মুস্তাফিজকে আইপিএলে দুই ম্যাচ খেলার অনুমতি দিল বিসিবি
Published: 15th, May 2025 GMT
দিল্লি ক্যাপিটালস (ডিসি) মুস্তাফিজুর রহমানকে দলে নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্কের পরিবর্তে দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। তবে জাতীয় দলের ম্যাচ থাকায় দিল্লির বাকি সব ম্যাচে খেলার অনুমতি পাচ্ছেন না কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ। তাকে শেষ দুই ম্যাচে খেলার ছাড়পত্র দিচ্ছে বিসিবি।
বোর্ড পরিচালক ইফতেখার আহমেদ মিঠু বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘সে এরই মধ্যে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছে। বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, কেউ জাতীয় দলে থাকলে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় না। সে সিরিজ শেষ করে বাকি ম্যাচ খেলার ছাড়পত্র পাবে।’
বাংলাদেশ আগামী ১৭ ও ১৯ মে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে। অন্য দিকে আইপিএলে দিল্লির ১৮ মে ম্যাচ আছে। যেটা মুস্তাফিজ খেলতে পারবেন না। তবে ২১মে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও ২৪ মে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে খেলতে পারবেন তিনি।
দিল্লি আইপিএলের পয়েন্ট টেবিলে পাঁচে আছে। যার অর্থ তাদের প্লে অফে খেলার সুযোগ আছে তাদের। ২৯ ও ৩০ মে এবং ১ জুন হবে প্লে অফের তিন ম্যাচ। দিল্লি প্লে অফে গেলে মুস্তাফিজ সেখানে খেলার ছাড়পত্র পাবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। কারণ ২৭ মে থেকে আবার বাংলাদেশের পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ আছে। মুস্তাফিজকে ওই সফরের দলে রাখা হতে পারে।
মুস্তাফিজের পুরো মৌসুমের বেতন ধরা হয়েছে ৬ কোটি রুপি। যেহেতু তিনি প্রাথমিকভাবে দুই ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। ওই দুই ম্যাচ থেকে প্রায় সাড়ে ৮৫ লাখ রুপি পাবেন তিনি। যা প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার সমান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম স ত ফ জ র রহম ন দ ল ল ক য প ট লস ছ ড়পত র
এছাড়াও পড়ুন:
কঠোর অভিযানের মধ্যে কৌশলে পাথর ‘লুট’
নদীতে বড় বড় নৌযান সারিবদ্ধভাবে নোঙর করা, যা ‘বাল্কহেড’ নামে পরিচিত। শত শত শ্রমিক নদীর পাড়ে জমা করে রাখা পাথর টুকরিতে ভরে সেই সব নৌযানে ওঠাচ্ছেন। কাছেই নদীতে চলছে খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর), যা দিয়ে পানির নিচ থেকে পাথর ওঠানো হচ্ছে।
সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় পাথর লুটকারীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের মধ্যেও এই দৃশ্য দেখা গেল কানাইঘাট উপজেলার লোভা নদীতে। লোভা নদী সীমান্তের ওপার থেকে এসে সুরমায় মিশেছে। এই নদীতেও পানির স্রোতের সঙ্গে ওপার থেকে পাথর আসে।
লোভা নদীর বাংলাদেশ অংশের শুরুতে একটি পাথর কোয়ারি (যেখানে পাথর উত্তোলন করা হয়) রয়েছে। সেই কোয়ারিতে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাথর উত্তোলন করা যেত। তারপর সরকার আর কোয়ারি ইজারা দেয়নি, মানে হলো পাথর তোলা নিষিদ্ধ। তবে নিলামে বিক্রি করা পাথর স্থানান্তরের নামে এখন সেখানে লুট চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা বলছেন, পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা, যাঁরা বিএনপির কোনো কোনো নেতার সঙ্গে মিলে কাজটি করছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের সঙ্গে নিলামে পাথর কেনা ঠিকাদারের যোগসাজশ রয়েছে।
লোভা নদী সিলেট শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে। কানাইঘাট উপজেলা শহর থেকে এর দূরত্ব আট কিলোমিটারের মতো। গতকাল রোববার বেলা একটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত নৌপথে সুরমা নদী হয়ে ভারতের সীমান্তবর্তী লোভা নদীর জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, সুরমা নদীর কানাইঘাট বাজারের বিপরীত অংশ স্টেশন এলাকায় একটি বাল্কহেডে অন্তত ১৫ জন শ্রমিক পাথর তুলছিলেন। আশপাশের অন্তত আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পাথরের এমন স্তূপ দেখা গেছে। পাশে ক্রাশার মেশিনে (পাথর ভাঙার কল) পাথর ভাঙার কাজও করছিলেন শ্রমিকেরা।
ভাঙার পর শ্রমিকেরা নৌকায় পাথর তুলছেন। গতকাল দুপুরে কানাইঘাটের লোভাছড়ায়