পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কিছু মৌলিক কার্যক্রমের উদ্যোগ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। 

শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। ‘সাম্প্রতিক পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি ও পার্বত্য চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পেছনে যে রাজনৈতিক শক্তি আছে, তাদের কাছে আদিবাসী শব্দ কতটা গ্রহণীয়, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাই এখানে চ্যালেঞ্জ অনেক বড়।

দেশে ‘আদিবাসী’ শব্দ নিয়ে গবেষণা করা দরকার বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আদিবাসী শব্দ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভিন্ন তথ্য দেওয়া হয়। শব্দটির অর্থ কোনো বসতির সময়কাল নাকি জীবন ও সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, সেটা খুঁজে দেখতে হবে।

অধিকার রক্ষায় ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা শুধু ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীদের অধিকার নয়। এটা সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের অধিকার। এই বোধ জাগ্রত করতে হবে। সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট অবস্থান আদায় করে নেওয়ার বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহসভাপতি অজয় এ মৃ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, সাবেক সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহসভাপতি ঊষাতন তালুকদার, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহসাধারণ সম্পাদক গজেন্দ্রনাথ মাহাতো প্রমুখ। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আদিবাসী অধিকারকর্মী সতেজ চাকমা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড ইফত খ র জ জ ম ন ট আইব আদ ব স

এছাড়াও পড়ুন:

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি, সহসভাপতি ও পরিচালক পদে ভোট গ্রহণ ৭ সেপ্টেম্বর

দেশের ব্যবসায়ী–শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি, সহসভাপতি ও পরিচালক পদে এবার সরাসরি ভোট হবে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ফেডারেশনের সাধারণ পরিষদের সদস্যরা ভোট দিয়ে ১জন করে সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি; ২ জন সহসভাপতি এবং ৩০ জন পরিচালক নির্বাচন করবেন।

এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন বোর্ড আজ বুধবার সংগঠনটির ২০২৫-২৭ সাল মেয়াদ পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের তফসিল প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, ২ জুলাইয়ের মধ্যে ফেডারেশনের সদস্যভুক্ত সব চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনকে এফবিসিসিআইয়ের সাধারণ পরিষদের জন্য মনোনীত প্রতিনিধিদের তালিকা পাঠাতে হবে।

গত ৩ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) মো. আবদুর রাজ্জাককে প্রধান করে এফবিসিসিআইয়ের তিন সদস্যের নির্বাচন বোর্ড গঠন করা হয়। নির্বাচন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আবদুর রহিম খান।

নির্বাচনী তফসিলে বলা হয়েছে, বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২ ও বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা ২০২৫ অনুসরণ করে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদের আকার ৮০ থেকে ৪৬ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। এই পর্ষদে একজন সভাপতি, একজন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও দুজন সহসভাপতি থাকবেন। গত নির্বাচন পর্যন্ত পর্ষদে সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতির সঙ্গে ছয়জন সহসভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন।

নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, ২০২৫-২৭ সাল মেয়াদে ৪৬ জনের পর্ষদে একজন সভাপতি, একজন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও দুজন সহসভাপতির বাইরে ৪২ জন পরিচালক থাকবেন। তাঁদের মধ্যে পণ্যভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন বা অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বার গ্রুপ থেকে ১৫ জন করে ৩০ জন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। বাকি ১২ জন হবেন মনোনীত পরিচালক। তাঁদের মধ্যে অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বার থেকে ৫ জন করে ১০ জন এবং নারী চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন থেকে ১ জন করে ২ জন আসবেন পর্ষদে।

সভাপতি পদের মনোনয়ন ফি ১২ লাখ টাকা
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি পদে ভোটে অংশগ্রহণ করতে হলে একজন ব্যবসায়ীকে শুধু মনোনয়ন ফি বাবদ ১২ লাখ টাকা খরচ করতে হবে। জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি পদের বিপরীতে ১০ লাখ এবং সহসভাপতি পদের জন্য ৯ লাখ টাকা মনোনয়ন ফি দিতে হবে। আর পরিচালক পদের মনোনয়ন ফি ২ লাখ টাকা।
এদিকে এফবিসিসিআইয়ের সাধারণ পরিষদের সদস্যদের প্রতি এককালীন দ্বিবার্ষিক নিবন্ধন ফি ২০ হাজার টাকা। ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত অ্যাসোসিয়েশন থেকে ৫ জন এবং ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত অ্যাসোসিয়েশন থেকে ৩ জন সাধারণ পরিষদের সদস্য হবেন। অন্যদিকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত চেম্বার থেকে ৬ জন এবং ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত অ্যাসোসিয়েশন থেকে ৪ জন সাধারণ পরিষদের সদস্য হবেন।

কারা নির্বাচন করতে পারবেন
এখন থেকে এফবিসিসিআইর নির্বাহী কমিটি বা পর্ষদে টানা সর্বোচ্চ দুবার থাকা যাবে। তবে একবার বিরতি দিয়ে আবার নির্বাচন করা যাবে। এই নিয়ম ভবিষ্যতের পাশাপাশি বিগত সময়ের জন্যও প্রযোজ্য হবে। বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা-২০২৫–এ থাকা এই উপবিধির বিষয়টি এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনের তফসিলে রাখা হয়েছে। সে জন্য গত দুই পর্ষদে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

তফসিলে বলা হয়েছে, ঋণখেলাপি, করখেলাপি ও ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে এবং মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যাবে না। নির্বাচনে অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বার গ্রুপের একেকজন ভোটার ১৯টি (সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও দুজন সহসভাপতি এবং ১৫ জন পরিচালক) করে ভোট দেবেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হন সদস্যদের একাংশ। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সভাপতি পদ থেকে মাহবুবুল আলম পদত্যাগ করেন। পরে ১১ সেপ্টেম্বর এফবিসিসিআইয়ের পর্ষদ বাতিল করে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য মো. হাফিজুর রহমানকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাবেক দুই সামরিক কর্মকর্তার নেতৃত্বে নতুন দল, প্রধান উপদেষ্টা সেলিম প্রধান
  • নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক সংস্কার হতে হবে: রাশেদ প্রধান
  • বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের সভাপতি প্রার্থী জাকির হোসেন
  • দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ও দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার বিষয়ে অধিকাংশ দল একমত: আলী রীয়াজ
  • এনসিসির মতো প্রতিষ্ঠান গঠনের তাগিদ অনুভব করছে দলগুলো: আলী রীয়াজ
  • এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি, সহসভাপতি ও পরিচালক পদে ভোট গ্রহণ ৭ সেপ্টেম্বর