এটা সম্পূর্ণ ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারাধীন: শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ নিয়ে প্রসিকিউটর
Published: 22nd, June 2025 GMT
একটি মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে নিয়োগ দেওয়া আইনজীবী আমিনুল গনি (টিটু) ফেসবুকে ক্ষমতাচ্যুত এই প্রধানমন্ত্রীর ফাঁসি চেয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন একজনকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম বলেছেন, ‘এটা সম্পূর্ণ ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারাধীন। এটাতে প্রসিকিউশনের করণীয় কিছু নেই।’
রোববার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুনানি শেষে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মিজানুল ইসলাম এ কথা বলেন।
ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, শেখ হাসিনার পক্ষে যে আইনজীবীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তিনি আগেই তাঁর ফাঁসি চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। এসব বিষয় ট্রাইব্যুনালের নজরে এনেছেন কি না, কিংবা এসব বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না।
জবাবে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল তো আজকে প্রকাশ্যেই ছিলেন। আপনারাও উপস্থিত ছিলেন। এটা ট্রাইব্যুনালের বিষয়। ট্রাইব্যুনাল বিবেচনা করবেন তাঁর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ এসেছে বা কী আদেশ দেওয়া উচিত বা কী আদেশ দিয়েছেন—এটা ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত দেবেন। এটা সম্পূর্ণ ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারাধীন। এখানে প্রসিকিউশনের করণীয় কিছু নেই।’
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও ছড়িয়ে পড়ে। তাতে নারী কণ্ঠের একজনকে বলতে শোনা যায়, সারা দেশে তাঁর নামে ২২৭টি হত্যা মামলা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তিনি ২২৭টি হত্যার লাইসেন্স পেয়েছেন।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা এই অডিও ফরেনসিক পরীক্ষা করে। তাতে তারা নিশ্চিত হয় যে এ কথা বলেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ) ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুল ওরফে মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নায়িকা তিশার বিরুদ্ধে মামলা
প্রতারণার অভিযোগে অভিনেত্রী তানজিন তিশার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১৮ নম্বর কোর্টে ৪২০/৪০৬ ধারায় তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন এ্যাপোনিয়ার ফ্যাশনের এক্সিকিউটিভ মো. আমিনুল ইসলাম। সি. আর মামলা নম্বর ৯৬২/২০২৫।
আরো পড়ুন:
বিরতির কারণ জানালেন তানজিন তিশা
গিফট নিয়ে হয়ে গেলাম প্রতারক: তানজিন তিশা
মামলায় দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৬ ধারায় অপরাধ আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ চাওয়া হলে, ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালত তিশার বিরুদ্ধে মামলাটি আমলে নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ সম্পর্কে বাদী পক্ষের আইনজীবী বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট সলিমুল্লাহ সরকার গণমাধ্যমে বলেন, “তানজিন তিশার মতো তারকা একজন নারী উদ্যোক্তার সঙ্গে যে ধরনের প্রতারণা করেছেন তা কাম্য নয়। উনি চাইলেই বিষয়টি সমাধান করতে পারতেন। কিন্তু সেটা না করে তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে মানহানিকর স্ট্যাটাস দিয়ে সামাজিকভাবে হেয় করেছেন। একজন নারী উদ্যোক্তাকে যেখানে উনার পেট্রোনাইজ করার কথা, সেখানে প্রতারণা করলেন। এ জন্য তাকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আইনি নোটিশের কোনো জবাব দেননি। তাই আমার মক্কেল তিশার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছেন।”
‘এ্যাপোনিয়া’ নামে একটি অনলাইন ফ্যাশন পেজ থেকে ২৮ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের একটি শাড়ি নিয়েছিলেন তিশা। কথা ছিল শাড়িটির টাকা না দিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রমোশন করবেন নিজের ফেসবুক পেজে। কিন্তু তিশা তা করেননি, টাকাও দেননি। একপর্যায়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্যই প্রতারণার অভিযোগ আনেন ফ্যাশন পেজটির কর্ণধার।
ওই নারী উদ্যোক্তার সঙ্গে তিশার ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও ভয়েস মেসেজে কথোপকথন পর্যালোচনা করে প্রতারণার সত্যতা পাওয়া গেছে। যা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে সম্প্রতি তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন তিশা। বিষয়টি নিয়ে তিশা তার ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে দাবি করেছিলেন, “ওই শাড়িটি নাকি উপহার দিয়েছেন নারী উদ্যোক্তা।”
এরপর প্রতারণা, মানহানিকর কথা ও ছলচাতুরীর অভিযোগে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে তানজিন তিশাকে (তানজিন নাহার তিশা) আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন ‘এ্যাপোনিয়া’ অনলাইন ফ্যাশন পেজের কর্ণধার ঝিনুকের হয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সলিমুল্লাহ সরকার। গত ২২ অক্টোবর তানজিন তিশার বাসার ঠিকানায় ডাকযোগে এবং তিশার হোয়াটসঅ্যাপে আইনি নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছিলেন এ্যাপোনিয়া কর্তৃপক্ষ।
আইনি নোটিশে এক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি ওই নারী উদ্যোক্তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যাচার করার জন্য ক্ষমা চাইতে বলা হয় তিশাকে। কিন্তু আইনি নোটিশে বেধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও বিষয়টি নিয়ে কোনো সমাধানে যাননি তিশা। উল্টো বলেছেন, “গিফট নিয়ে হয়ে গেলাম প্রতারক।”
ফ্যাশন পেজের কর্ণধার ঝিনুক গণমাধ্যমে বলেন, “যে কোনো পেশাতেই একটা ইথিক্স থাকে। সেই অনুযায়ী কাজ না করলে পেশার সম্মান থাকে না। শিল্পীরা তো পানির মতো সহজ সরল হওয়ার কথা। তারা মানুষের জন্যই কাজ করেন। তাদেরকে মানুষ ফলো করেন। কিন্তু শিল্পী যদি এভাবে প্রতারণা করেন, মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ করেন সেটা আসলে দুঃখজনক। যেহেতু বিষয়টি মামলায় গড়িয়েছে। আমি আইনের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। আমার বিশ্বাস ন্যায় বিচার পাব।”
তিশা তার ক্যারিয়ারে দারুণ সময় পার করছেন। শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে বড় পর্দায় পা রাখতে যাচ্ছেন। ‘সোলজার’ শিরোনামের সিনেমাটি পরিচালনা করছেন সাকিব ফাহাদ।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত