ছয়টি হলের নাম পরিবর্তন, সম্মতি পেলে একটি হবে খালেদা জিয়ার নামে
Published: 19th, June 2025 GMT
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি আবাসিক হল ও একটি একাডেমিক ভবনের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এম জাহাঙ্গীর কবির স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।
অফিস আদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নামকরণ করা হয়েছে বিজয় ২৪ হল, তাজউদ্দীন আহমদ হলের নামকরণ হয়েছে শহীদ আবরার ফাহাদ হল, শেখ রাসেল হলের নামকরণ হয়েছে শহীদ নূর হোসেন হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নামকরণ হয়েছে বেগম রোকেয়া হল, আইভি রহমান হলের নামকরণ হয়েছে নবাব ফয়জুন্নেছা হল এবং ড.
এ ছাড়া শেখ সায়েরা খাতুন হলের নামকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার নামে। তবে নামকরণের প্রস্তাবটি খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের সম্মতি সাপেক্ষে চূড়ান্ত করা হবে বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৯তম রিজেন্ট বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। অফিস আদেশে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হল ও ভবনের নাম পরিবর্তনের দাবি তোলেন। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি গুগল ফরম তৈরি করে সবার মধ্যে তা প্রচারসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় করে। সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে এসব হল ও ভবনের নাম পরিবর্তন করে অনুমোদন দিয়ে সুপারিশের জন্য রিজেন্ট বোর্ডে উপস্থাপন করা হলে রিজেন্ট বোর্ড তা অনুমোদন করে।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার প্রফেসর এম জাহাঙ্গীর কবির বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসব হল ও ভবনের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ড তা অনুমোদন করে। শেখ সায়েরা খাতুন হলের নাম খালেদা জিয়া রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁর পরিবারের সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কোনো আপত্তি না থাকলে ওই হলের নাম খালেদা জিয়ার নামেই নামকরণ করা হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন হল র ন ম
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে শিক্ষকের বাড়িতে চুরি, ১২ দিনেও উদ্ধার হয়নি লুন্ঠিত মালামাল
বন্দরের সর্বত্রই চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে আশংকাজনকহারে। এক শ্রেণীর পেশাদার চোর দীর্ঘ দিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে এসব চুরির ঘটনা ঘটিয়ে আসছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগসূত্রে জানা যায়।
অতি সম্প্রতি (২৭ অক্টোবর) বন্দরের বাবুপাড়া গৌপীনাথ বন্দর সংলগ্ন ৫তলার বাড়ির নিচতলার ভাড়াটিয়া ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল শাখার সহকারি প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মিয়ার ঘরের তালা ভেঙ্গে অজ্ঞাতনামা চোরেরা ঘরের আলমিরাতে রক্ষিত নগদ ১লাখ ১০ হাজার টাকা ও ১০ লক্ষাধিক মূল্যেও ৪ভরি ওজনের স্বর্ণের অলংকার নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শিক্ষক আলাউদ্দিন বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও অদ্যাবধি লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার কিংবা চোরের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে শিক্ষক আলাউদ্দিন জানান,বিষয়টি নিয়ে ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং তাকে কিছু ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেয়া হয়েছে তিনি কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর কয়েক বছর আগেও একই এলাকার ডাঃ বিমল চন্দ্র ঘোষের ঘর থেকে একই কায়দায় ৬ভরি স্বর্ণের অলংকার ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায় অজ্ঞাত চোরেরা। সে সময় পুলিশের গফিলতির কারণে ওই ঘটনার কোন অগ্রগতি হয়নি।