বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৃত্তি নিয়ে পড়ার ক্ষেত্রে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন ও ইউরোপের প্রতি বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেশি। তবে পাশাপাশি মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় প্রতি আগ্রহও লক্ষ্যণীয়। সেই ইন্দোনেশিয়ার একটি বৃত্তি হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল প্রায়োরিটি স্কলারশিপ–আইপিএস। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সম্পূর্ণ অর্থায়িত আইপিএস বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় দেশটির মুহাম্মাদিয়াহ ইউনিভার্সিটি অব সুরাকার্তায় (ইউএমএস) পড়াশোনার সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। বৃত্তি প্রোগ্রামটি আগামী সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হবে।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে আইটি প্রশিক্ষণে করুন আবেদন, ২ লাখ টাকার কোর্স শেষে কর্মসংস্থানের সুযোগ৮ ঘণ্টা আগে

সুযোগ-সুবিধা

*আইপিএস বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ টিউশন মওকুফ পাবেন

*জীবনযাত্রার ভাতা হিসেবে শিক্ষার্থীরা প্রতি মাসে ১৭ লাখ ৫০ হাজার আইডিআর পাবেন

*বই ভাতা হিসেবে প্রতি মাসে মিলবে ৫০ হাজার আইডিআর

*স্বাস্থ্যবিমা

*বিমানে যাতায়াতের টিকিট

পড়াশোনার বিষয় কী কী—

শিক্ষা অনুষদ, অর্থনীতি ও ব্যবসা অনুষদ, আইন অনুষদ, প্রকৌশল অনুষদ, ফার্মেসি অনুষদ, মনোবিজ্ঞান অনুষদ, ভূগোল অনুষদ, ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ, স্বাস্থ্য অনুষদ, যোগাযোগ ও তথ্যবিজ্ঞান অনুষদ।

আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য

*একাডেমিক সার্টিফিকেট

*একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট

*ভাষা সার্টিফিকেট

*বৈধ পাসপোর্ট

*একাডেমিক সুপারিশপত্র

*মোটিভেশন লেটার

*তত্ত্বাবধায়কের সুপারিশপত্র

*মেডিকেল রিপোর্ট।

আরও পড়ুনইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের ওয়াইপিপি প্রোগ্রাম, আরবি অথবা ফরাসি ভাষায় দক্ষতায় বাড়তি সুযোগ০৩ মে ২০২৫ফাইল ছবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চার কিশোরীর ধর্ষণ, হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়নি ৩৩ বছরেও

১৯৯১ সালের ৬ ডিসেম্বরের রাত। টেক্সাসের অস্টিন শহরের ব্যস্ত এক বাণিজ্যিক এলাকায় ছোট্ট এক দইয়ের দোকান। সেখানেই ঘটে গেল যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড। দোকান থেকে উদ্ধার হলো চার কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ। ১৩ বছরের অ্যামি এয়ারস, ১৫ বছরের সারা হারবিসন, ১৭ বছরের জেনিফার হারবিসন ও এলিজা থমাসকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল নির্মমভাবে। তাদের গলা টিপে ধরা হয়েছিল, শরীর বেঁধে রাখা হয়েছিল দড়ি দিয়ে, মাথায় গুলি করা হয়েছিল—এরপর প্রমাণ নষ্ট করতে দোকানেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

তিন দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এই হত্যাকাণ্ড আজও অস্টিনবাসীর মনে এক দুঃসহ স্মৃতি। এইচবিও তাই চার পর্বের তথ্যচিত্র ‘দ্য ইয়োগার্ট শপ মার্ডারস’ নির্মাণ করেছে, যেখানে আর্কাইভ ফুটেজ, তদন্তকারীদের বক্তব্য, আর নিহত ব্যক্তিদের পরিবার-বন্ধুদের সাক্ষাৎকারে ফুটে উঠেছে শোক, ক্ষোভ আর অসহায়তার চিত্র।
প্রথম পর্বেই নিহত অ্যামি এয়ারসের বাবা বব এয়ারস বলেন, ‘৩০ বছর, ৭ মাস, ৫ দিন হয়ে গেল—তবু আজও বিশ্বাস করতে পারি না।’ প্রতি রবিবার রাত ১০টায় এইচবিওতে সম্প্রচারিত হচ্ছে এই তথ্যচিত্র সিরিজ। যারা ‘ট্রু ক্রাইম’ ধরনের তথ্যচিত্রে আগ্রহী, তাঁদের কাছে এটি দেখা, নিঃসন্দেহে এক ভয়ংকর আর হৃদয়স্পর্শী অভিজ্ঞতা।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানোর পর ভেতরে যা দেখেছিলেন, তা বর্ণনা করতে গিয়ে সেই সময়ের একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন—‘চারদিকে ধোঁয়া, ভেজা সিলিং, গলে যাওয়া আসবাবের মধ্যেই দেখা যাচ্ছিল লাশগুলো। তিনটি একসঙ্গে, আরেকটি একটু আলাদা।’

এই হত্যাকাণ্ডে অস্টিন শহর শোকে স্তব্ধ হয়ে যায়। নিহত কিশোরীদের পরিবার ও স্থানীয় ব্যক্তিরা ন্যায়বিচারের দাবিতে মিছিল করেছিলেন, শহরের রাস্তায় টাঙানো হয়েছিল পোস্টার ও বিলবোর্ড, স্থানীয় সংগীতশিল্পীরা গান লিখেছিলেন তাঁদের স্মরণে। তবু ৩৩ বছর পরেও রহস্যের জট খোলেনি।
আলোচিত এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে এইচবিওর নতুন তথ্যচিত্র ‘দ্য ইয়োগার্ট শপ মার্ডারস’। গত ৩ আগস্ট মুক্তি পেয়েছে চার পর্বের তথ্যচিত্রটি। মুক্তির পর থেকে সমালোচকদের ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে তথ্যচিত্রটি।

‘দ্য ইয়োগার্ট শপ মার্ডারস’ পরিচালনা করেছেন মার্গারেট ব্রাউন। তবে ব্রাউনের আগে আরও একজন নির্মাতা এই ঘটনাকে তথ্যচিত্রে রূপ দিতে চেয়েছিলেন। প্রায় এক দশক আগে চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্লেয়ার হুই ঘটনাটির ওপর কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু কিশোরীদের ওপর চালানো নির্যাতনের ভয়াবহতা ও তদন্তপ্রক্রিয়ার অন্ধকার তাঁকে এতটাই মানসিকভাবে আঘাত করেছিল যে তিনি পুরো প্রজেক্ট ছেড়ে দেন, এমনকি চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারও ত্যাগ করেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করা কয়েকজন ক্রু সদস্যকেও মানসিক আঘাত সামলাতে থেরাপির আশ্রয় নিতে হয়েছিল।

তদন্ত ও ভেঙে পড়া বিচারপ্রক্রিয়া
ঘটনার অল্প কিছুদিন পরই মেক্সিকোয় দুজনকে আটক করা হলেও তাঁরা জোর করে স্বীকারোক্তি নেওয়ার অভিযোগ করলে মামলা এগোয়নি। ১৯৯৯ সালে অস্টিন পুলিশ আবারও চার তরুণকে গ্রেপ্তার করে—রবার্ট স্প্রিংস্টিন জুনিয়র, মাইকেল স্কট, মরিস পিয়ার্স ও ফরেস্ট ওয়েলবর্ন।

‘দ্য ইয়োগার্ট শপ মার্ডারস’ তথ্যচিত্রের দৃশ্য। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ