দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড শিরোনামহীনের সঙ্গে মিশে আছে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে ছেলে সমাইদুল ইসলাম সাইমনের নাম। কারণ  আগ্রাবাদের সরল জীবন থেকে শুরু হয়ে আজ শিরোনামহীনের কীবোর্ডে ঝড় তুলেন তিনি।  

সাইমনের সঙ্গে কথা বলে খুব দ্রুত বোঝা যায়, তার নিজস্ব এক রকম ধৈর্য আর পরিশ্রমের গল্প আছে, যা তাকে আজকের উচ্চতায় নিয়ে এসেছে। ভাইয়ের ডিভিডিতে দেখা এক পিয়ানোবাদকের অর্কেস্ট্রার ভিডিওই তাকে কীবোর্ড শেখার আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল। গিটার শেখার আগ্রহ ছিল বন্ধুদের দেখে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পিয়ানোতেই পাগল হয়ে গেল সে।

নিজেকে ‘সেল্ফ টচট মিউজিশিয়ান’ বলতে ভালোবাসেন সাইমন। তার ভাষ্য, ‘আমি কখনো কোনো গুরুর কাছে গিয়ে সিগন্যাল পাইনি, নিজেরাই চেষ্টা করে শিখেছি।’

কলেজ জীবনে প্রথম বন্ধুদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি করেন সাইমন। ২০১৩ সালে যোগ দেন চট্টগ্রামের ব্যান্ড মেট্রিক্যালের কীবোর্ডিস্ট হিসেবে। ২০১৫ সালে ‘ফিরে এসো’ গানটির সুর রচনা করে ব্যান্ডের জনপ্রিয়তাও বাড়িয়ে দিলেন। এরপর ‘গণতন্ত্রের ঘুড়ি’, ‘অনুভূতি যত’সহ আরও বেশ কিছু গানের সুর রচনা তারই প্রতিভার সাক্ষ্য।

বাংলাদেশের রক লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য পেয়ে তিনি আজও কৃতজ্ঞ। সাইমন জানান বাচ্চু ভাই আমাকে ‘চকলেট বয়’ ডাকতেন, তার সঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি করে বাজানো ছিল জীবনের বড় পাওয়া,”

২০১৮ সালের শেষে যুক্ত হন শিরোনামহীনের সঙ্গে। ২০১৯ সালে ‘এই অবেলায়’ গান দিয়ে শুরু হয় তার যাত্রা শিরোনামহীনের কীবোর্ডে। ‘ক্যাফেটেরিয়া পেরিয়ে’, ‘কাশফুলের শহর দেখা’, ‘পারফিউম’-এসব গানেই তার সুরের ছোঁয়া স্পষ্ট।

শিরোনামহীনের ‘পারফিউম’, ‘দি অনলি হেডলাইনার’, ‘বাতিঘর’ অ্যালবামে কাজ করেছেন সাইমন। ‘বাতিঘর’ অ্যালবামের ‘মা’ গানের সুর রচনা তার কাছে বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। যে গান যাইগা করে নিয়েছে লাখো ভক্তের মনে।

সাইমন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে যাদের গান শুনে বড় হয়েছি, আজ তাদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি করতে পারছি—এই ভাবনাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় খুশি। শিরোনামহীন মানেই নতুন কিছু, অন্যরকম কিছু। আমি সবসময় চ্যালেঞ্জ পছন্দ করি, স্বপ্ন দেখি একদিন লন্ডনের রয়েল আলবার্ট হলে শিরোনামহীনের সঙ্গে পারফর্ম করব।’


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ইমন

এছাড়াও পড়ুন:

আজই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাজ্য

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার আজ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দিতে পারেন। 

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে এ সংক্রান্ত বিবৃতি প্রকাশ করতে পারে স্টারমার প্রশাসন। খবর বিবিসির। 

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টা নিউইয়র্ক যাচ্ছেন রবিবার

ইসরায়েলকে আরো ৬৪০ কোটি ডলারের অস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে গত জুলাইয়ে যুক্তরাজ্য জানিয়েছিল, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।

জুলাইয়ে স্টারমার জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যদি ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং দুই-রাষ্ট্র সমাধানের পথে টেকসই শান্তিচুক্তির জন্য যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়, তবে যুক্তরাজ্য তার অবস্থান পরিবর্তন করবে।

যুক্তরাজ্য ছাড়াও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, পর্তুগাল ও লুক্সেমবার্গ। সেই অনুযায়ী দেশগুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সরকারি সূত্র বলছে, গত কয়েক সপ্তাহে গাজার পরিস্থিতি তীব্রভাবে অবনতি হওয়ায় এবং সেখানে অনাহার ও সহিংসতার চিত্র সামনে আসায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে নৈতিক দায়বদ্ধতার কথাই প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। 

জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা গাজার সাম্প্রতিক স্থল অভিযানকে ‘প্রলয়ঙ্কর’ উল্লেখ করেছেন। একই সময়ে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন এই সপ্তাহে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ উপস্থাপন করে, যা ইসরায়েল ‘বিকৃত ও মিথ্যা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।

যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক নীতিতে এই রদবদলকে ইসরায়েলি সরকার, কিছু কনজারভেটিভ নেতা ও জিম্মিদের পরিবার তীব্রভাবে সমালোচনা করেছেন। 

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এমন পদক্ষেপ ‘সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করা’।

কনজারভেটিভ নেতা কেমি বেইডনক ও কয়েকজন জিম্মির আত্মীয়রা বলেছেন, জিম্মিদের মুক্তির আগে স্বীকৃতি দিলে তা কথিতভাবে মুক্তি প্রক্রিয়া জটিল করবে; বর্তমানে হামাসের হাতে অবশিষ্ট ৪৮ জন জিম্মির মধ্যে আনুমানিক ২০ জন জীবিত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং দু’পক্ষই ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি শাসনে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না বলে পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ