পাঠাও নিয়ে এল ‘চলো দেশি Vibe-এ’ ক্যাম্পেইন
Published: 15th, May 2025 GMT
বাংলাদেশের মানুষের হাত ধরে তৈরি বহুল জনপ্রিয় দেশীয় ব্র্যান্ড ‘পাঠাও’ এবার নিয়ে এল ‘চলো দেশি ভাইব-এ’ ক্যাম্পেইন। ১৪ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে চলবে এই উৎসব, যেখানে পাঠাও দিচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট, ফ্রি ডেলিভারি, ৫০ হাজার টাকা মূল্যের গিফট জেতার সুযোগসহ অনেক আকর্ষণীয় অফার।
মে মাসজুড়ে পাঠাও ব্যবহারকারীরা রাইড এবং ফুডের ওপর সর্বমোট ১ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট উপভোগ করতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘পাঠাও বাইক’-এ ৩টি রাইডে মোট ৩০০ টাকা ডিসকাউন্ট (প্রতি রাইডে ১০০ টাকা করে), ‘পাঠাও কার’-এ ৩টি রাইডে মোট ৩০০ টাকা ডিসকাউন্ট (প্রতি রাইডে ১০০ টাকা করে) এবং ‘পাঠাও ফুড’-এ পাঁচটি অর্ডারে সর্বমোট এক হাজার টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট, প্রতি অর্ডারে ২০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট।
এ ছাড়া ‘পাঠাও কার’ ইন্টারসিটি রাইডে রয়েছে এক হাজার টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। সঙ্গে থাকছে প্রতিদিন নতুন অফার, সারপ্রাইজ ফ্ল্যাশ ডিলসহ আরও অনেক কিছু।
‘চলো দেশি ভাইব-এ’ ক্যাম্পেইনে পাঠাও অ্যাপে প্রতিটি লেনদেনে পাওয়া যাবে ডাবল পাঠাও পয়েন্টস, মানে প্রতিটি অর্ডার বা রাইডেই আপনার পয়েন্ট বাড়বে দ্বিগুণ!
উৎসবের আনন্দ আরও বাড়াতে পাঠাও কুরিয়ার সার্ভিসেও থাকছে দারুণ অফার। ফ্রি ডেলিভারির পাশাপাশি পাঠাও বাইক, কার ও ফুড-এর কুপন, পার্টনার ব্র্যান্ডদের ডিসকাউন্ট এবং লাকি ইউজারদের জন্য রয়েছে মেগা ভাউচার ও স্পেশাল পুরস্কার।
‘পাঠাও শপ’-এ পেয়ে যাবেন হেডগিয়ার এর মতো দেশীয় পছন্দের ব্র্যান্ড থেকে পাঠাও-এর কোলাবরেশনে দেশি মার্চেন্ডাইজ।
আরও একটি বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে ‘বিগ বক্স’। এতে থাকবে একটি পাবলিক উইশবোর্ড, যেখানে ব্যবহারকারীরা তাঁদের সব ইচ্ছা লিখতে পারবেন। এই উইশবোর্ড থেকে নির্বাচিত ১০ জন ভাগ্যবান ব্যবহারকারীর ইচ্ছা পূরণ করবে ‘পাঠাও’!
দেশি আনন্দকে আরও জমজমাট করতে ‘পাঠাও’ নিয়ে আসছে একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ কুইজ গেম। ‘পাঠাও কার’-এর ফ্ল্যাপে এবং বিগ বক্স-এর পাশে থাকবে একটি কিউআর কোড। স্ক্যান করলেই পাওয়া যাবে মজার মজার প্রশ্ন। সঠিক উত্তর দিলেই পাবেন পয়েন্ট, আর সেই পয়েন্ট দিয়ে থাকবে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের উপহার জেতার সুযোগ।
ক্যাম্পেইনটি প্রসঙ্গে পাঠাও–এর ভাইস প্রেসিডেন্ট (মার্কেটিং) আবরার হাসনাইন বলেন, দেশি অ্যাপ হিসেবে পাঠাও ১০ বছর ধরে আমাদের দেশের মানুষের প্রয়োজনগুলো মেটানোর চেষ্টা করে আসছে। ‘চলো দেশি ভাইব-এ’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা সেলিব্রেট করছি আমাদের দেশি প্রাইড, কালচার আর একসঙ্গে থাকার আনন্দ। যা ফুটে উঠছে আমাদের রাইড শেয়ারিং, ফুড আর প্রোডাক্ট ডেলিভারিসহ প্রতিদিনের ছোট ছোট গল্পগুলোতে।
‘চলো দেশি ভাইব-এ’ হলো দেশীয় প্রাইড আর একসঙ্গে উদ্যাপনের আনন্দ। এই মে মাসে রাইড দিন, খাবার অর্ডার করুন, প্রিয়জনকে পার্সেল পাঠান, আর পাঠাও-এর সঙ্গে চলুন দেশি ভাইবে।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘পাঠাও’ এমন একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে, যা অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি সবার দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিকসে পাঠাও শীর্ষস্থানে রয়েছে। ১০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী, ৩ লাখ ড্রাইভার ও ডেলিভারি এজেন্ট, ২ লাখ মার্চেন্ট এবং ১০ হাজার রেস্টুরেন্ট নিয়ে পরিচালনা করছে পাঠাও। প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে ৫ লাখেরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করেছে, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক য ম প ইন অর ড র আনন দ
এছাড়াও পড়ুন:
মাছবোঝাই পিকআপ খাদে, এলাকাবাসীর মাছ ধরার ‘উৎসব’
ফরিদপুরের নগরকান্দায় মাছবোঝাই একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এরপর খাদে ছড়িয়ে পড়া মাছ ধরতে স্থানীয় লোকজন ভিড় করেন। আজ শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের যদুরদিয়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পশ্চিম পাশে।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাবদা মাছবোঝাই পিকআপটি গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গার দিকে যাচ্ছিল। রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যদুরদিয়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। এতে গাড়িতে থাকা মাছের ঝুড়িগুলো পানিতে তলিয়ে যায় এবং মাছ ছড়িয়ে পড়ে।
দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টা পর ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে রেকার দিয়ে পিকআপটি তোলা হয়। ওই সময় গাড়ির লোকজন যতটা সম্ভব মাছ উদ্ধার করে গাড়ি নিয়ে চলে যান। এরপর সকাল ছয়টা থেকে আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষ মাছ ধরতে খাদে নামেন। নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ—সবাই মাছ ধরায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মহাসড়কের ধারে দাঁড়িয়ে বহু মানুষ এ দৃশ্য উপভোগ করেন। কেউ খ্যাপলা জাল, কেউ গামছা, আবার কেউ হাত দিয়ে মাছ ধরতে থাকেন।
সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় যেন কেউ কারও থেকে পিছিয়ে থাকতে চান না। এক বালতি মাছ হাতে খাদ থেকে উঠলেন ফাতেমা বেগম (২৮)। তিনি জানান, প্রায় ১০ কেজি মাছ ধরতে পেরেছেন। হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমার থেকে অনেক বেশি মাছ ধরেছে অনেকে।’
স্থানীয় বাসিন্দা হারুন অর রশিদ (৫৫) বলেন, খবর পেয়ে গ্রামের মানুষ ছুটে আসে। এরপর শুরু হয় মাছ ধরার ধুম।
মাছ ধরার খবর শুনে সেখানে এসেছিলেন ভাঙ্গার মহেশ্বর্দী গ্রামের মাইনুদ্দীন আহমেদ (৩৫)। তিনি বলেন, সবাই পাবদা মাছ ধরছেন। কেউ খালি হাতে ফেরেননি। কেউ ১৫ কেজি, কেউ আধা মণ পর্যন্ত মাছ পেয়েছেন।
পিকআপটি কোথা থেকে এসেছিল, কোথায় যাচ্ছিল কিংবা মাছের পরিমাণ ও মালিকের পরিচয় জানা যায়নি। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রকিবুজ্জামান বলেন, আজ ভোরে নগরকান্দার যদুরদিয়ায় মাছবোঝাই একটি পিকআপ খাদে পড়ে যায়। তবে এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।