দুর্নী‌তির অ‌ভি‌যো‌গে স্থানীয় সরকার ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ কর‌ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ক্ষমতার অপব‌্যবহার ক‌রে ঘুষ দুর্নী‌তির অ‌ভি‌যো‌গে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনকে ২২ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব ক‌রে‌ছিল দুদক টিম। তারই ধারাবা‌হিকতায় বৃহস্প‌তিবার সাড়ে এগারোটার দিকে তি‌নি রাজধানীর সেগুনবা‌গিচাস্থ দুদকের প্রধান কার্যাল‌য়ে আ‌সেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা‌কে দুর্নী‌তির বিষ‌য়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হ‌চ্ছে।

ক‌মিশ‌নের ডেপু‌টি ডাই‌রেক্টর আকতারুল ইসলাম এ তথ‌্য নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন।

মোয়াজ্জেম হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের বর্তমান পিও ডা.

মাহমুদুল হাসান ও সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব এ বি এম গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরের বিরু‌দ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। 

অ‌ভি‌যোগ আম‌লে নিয়ে তা‌দের বিরু‌দ্ধে অনুসন্ধা‌নের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ জন্য দুদক আলাদা টিমও গঠন করে। সেই অনুসন্ধা‌নের ধারাবাহিকতায় অ‌ভি‌যো‌গের বিষ‌য়ে জিজ্ঞাসাবা‌দের জন‌্য তা‌দের দুদ‌কে হা‌জির হ‌তে বলা হয়। ডা. মাহমুদুল হাসান, তুহিন ফারাবিকে গত ২০ মে, গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরকে ২১ মে এবং মোয়াজ্জেম হোসেনকে ২২ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হ‌লেও নির্ধা‌রিত সম‌য়ে মাহমুদুল হাসান, তুহিন ফারাবি আ‌সেন‌নি। পর‌দিন তারা দুদ‌কে হা‌জির হন। দুদক টিম অ‌ভি‌যো‌গের বিষ‌য়ে জিজ্ঞাসাবাদ ক‌রেন। একই‌দিন হা‌জির হন গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরও। তিনজনই অ‌ভি‌যো‌গের বিষ‌য়ে অস্বীকার ক‌রে নি‌জে‌দের নি‌র্দোষ দা‌বি ক‌রেন। এবং ব‌্যক্তিগত কারণ দে‌খি‌য়ে মাহমুদুল হাসান পদত‌্যা‌গ কর‌বেন ব‌লেও জানান।

উল্লেখ্য, মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবির বিরু‌দ্ধে যে অভিযোগ ওঠে, সেই অভি‌যো‌গে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অন‌্যদি‌কে গাজী সালাউদ্দীন তানভীরের বিরু‌দ্ধে অভিযোগ ওঠায় তা‌কে দল থে‌কে বাদ দেয় এন‌সি‌পি।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন// 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট দ র জন

এছাড়াও পড়ুন:

চাকসু নির্বাচন: প্রথম ৪ ঘণ্টায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রথম ৪ ঘণ্টায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। 

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টায় ১৫টি কেন্দ্রে ৬০টি নির্বাচনি কক্ষে ভোট শুরু হয়েছে, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটের শুরুতেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।  

আরো পড়ুন:

চাকসু নির্বাচন: শিক্ষার্থীদের আনা নেওয়ায় ২২ বার যাতায়াত করবে শাটল ট্রেন

চাকসু জাতীয় নির্বাচনের জন্য রিহার্সেল: চবি উপাচার্য

চাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব ড. এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী জানান, সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর দুপুর ১টা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে মোট ভোটারের ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এখনও প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন রয়েচে। ভোটাররা শান্তিপূর্ণ এবং নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করছেন।

চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে লড়ছেন ৯০৮ প্রার্থী। এর মধ্যে শুধু চাকসুর ২৬টি পদে লড়বেন ৪১৫ জন প্রার্থী। চাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ২৩ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ২২ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সবচেয়ে বেশি প্রার্থী পাঁচটি নির্বাহী সদস্য পদে ৮৫ জন।

৬০টি নির্বাচনি কক্ষের প্রত্যেকটি কক্ষে রয়েছে পাঁচটি ব্যালট বাক্স। একটি কক্ষে ৫০০ জন ভোটার ভোট দিতে পারবেন। ভোট দেওয়ার জন্য প্রত্যেক ভোটার পাচ্ছেন ১০ মিনিট সময়। একজন ভোটার চাকসুতে ২৬টি ও হল সংসদে ১৪টিসহ মোট ৪০টি ভোট দিচ্ছেন। 

চাকসু নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্র ভোটার ১৬ হাজার ৮৪ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩২৯ জন শিক্ষার্থী। ছাত্র ভোটার শতকরা ৫৮.৪৭ শতাংশ এবং ছাত্রী ভোটার ৪১.১৭ শতাংশ। মোট ভোটারের ৭০ শতাংশই অনাবাসিক, বাকি ৩০ শতাংশ ভোটার থাকেন হল, হোস্টেল ও বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কটেজে।

ঢাকা/রেজাউল/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ