আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এবার মোট পুরস্কার মূল্য ধরা হয়েছে ৫.৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭০ কোটি ৮ লাখ টাকা। আগের আসরের তুলনায় এই অর্থের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ।

চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। বিজয়ী দল পাবে ৩.

৬ মিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ প্রায় ৪৪ কোটি টাকা। রানার্সআপ দলের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২.১৬ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২৬ কোটি টাকা।

এদিকে, শীর্ষ দুইয়ে জায়গা না পেলেও তৃতীয় স্থানে থেকে বড় অঙ্কের প্রাইজমানি পাচ্ছে ভারত যা ১.৪ মিলিয়ন ডলার (প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি টাকা)। চতুর্থ স্থান পাওয়া নিউজিল্যান্ড পাবে ১.২ মিলিয়ন ডলার (প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা)।

পঞ্চম থেকে নবম পর্যন্ত অবস্থান করা দলগুলোর জন্যও রয়েছে প্রাইজমানি। ইংল্যান্ড পাচ্ছে ৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার (প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা), শ্রীলঙ্কা ৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার (প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা) এবং বাংলাদেশ পাচ্ছে ৭ লাখ ২০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

অষ্টম হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাচ্ছে ৬ লাখ ডলার (প্রায় ৭ কোটি টাকা) এবং তলানিতে থাকা পাকিস্তান পাচ্ছে ৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার, যা প্রায় পৌনে ৬ কোটি টাকা।

প্রসঙ্গত, আগের দুই চক্রে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো ছিল না। ২০১৯-২১ মৌসুমে কোনো ম্যাচ না জিতে নবম হয়েছিল দলটি। ২০২১-২৩ মৌসুমে একটি জয় নিয়ে আবারও তলানিতে ছিল টাইগাররা। তবে এবার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। মোট ১২ ম্যাচ খেলে ৪টিতে জয় এসেছে বাংলাদেশের। পাকিস্তানের মাটিতে সিরিজ জিতে এসেছে তারা, যা এই চক্রে বড় অর্জন হিসেবে ধরা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এবারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল শুরু হবে আগামী ১১ জুন, ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নশ প র প র ইজম ন

এছাড়াও পড়ুন:

জামালপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের ‘পকেট কমিটি’ গঠনের অভিযোগ, প্রত্যাখ্যান একাংশের

জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আংশিক আহ্বায়ক কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ বলে অভিযোগ করেছে দলের একাংশ। ওই কমিটি বাতিল করে দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নিয়ে পুনরায় নতুন কমিটির গঠনের দাবি করেছে তারা। আজ সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ ও দাবি জানানো হয়।

দুপুরে ‘জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা-কর্মী’র ব্যানারে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক (বাবু)। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্র থেকে দুজনের একটি আংশিক কমিটি দেওয়া হয়। কমিটিতে আগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরল মমিন আকন্দকে (কাউছার) আহ্বায়ক ও মঞ্জুরুল করিমকে (সুমন) সদস্যসচিব করা হয়। ৫ আগস্টের আগে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে নুরল মমিন আকন্দের ভূমিকা ছিল না। তাঁর বিরুদ্ধে দখলবাজিসহ নানা অভিযোগও রয়েছে।

আবু বক্কর সিদ্দিক আরও বলেন, ‘সদস্যসচিব মঞ্জুরুল করিম জামালপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ছাড়া তাঁর বাবা ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। জমি দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধেও। এমন বিতর্কিত ব্যক্তিদের দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। ফলে ওই কমিটি বাতিল করে পুনরায় ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নিয়ে কমিটি ঘোষণার দাবি করছি।’

এ বিষয়ে জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক নুরল মমিন আকন্দ বলেন, ‘আমাদের দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি দেওয়া হয়েছে। যখন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে, তখন ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে। আর আমরা এই শহরের বাসিন্দা। সমাজের সবাই জানে আমরা কেমন। সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত অভিযোগ করলেই মিথ্যা সত্য হয়ে যায় না। আমি বিষয়টি কেন্দ্রকে অবহিত করব।’

সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক (বাবু), সাবেক পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক এ এস এম মিজানুর রহমান (মিলন), সহকোষাধ্যক্ষ মো. ফয়সাল। এ ছাড়া সাবেক কমিটির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ