পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আইপিএল ২০২৫ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল ২৫ মে’র মাঝে। তবে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণে ৮ মে হঠাৎ খেলা বন্ধ হয়ে যায়। আইপিএল আবারও শুরু হচ্ছে শনিবার (১৭ মে) থেকে, যা শেষ হবে ৩ জুন পর্যন্ত। এখানেই বেঁধেছে সমস্যা।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অংশ নেওয়ার জন্য ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ) যে স্কোয়াড় দিয়েছে, তাতে আছেন আইপিএল খেলা আটজন ক্রিকেটার। বোর্ড থেকে এই ক্রিকেটারদের যে এনওসি দেওয়া হয়েছে তাতে ২৫ মে’র মধ্যে ভারত ছেড়ে যেতে হবে।  নতুন সূচি অনুযায়ী আইপিএল আরও ৯ দিন চলবে। তাই এই প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা আদৌ কি আইপিএলের বাকি অংশে খেলতে পারবেন? নাকি বোর্ড তাদের এনওসির মেয়াদ বাড়াবে। এই ব্যাপারগুলো নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

এই আটজন প্রোটিয়া ক্রিকেটার হলেন, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি, ট্রিস্টান স্টাবস, আইডেন মার্করাম, রায়ান রিকেলটন, করবিন বোশ, মার্কো জানসেন এবং উইয়ান মুলডার। তাদের ২৫ মে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যাওয়ার কথা এবং তারপর ৩০ মে ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা পুরো দলের সঙ্গে। আইপিএলের পুনঃনির্ধারিত প্লে’অফে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সিএসএ এবং বিসিসিআইয়ের মধ্যে আলোচনা চলছে।

আরো পড়ুন:

ফাইনাল সামনে রেখে দল ঘোষণা করলো দ.

আফ্রিকা

শিরোপা ধরে রাখতে অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী স্কোয়াড ঘোষণা

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের গুরুত্ব বিবেচনা করে সিএসএ আশা করছে বিসিসিয়াই এই সিদ্ধান্ত বুঝবে এবং জুন ৩ পর্যন্ত এনওসি বাড়ানোর অনুরোধ করবে না। তবে সিএসএর দুশ্চিন্তা রয়েছে। এতে দুই বোর্ডের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হতে পারে। জাতীয় দলের কোচ শুকরি কনরাড এবং জাতীয় দল ও হাই পারফরম্যান্সের পরিচালক ইনক নকওয়ে দুজনেই বলেছেন যে, ২৫ মে’র যে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা এখনো কার্যকর রয়েছে।

শুকরি কনরাড দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনাল স্কোয়াড ঘোষণা উপলক্ষে জোহানেসবার্গে বলেন, “আইপিএল ও বিসিসিআইয়ের এর সঙ্গে প্রাথমিক চুক্তি ছিল মে’র ২৫ তারিখে পর্যন্ত।  আমাদের খেলোয়াড়রা ২৬ তারিখে ফিরে আসবে, যাতে তারা ৩০ মে’র ফ্লাইটের আগে পর্যাপ্ত সময় পায়। এটি নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে, যা আমার থেকে উচ্চ পর্যায়ের লোকজন যেমন ক্রিকেট ডিরেক্টর (নকওয়ে) এবং সিএসএ প্রধান নির্বাহী ফোলেটসি মোসেলকি দেখছেন। আমরা চাই খেলোয়াড়রা ২৬ তারিখে ফিরে আসুক এবং আশা করি সেটি বাস্তবায়িত হবে।”

একই অনুষ্ঠানে নকওয়ে বলেন, এখনো আলোচনা চলছে এবং সিএসএ আশা করছে খেলোয়াড়রা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালকে প্রাধান্য দেবে, “ফিরে আসা বা খেলা চালিয়ে যাওয়া, এটা অবশ্যই একজন খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি এবং আইপিএল ও বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আমাদের প্রাথমিক পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছি যে, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের প্রস্তুতির জন্য মে ২৬ হচ্ছে সর্বোচ্চ সময়সীমা।”

দক্ষিণ আফ্রিকা ৩১ মে ইংল্যান্ডে পৌঁছাবে এবং ৩ জুন (যেদিন আইপিএল ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে) আরান্ডেলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চারদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১১ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত।

ঢাকা/নাভিদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট স ট চ য ম প য়নশ প ট স ট চ য ম প য়নশ প ফ ইন ল স এসএ

এছাড়াও পড়ুন:

পিসিবির হঠাৎ সিদ্ধান্ত, বিদেশি লিগে খেলতে পারবেন না বাবর-রিজওয়ান-আফ্রিদিরা

পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের বিদেশি টি-টোয়েন্টি লিগে অংশ নেওয়ার বিষয়ে দেওয়া সব ধরনের অনাপত্তিপত্র (এনওসি) অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে এই সিদ্ধান্তের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।

পিসিবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সুমাইর আহমেদ সৈয়দ গতকাল (২৯ সেপ্টেম্বর) একটি নোটিশের মাধ্যমে খেলোয়াড় এবং তাদের এজেন্টদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। নোটিশে বলা হয়েছে, ‘পিসিবি চেয়ারম্যানের অনুমোদন সাপেক্ষে, বিদেশি লিগ ও টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য খেলোয়াড়দের সব অনাপত্তিপত্র পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হলো।’

হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, তার কোনো কারণ পিসিবি জানায়নি। তবে ইএসপিএন-ক্রিকইনফোকে পিসিবির কয়েকটি সূত্র জানিয়েছেন, পিসিবি নাকি পারফরম্যান্স-ভিত্তিক একটি নতুন নীতিমালা তৈরি করছে, যার ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে এনওসি দেওয়া হবে। বোর্ডের উদ্দেশ্য, খেলোয়াড়েরা যেন বিদেশি লিগের চেয়ে জাতীয় দল ও ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলার প্রতি বেশি মনোযোগ দেন। কিন্তু এই মূল্যায়নপ্রক্রিয়া কত দিন চলবে বা কবে নাগাদ এনওসি দেওয়া শুরু হবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।

পিসিবির এই সিদ্ধান্ত অনেক খেলোয়াড়ের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। আগামী ডিসেম্বরে শুরু হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে (বিবিএল) বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন আফ্রিদিসহ মোট সাতজন পাকিস্তানি ক্রিকেটারের খেলার কথা ছিল। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইএলটি-টোয়েন্টির নিলামের জন্যও সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন ১৮ জন পাকিস্তানি খেলোয়াড়। তাঁদের মধ্যে আছেন নাসিম শাহ, সাইম আইয়ুব ও ফখর জামানের মতো তারকারা।

আরও পড়ুনসাকিবকে আর কখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলতে দেওয়া হবে না, বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ৮ ঘণ্টা আগে

এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে পাকিস্তান হারের পর এমন একটি সিদ্ধান্ত আসায় তা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। যদিও সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপের আগেই পাকিস্তান ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে।

অক্টোবরে পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির ঘরোয়া টুর্নামেন্ট কায়েদে আজম ট্রফি শুরু হওয়ার কথা। যদিও টুর্নামেন্টটি ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল, তবে সেটা পিছিয়ে অক্টোবরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনভারতকে আইসিসি কেন কিছু বলতে পারে না১০ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পিসিবির হঠাৎ সিদ্ধান্ত, বিদেশি লিগে খেলতে পারবেন না বাবর-রিজওয়ান-আফ্রিদিরা