ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, প্রতিবাদে বিশ্বের শহরে শহরে বিক্ষোভ
Published: 23rd, June 2025 GMT
ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় শনিবার মধ্যরাতের পর হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রতিবাদে গতকাল রোববার বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইরানের ইরানের তেহরানে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলার প্রতিবাদে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। দেশটির রাজধানীজুড়ে রোববার সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে সেখানে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।
তেহরানের আজাদি স্কয়ার, ফার্দৌসি স্কয়ার, ইমাম হোমেইনি মসজিদের সামনে এবং পার্লামেন্ট ভবনের সামনে ছিল প্রধান বিক্ষোভস্থল। তবে দেশটির বিভিন্ন স্থানেও ছোটখাটো করে বিক্ষোভ হয়। তেহরানের আজাদি স্কয়ারে আসেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। পরে তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে অংশ নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক, বোস্টন, শিকাগো, ওয়াশিংটন, লস অ্যাঞ্জেলসের মতো বড় শহরে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এ কর্মসূচিকে ‘জরুরি সমাবেশ’ বলে বর্ণনা করেছেন আয়োজকরা।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু বিক্ষোভে শত শত মানুষ অংশ নেয়, কোনোটিতে কয়েক ডজন মানুষ দেখা গেছে।
একাধিক স্থানে বিক্ষোভকারীরা ইরানের পতাকা বহন করেন। কেউ কেউ সাইনবোর্ড ও ব্যানার ধরে রেখেছিলেন বা সেগুলো বেষ্টনী ও ভবনের গায়ে লাগিয়ে রাখেন, যেখানে লেখা ছিল ‘ইরানে যুদ্ধ নয়!’
ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজের ফটকের বাইরে অন্তত ২০০ জন বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হামলার নিন্দা জানান, যাদের মধ্যে কিছু যুদ্ধবীরও ছিলেন।
লস অ্যাঞ্জেলেসে ২৬ বছর বয়সী নার্স নুর আবদেল-হাক বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণেই তিনি এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য গাজা বা ওয়েস্ট ব্যাংকে থাকেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না; আরও হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চলুক।’
ইউএস টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ
রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের হত্যা মামলার পুনঃ তদন্ত, ন্যায়বিচার নিশ্চিতসহ তিন দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা বের করেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও কারাবন্দী সদস্যদের সন্তানেরা। তবে শাহবাগ এলাকায় পৌঁছানোর পর পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। এখন তাঁরা শাহবাগ জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ করছেন।
আজ সোমবার সকালে ‘জাস্টিস ফর বিডিআর’ ব্যানারে তাঁরা বেলা সাড়ে ১১টায় শহীদ মিনারে জড়ো হন। এরপর সেখান থেকে দুপুর ১২দিকে পদযাত্রা শুরু হয়। পরে সাড়ে ১২টার দিকে শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিলে আটকে যায় পদযাত্রা। পুলিশ তাঁদের জাদুঘরের সামনের দিকে সরে যেতে অনুরোধ জানায়। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালিদ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, বিক্ষোভকারীরা আধা ঘণ্টার মতো রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। এখন তাঁদের বুঝিয়ে শাহবাগ জাদুঘরের সামনে চলে যেতে অনুরোধ করা হয়। এরপর তাঁরা বেলা ১টা ২৫ মিনিটের দিকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পদযাত্রায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর বিডিআর ট্র্যাজেডিকে ঘিরে শত শত নিরপরাধ সদস্যকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও তাঁদের জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি রাষ্ট্র। তাঁদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের হত্যা মামলার পুনঃ তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত; নিরপরাধ কারাবন্দীদের মুক্তি এবং চাকরিচ্যুত সদস্যদের ক্ষতিপূরণ ও চাকরিতে পুনর্বহাল।
চাকরিচ্যুত সদস্যদের অভিযোগ, বিগত সরকারের আমলে তদন্ত কমিশনকে নানা শর্তে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও গত ৯ মাসে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেয়নি।