লালমাইয়ে পাল্টাপাল্টি জিডি প্রকৌশলী ও সাংবাদিকের
Published: 22nd, June 2025 GMT
কুমিল্লার লালমাই উপজেলা প্রকৌশলী ও স্থানীয় এক সাংবাদিক গতকাল শনিবার একে অন্যের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
আজ রোববার বিকেলে লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম দুটি জিডির তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার। এ ছাড়া তাঁদেরও পরামর্শ দিয়েছি, নিজেরা বিষয়টি সমাধান করে ফেলার জন্য।’
দৈনিক সংবাদের উপজেলা প্রতিনিধি মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘শনিবার (গতকাল) বিকেলে আমিসহ কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিক উপজেলা কমপ্লেক্সের নতুন ভবন দেখতে যাই। সেখানে দ্বিতীয় তলায় তালাবদ্ধ আটটি কক্ষের দরজায় এলজিইডি লেখা দেখতে পাই। পরে সেখানে উপস্থিত থাকা উপজেলা প্রকৌশলী সাবরীন মাহফুজের কাছে জানতে চাই, তাঁদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট কেউ কক্ষ ভাগ করে (বরাদ্দ) দিয়েছেন কি না? এ প্রশ্ন শুনেই উপজেলা প্রকৌশলী আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন; বলতে থাকেন, “আমি কক্ষ বরাদ্দ কমিটির সদস্যসচিব, এই ভবন আমাদের। আমি ঠিক করব কে কোথায় বসবে।’”
মাসুদ রানার দাবি, উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করছিলেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন প্রকৌশলী। পরে তিনি ওই দিন রাতে নিজের নিরাপত্তার জন্য থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি শুনেছেন, সন্ধ্যায় ওই প্রকৌশলীও তাঁর বিরুদ্ধে জিডি করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মোসা.
আজ বিকেলে এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিমাদ্রি খীসা প্রথম আলোকে বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যার পর বিষয়টি আমি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। তবে উপজেলা প্রকৌশলী থানায় যাওয়ার বিষয়ে আমাকে কিছুই জানাননি। আমরা বিষয়টির বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল ক উপজ ল ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
হয়রানির অভিযোগে দক্ষিণ বনশ্রীতে প্লটমালিকদের মানববন্ধন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে বৈধ প্লট ও বাড়ির মালিকদের হয়রানির অভিযোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে দক্ষিণ বনশ্রী প্লট মালিক কল্যাণ সমিতি। বুধবার দুপুরে দক্ষিণ বনশ্রী মেইন রোডে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, কিছু অসাধু কর্মকর্তা বৈধভাবে ক্রয়কৃত জমি ও বাড়ির মালিকদের হয়রানি করছেন এবং নির্মাণকাজে বাধা দিচ্ছেন। তাঁরা দাবি করেন, খাল দখলের যে অভিযোগ সিটি করপোরেশন করছে, তা সঠিক নয়। কারণ, প্রায় ২৫ বছর আগে ইস্টার্ন হাউজিং জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দলিল বিনিময়ের মাধ্যমে খালটি গ্রহণ করে প্লট তৈরি করে মালিকদের কাছে বিক্রি করে।
বক্তারা বলেন, রাজউক অনুমোদিত মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী তৈরি বাড়িগুলো অবৈধ হতে পারে না। এ ছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ভেতরে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন প্লটকে রাস্তা দাবি করছে। অথচ সিটি করপোরেশন ওই দাবি যাচাই না করেই রাজউক নির্ধারিত সীমানাপ্রাচীর ভাঙার চেষ্টা করছে।
প্রতিবাদ সমাবেশে দক্ষিণ বনশ্রী প্লট মালিক কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ, সাধারণ সম্পাদক রফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।