কুমিল্লার লালমাই উপজেলা প্রকৌশলী ও স্থানীয় এক সাংবাদিক গতকাল শনিবার একে অন্যের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

আজ রোববার বিকেলে লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম দুটি জিডির তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার। এ ছাড়া তাঁদেরও পরামর্শ দিয়েছি, নিজেরা বিষয়টি সমাধান করে ফেলার জন্য।’

দৈনিক সংবাদের উপজেলা প্রতিনিধি মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘শনিবার (গতকাল) বিকেলে আমিসহ কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিক উপজেলা কমপ্লেক্সের নতুন ভবন দেখতে যাই। সেখানে দ্বিতীয় তলায় তালাবদ্ধ আটটি কক্ষের দরজায় এলজিইডি লেখা দেখতে পাই। পরে সেখানে উপস্থিত থাকা উপজেলা প্রকৌশলী সাবরীন মাহফুজের কাছে জানতে চাই, তাঁদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট কেউ কক্ষ ভাগ করে (বরাদ্দ) দিয়েছেন কি না? এ প্রশ্ন শুনেই উপজেলা প্রকৌশলী আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন; বলতে থাকেন, “আমি কক্ষ বরাদ্দ কমিটির সদস্যসচিব, এই ভবন আমাদের। আমি ঠিক করব কে কোথায় বসবে।’”

মাসুদ রানার দাবি, উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করছিলেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন প্রকৌশলী। পরে তিনি ওই দিন রাতে নিজের নিরাপত্তার জন্য থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি শুনেছেন, সন্ধ্যায় ওই প্রকৌশলীও তাঁর বিরুদ্ধে জিডি করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মোসা.

সাবরীন মাহফুজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিনি (মাসুদ) হঠাৎ এসে আমাকে উদ্দেশ্যমূলক বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকেন। এরপরও আমি চেষ্টা করেছি ভালোভাবে তাঁর প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য। একপর্যায়ে মাসুদ সাহেব আমার অনুমতি না নিয়ে ভিডিও করতে থাকেন। আমি তাঁকে বারবার বলেছি, আপনি আমার অনুমতি ছাড়া এভাবে ভিডিও করতে পারেন না। কিন্তু তিনি ভিডিও করেই গেছেন। আমি একজন নারী অফিসার, নিরাপত্তারও একটি বিষয় থাকে। পরে আমি বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে জানালেও তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। এরপর নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছি।’

আজ বিকেলে এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিমাদ্রি খীসা প্রথম আলোকে বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যার পর বিষয়টি আমি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। তবে উপজেলা প্রকৌশলী থানায় যাওয়ার বিষয়ে আমাকে কিছুই জানাননি। আমরা বিষয়টির বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম আল ক উপজ ল ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে জয়ে শুরু বাংলাদেশের

ভিয়েনতিয়েনের আকাশে ছিল বাংলাদেশি মেয়েদের বিজয়ের রঙ। অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই লাওসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বুধবারের (০৬ আগস্ট) ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন সাগরিকা। আর একটি গোল এসেছে মুক্তির পা থেকে।

ম্যাচের ৩৬ মিনিটে শান্তি মার্ডির কর্নার থেকে সাগরিকার হেডে আসে প্রথম গোল। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে ৮ গোল করে আলো ছড়ানো এই তরুণী আবারও প্রমাণ করলেন, তিনি শুধু প্রতিভাবান নন, ধারাবাহিকও। 

প্রথমার্ধে আরও একটি গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন সিনহা জাহান শিখা। কিন্তু তার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৮ মিনিটে মুক্তির নিখুঁত ফিনিশিংয়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। যদিও ৮৬ মিনিটে লাওস একটি গোল শোধ করে। ইনজুরি টাইমে সাগরিকার দ্বিতীয় গোলটি নিশ্চিত করে বাংলাদেশের জয়।

আরো পড়ুন:

ম্যাচসেরা হয়ে পুরস্কার পেলেন এক বস্তা আলু!

অবশেষে সংশয়ই সত্যি হলো, মাঠের বাইরে মেসি

আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিংয়ে লাওস (১০৭) বাংলাদেশের (১২৮) চেয়ে এগিয়ে থাকলেও মাঠে তার ছাপ ছিল না। এটি ছিল দুই দলের প্রথম মুখোমুখি লড়াই। যেখানে বাংলাদেশ নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে।

‘এইচ’ গ্রুপে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ৮ আগস্ট, প্রতিপক্ষ পূর্ব তিমুর। দক্ষিণ কোরিয়া ইতিমধ্যে পূর্ব তিমুরকে ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে। যা গ্রুপের শক্তির ভারসাম্য বুঝিয়ে দেয়। তবে বাংলাদেশ যদি শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পারে, তাহলে ইতিহাস রচনার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। এমনকি দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও মূলপর্বে খেলার সুযোগ রয়েছে। কারণ, সেরা তিন রানার্স-আপ দল থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য মূল আসরে জায়গা পাবে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ