৩৭ দফা দাবিতে কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সড়ক-রেলপথ অবরোধ, ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
Published: 22nd, June 2025 GMT
রংপুর কারমাইকেল কলেজে একাডেমিক ভবন, অডিটরিয়াম, আবাসিক হল নির্মাণসহ ৩৭ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে শহরের লালবাগ এলাকায় ৩ ঘণ্টা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে দেন শিক্ষার্থীরা। পরে কলেজের অধ্যক্ষ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে তাঁরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষা উপদেষ্টা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ক্যাম্পাসে এসে দাবি মেনে না নিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন কর্মসূচি চালিয়ে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এর আগে আজ রোববার সকাল থেকে কলেজে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা কলেজ প্রশাসনকে ২৫ দফা এবং শিক্ষা উপদেষ্টা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ১২ দফা দাবি জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবিগুলো হলো কলেজের সব খাতে আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি করা, নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ, মানসম্মত অডিটরিয়াম নির্মাণে পূর্ণ বরাদ্দ নিশ্চিত করা, কলেজের দখলকৃত জমি উদ্ধার এবং কলেজ চত্বরে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে রাস্তা প্রশস্ত করা ও সৌন্দর্যবর্ধনমূলক ফটক নির্মাণ, কলেজের জমি অন্য কোথাও না দেওয়ার লিখিত নিশ্চয়তা, হলসংখ্যা বৃদ্ধি এবং পুরোনো হলগুলোর সংস্কার, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য অন্তত ছয়টি বাস সরবরাহ, প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ স্মার্ট ক্লাসরুমে রূপান্তর, কলেজে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ, বিজ্ঞান বিভাগের জন্য আধুনিক ল্যাবরেটরি ও উন্নত সরঞ্জাম প্রদান ইত্যাদি।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বছরের পর বছর শ্রেণিকক্ষে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার অভাব, নতুন বিভাগ সংযোজনের প্রয়োজন, পর্যাপ্ত বাস–সংকট, ছাত্রী বিশ্রামাগারের অনুপযুক্ত পরিবেশ, নিরাপত্তাহীনতা ও আইসিটি–সুবিধার ঘাটতি নিয়ে তাঁরা অবহেলিত থেকেছেন। বারবার প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে কলেজের নানাবিধ সংকটের কথা জানিয়ে আসছি। কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়েই আমরা আন্দোলনে নেমেছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি পদে পদে সংকটে জর্জরিত। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
২৪ ঘণ্টার আলটিমেটামের ঘোষণা দেন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। শিক্ষা উপদেষ্টা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে সরাসরি আমাদের কথা শুনতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। প্রশাসন দ্রুত দাবি মেনে না নিলে আমাদের আন্দোলন আরও কঠোর হবে।’
ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কল জ র
এছাড়াও পড়ুন:
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে জয়ে শুরু বাংলাদেশের
ভিয়েনতিয়েনের আকাশে ছিল বাংলাদেশি মেয়েদের বিজয়ের রঙ। অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই লাওসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বুধবারের (০৬ আগস্ট) ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন সাগরিকা। আর একটি গোল এসেছে মুক্তির পা থেকে।
ম্যাচের ৩৬ মিনিটে শান্তি মার্ডির কর্নার থেকে সাগরিকার হেডে আসে প্রথম গোল। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে ৮ গোল করে আলো ছড়ানো এই তরুণী আবারও প্রমাণ করলেন, তিনি শুধু প্রতিভাবান নন, ধারাবাহিকও।
প্রথমার্ধে আরও একটি গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন সিনহা জাহান শিখা। কিন্তু তার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৮ মিনিটে মুক্তির নিখুঁত ফিনিশিংয়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। যদিও ৮৬ মিনিটে লাওস একটি গোল শোধ করে। ইনজুরি টাইমে সাগরিকার দ্বিতীয় গোলটি নিশ্চিত করে বাংলাদেশের জয়।
আরো পড়ুন:
ম্যাচসেরা হয়ে পুরস্কার পেলেন এক বস্তা আলু!
অবশেষে সংশয়ই সত্যি হলো, মাঠের বাইরে মেসি
আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে লাওস (১০৭) বাংলাদেশের (১২৮) চেয়ে এগিয়ে থাকলেও মাঠে তার ছাপ ছিল না। এটি ছিল দুই দলের প্রথম মুখোমুখি লড়াই। যেখানে বাংলাদেশ নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে।
‘এইচ’ গ্রুপে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ৮ আগস্ট, প্রতিপক্ষ পূর্ব তিমুর। দক্ষিণ কোরিয়া ইতিমধ্যে পূর্ব তিমুরকে ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে। যা গ্রুপের শক্তির ভারসাম্য বুঝিয়ে দেয়। তবে বাংলাদেশ যদি শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পারে, তাহলে ইতিহাস রচনার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। এমনকি দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও মূলপর্বে খেলার সুযোগ রয়েছে। কারণ, সেরা তিন রানার্স-আপ দল থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য মূল আসরে জায়গা পাবে।
ঢাকা/আমিনুল