত করে এসব কমান্ড কার্যকর করে।
মাল্টি-ডিভাইস কানেকটিভিটি: এক স্ক্রিনে সব সংযোগবর্তমানে টিভি শুধু সম্প্রচার মাধ্যম নয়; এটি হয়ে উঠেছে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল ইউনিট। মোবাইল ফোন, স্পিকার, ল্যাপটপ, গেমিং কনসোল—সব ডিভাইস এখন টিভির সঙ্গে সহজেই সংযুক্ত করা যায়।
বেশির ভাগ স্মার্ট টিভিতে রয়েছে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, এইচডিএমআই এআরসি, এয়ার প্লে, মিরাকাস্টসহ বিভিন্ন সুবিধা। ফলে ব্যবহারকারী চাইলে নিজের ফোনের ছবি, ভিডিও বা প্রেজেন্টেশন মুহূর্তেই বড় স্ক্রিনে শেয়ার করতে পারেন। সেই সঙ্গে আধুনিক টিভিগুলোতে রয়েছে গেমারদের জন্য এইচডিএমআই ২.১ পোর্ট এবং কম ইনপুট ল্যাগযুক্ত ডিসপ্লে, যা গেমিং এক্সপেরিয়েন্সকে করে তোলে আরও স্মুথ।
আধুনিক টিভিগুলো ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স