বিয়েতে ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবির অভিযোগ, সরকারি কর্মকর্তা বর আটক
Published: 17th, May 2025 GMT
নোয়াখালীতে বিয়ের আসরে এসে ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবির অভিযোগ উঠেছে বর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক ইকবাল হোসেন জিসানের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে শুক্রবার (১৬) দুপুরে বর ও কনেপক্ষের মধ্যে মারামারিতে কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছেন। কনেপক্ষ বরকে আটক করে রাখলে সুধারাম থানা পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে।
শুক্রবার নোয়াখালী জেলা শহরের মেহেরার ডাইন নামের একটি রেস্টুরেন্টে ওই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
কনের মামা মো.
হিরণ অভিযোগ করেন, শুক্রবার দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে বর জিসান তার বোনের (কনের মা) মোবাইল ফোনে কল করে জানান, তাকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে, তা না হলে তিনি বিয়ে করতে আসবেন না। এ কথা শুনে তার বোন ভেঙে পড়েন। তখন তারা অনুরোধ করে জিসানকে বলেন অনুষ্ঠানে আসার জন্য, এলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। দুপুর আড়াইটার দিকে বর জিসান আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে মেহেরান ডাইন রেস্টুরেন্টে উপস্থিত হন। তখন কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে বরপক্ষের লোকজন কনেপক্ষের লোকদের ওপর হামলা চালান।
অন্যদিকে, বরের ভগ্নিপতি শাহীন চৌধুরী বলেছেন, কনের পরিবার ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবির যে অভিযোগ করছে, তা মিথ্যা। কনের মায়ের একটি আপত্তিকর ছবি ফোনে পেয়ে সেটি নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন বর। এ নিয়ে কনের পরিবার বর ও তার স্বজনদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বরের মোবাইল ফোনসহ তিনটি ফোন নিয়ে গেছে হামলাকারীরা।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিয়ে নিয়ে গণ্ডগোলের জের ধরে বরকে আটক করার খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/সুজন/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ৫০ ল খ ট ক শ ক রব র পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষার্থীর নাক ফাটালেন সহকারী শিক্ষক
পাবনার চাটমোহরে তুচ্ছ ঘটনায় সোয়াদ হোসেন নামে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর নাক ফাটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের কানাইয়েরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান ওরফে জিয়া হাফিজ ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক।
আহত শিক্ষার্থী কানাইয়েরচর গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে। তাকে আহত অবস্থায় চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্লাস চলাকালীন হাফিজুর রহমানের অনুমতি নিয়ে বাইরে যায় সোয়াদ। কিন্তু ফিরে আসতে দেরি হওয়ায় শ্রেণিকক্ষে ঢোকার সাথে সাথে সোয়াদের গালে চড় দেন হাফিজুর রহমান। এ সময় নাকে লেগে জখম হয় সোয়াদ। পরে স্বজনরা খবর পেয়ে সোয়াদকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে রক্ত বন্ধ না হলে পরবর্তীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সোয়াদের বাবা মুকুল হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘‘শিক্ষক মারধর করুক। সেটা নিয়ে আমার আপত্তি নাই। লেখাপড়ার জন্য যদি মারতো তবে আমার কোনো অভিযোগ থাকতো না। কিন্তু মারারও তো ধরণ আছে। এভাবে রক্তাক্ত জখম করবে আমি বাবা হিসেবে এটা মেনে নিতে পারছি না। আমি এর বিচার চাই।’’
কানাইয়েরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, ‘‘আমি ওই সময় অফিসে ছিলাম। ঘটনা জানতে পেরে ক্লাসে গিয়ে শুনি সোয়াদ বাড়ি চলে গেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’
অভিযুক্ত শিক্ষক কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে মৌখিক ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেছে।’’
হাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘ক্লাস চলাকালীন বারবার বাইরে যাচ্ছিল আর আসছিল। চড় মারতে গিয়ে বাচ্চাটার নাকে লেগে রক্ত বেরিয়েছে। এটা অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এ জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’’
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চাটমোহর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘বিষয়টি দুঃখজনক। আমি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’
শাহীন//