রাজধানী ঢাকায় পাঁচ দিনের জাতীয় আসবাব মেলা শুরু হয়েছে। ‘আমার দেশ, আমার আশা—দেশীয় ফার্নিচারে সাজাব বাসা’ স্লোগানে আয়োজিত এই মেলায় হাতিল, আখতার, ব্রাদার্স, নাদিয়া, নাভানা, পারটেক্স, রিগ্যাল, ওমেগা, লিগেসীসহ ৪৮টি ব্র্যান্ড ও প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।

বাংলাদেশ আসবাবশিল্প সমিতির আয়োজনে ঢাকার কুড়িলের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আজ মঙ্গলবার জাতীয় আসবাব মেলার উদ্বোধন করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ ও বাংলাদেশ আসবাব রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি কে এম আকতারুজ্জামান।

বাংলাদেশ আসবাবশিল্প সমিতির চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল আউয়াল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, মহাসচিব এ করিম মজুমদার, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো.

ইলিয়াস সরকার।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যখন দায়িত্ব নেয়, তখন দেশের রিজার্ভ ছিল এক বা দেড় মাসের আমদানির সমতুল্য। সে সময় ব্যাংকে ৬ বিলিয়ন ডলারের দায় ছিল। সেখানে থেকে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। এখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরের শেষে বা আগামী বছর বিনিয়োগবান্ধব পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, আসবাবশিল্পের জন্য নতুন নতুন বাজার খুঁজতে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ব্যবসায়ীদের নান্দনিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। দাম নয়, উদ্ভাবনের জন্য ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পণ্য রপ্তানি আয় বাড়াতে বাজার ও পণ্য বহুমুখীকরণের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ। তিনি বলেন, আসবাব একটি সম্ভাবনাময় খাত। এটিকে বিশ্ববাজারে নিয়ে যেতে হবে। সৃজনশীলতা, নকশা ও মান বজায় রেখে রপ্তানি বাজার দখল করতে হবে।

মেলার আয়োজকেরা জানান, আইসিসিবির গুলনকশা, পুষ্পগুচ্ছ ও রাজদর্শন হলে পাঁচ দিনের এই মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। মেলায় প্রবেশে কোনো ফি নেই। আগামী শনিবার মেলা শেষ হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আসব ব

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা কলেজে রাতে মিছিল, উত্তেজনা

ঢাকার সরকারি সাতটি কলেজ একীভূত করে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি করা নিয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার দিনভর পক্ষে–বিপক্ষে ব্লকেড কর্মসূচি, বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি শেষে রাতে ঢাকা কলেজ ছাত্রাবাস এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

ঢাকা কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ছাত্রদের একটি মিছিল কলেজের দক্ষিণ ছাত্রাবাসে দিকে যায়। এ সময় উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রদের ইঙ্গিত করে নানা স্লোগান দিতে শোনা যায়। এ নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।

এর আগে উচ্চমাধ্যমিকের এক ছাত্রকে মারধর ও শিক্ষককে হেনস্তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে ‘ব্লকেড কর্মসূচি’ পালন করেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এতে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রীরাও সংহতি জানান। তাঁরা কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার দাবিতে মিছিল করেন।

অপর দিকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে আন্দোলনকারী বেশ কিছু ছাত্র ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, স্নাতকের (সম্মান) এক ছাত্রকে মারধর করে পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভ থেকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে স্লোগান দেওয়া হয়।

এদিকে শিক্ষক হেনস্তা ও শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সারা দেশে সরকারি কলেজ, সরকারি মাদ্রাসা ও অন্যান্য অফিসে দিনব্যাপী সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা (শিক্ষক)। বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে কোনো ক্লাস হয়নি।

ঢাকা কলেজে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষকেরা বিভাগ ছেড়ে শিক্ষক লাউঞ্জে জমায়েত হয়ে প্রতিবাদ জানান। কলেজের শহীদ মিনারের সামনেও কিছুক্ষণ অবস্থান করেন তাঁরা। এতে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ইলিয়াস হোসেনও অংশ নেন।

ঢাকার সাতটি বড় সরকারি কলেজ একীভূত করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় করতে যাচ্ছে সরকার। প্রস্তাবিত এই কাঠামো নিয়ে কলেজগুলোর শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছেন এবং শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা আন্দোলন করছেন।

আরও পড়ুনসায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে ব্লকেড কর্মসূচি ঢাকা কলেজের ছাত্রদের১৩ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ