বিসিবি রাজি হলে আমিরাতে না খেলেই দিল্লি যাবেন মুস্তাফিজ
Published: 15th, May 2025 GMT
দিল্লি ক্যাপিটালস (ডিসি) মুস্তাফিজুর রহমানকে দলে নেওয়ার খবর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করায় অনতিবিলম্বে ব্রেকিং নিউজ হয় বাংলাদেশে। ভারতীয় মিডিয়াও গুরুত্বসহকারে প্রচার করে ফিজকে দিল্লির দলে নেওয়ার খবর। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্কের পরিবর্তে মুস্তাফিজকে নেয় তারা।
এক মৌসুম হিসেবে রেকর্ড ৬ কোটি রুপি সম্মানী নির্ধারণ করা হয়েছে বাঁহাতি এই পেসারের জন্য। প্রতি ম্যাচে ৪২ লাখ ৮৫ হাজার রুপি পাবেন তিনি। ২০২৫ সালের নিলামে বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারকেই নেয়নি আইপিএল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে টানাপোড়নের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছিল বিষয়টিকে। দিল্লি মুস্তাফিজকে দলে নিয়ে সে অনুমান ভুল প্রমাণ করে।
যদিও মুস্তাফিজ গতকাল আরব আমিরাত গেছেন দুই ম্যাচ টি২০ সিরিজ খেলতে। স্বাগতিক আমিরাতের বিপক্ষে ১৭ ও ১৯ মে শারজাহয় হবে ম্যাচ দুটি। এদিকে, পিএসএল থেকে রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানাকে চেয়েছে। লাহোর কালান্দার্স নতুন করে দলে নিয়েছে সাকিব আল হাসানকে। গতকালই বিসিবির কাছে পিএসএল খেলার জন্য ছাড়পত্র চেয়েছেন সাকিব।
মুস্তাফিজের পুরোনো দল দিল্লির সেরা চারে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ১৮ মে নিজেদের মাঠে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে, ২১ মে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে আর ২৪ মে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে লিগ পর্বের বাকি ম্যাচ খেলবে দিল্লি। সেরা চারে উন্নীত হওয়ার রেসে টিকে থাকতে গুজরাটের বিপক্ষের ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচ থেকেই মুস্তাফিজকে দলে পেতে চায় তারা। যদিও এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিসিবি থেকে মুস্তাফিজের ছাড়পত্র বা এনওসি নিশ্চিত হয়নি।
বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ থেকে জানা গেছে, আইপিএল বা বিসিসিআই থেকে বাঁহাতি এ পেসারের এনওসির জন্য যোগাযোগ করেনি। যদিও টুর্নামেন্টে নাম দেওয়ার সময়ই এনওসির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বিসিবি এবং টিম ম্যানেজমেন্ট রাজি হলে মুস্তাফিজ আইপিএলের ম্যাচ খেলার জন্য দুবাই থেকে ১৭ মের ভেতরে দিল্লি যেতে পারেন।
জাতীয় দল সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার কথায় সেই ইঙ্গিত আছে। তিনি বলেন, ‘পাঁচ পেস বোলার আছে দলে। আমিরাতে দুই ম্যাচের সিরিজে একজন না থাকলে কিছু হবে না। টিম ম্যানেজমেন্ট মুস্তাফিজকে ছাড়তেই পারে।’
যদিও বিসিবি থেকে বলা হচ্ছে, ১৯ মে আমিরাতে ম্যাচ শেষ করার পর আইপিএলে যেতে পারেন তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম স ত ফ জ র রহম ন আম র ত র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
কঠোর অভিযানের মধ্যে কৌশলে পাথর ‘লুট’
নদীতে বড় বড় নৌযান সারিবদ্ধভাবে নোঙর করা, যা ‘বাল্কহেড’ নামে পরিচিত। শত শত শ্রমিক নদীর পাড়ে জমা করে রাখা পাথর টুকরিতে ভরে সেই সব নৌযানে ওঠাচ্ছেন। কাছেই নদীতে চলছে খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর), যা দিয়ে পানির নিচ থেকে পাথর ওঠানো হচ্ছে।
সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় পাথর লুটকারীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের মধ্যেও এই দৃশ্য দেখা গেল কানাইঘাট উপজেলার লোভা নদীতে। লোভা নদী সীমান্তের ওপার থেকে এসে সুরমায় মিশেছে। এই নদীতেও পানির স্রোতের সঙ্গে ওপার থেকে পাথর আসে।
লোভা নদীর বাংলাদেশ অংশের শুরুতে একটি পাথর কোয়ারি (যেখানে পাথর উত্তোলন করা হয়) রয়েছে। সেই কোয়ারিতে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাথর উত্তোলন করা যেত। তারপর সরকার আর কোয়ারি ইজারা দেয়নি, মানে হলো পাথর তোলা নিষিদ্ধ। তবে নিলামে বিক্রি করা পাথর স্থানান্তরের নামে এখন সেখানে লুট চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা বলছেন, পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা, যাঁরা বিএনপির কোনো কোনো নেতার সঙ্গে মিলে কাজটি করছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের সঙ্গে নিলামে পাথর কেনা ঠিকাদারের যোগসাজশ রয়েছে।
লোভা নদী সিলেট শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে। কানাইঘাট উপজেলা শহর থেকে এর দূরত্ব আট কিলোমিটারের মতো। গতকাল রোববার বেলা একটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত নৌপথে সুরমা নদী হয়ে ভারতের সীমান্তবর্তী লোভা নদীর জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, সুরমা নদীর কানাইঘাট বাজারের বিপরীত অংশ স্টেশন এলাকায় একটি বাল্কহেডে অন্তত ১৫ জন শ্রমিক পাথর তুলছিলেন। আশপাশের অন্তত আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পাথরের এমন স্তূপ দেখা গেছে। পাশে ক্রাশার মেশিনে (পাথর ভাঙার কল) পাথর ভাঙার কাজও করছিলেন শ্রমিকেরা।
ভাঙার পর শ্রমিকেরা নৌকায় পাথর তুলছেন। গতকাল দুপুরে কানাইঘাটের লোভাছড়ায়