টিভি নাটকের ব্যস্ত জুটি নিলয় আলমগীর ও জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। তারা দু’জন শত শত নাটকে অভিনয় করেছেন। সেসব নাটক কোটি কোটি ভিউ হয়েছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সময়কে গুরুত্ব দিয়েই ট্রেন্ডি গল্পে যেমন তারা অভিনয় করেছেন। তেমনি আবার জীবন ঘনিষ্ঠ গল্পের নাটকে অভিনয় করেও দু’জন তুমুল আলোচনায় এসেছেন। গত ঈদে নাফ এন্টারটেইমেন্টের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হয়েছে এই জুটির নাটক ‘মাছের মানুষ’। এটি ট্রেডিংয়ে শীর্ষে রয়েছে।

একই উৎসবে প্রচারিত ‘আশিকি’ নাটকটি এর আগে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষ স্থানে ছিল। এতে অভিনয় করেন ফারহান আহমেদ জোভান ও নাজনীন নিহা। নাটকের গল্প সহজসরল এক ছেলে আশিককে ঘিরে। টানা ১২ দিন ধরে এটি ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে ছিল। নাটকটি পরিচালনা করেছেন ইমরোজ শাওন। এবার নাটকটিকে পেছনে ফেলে শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে নিলয়-হিমির ‘মাছের মানুষ’। নাটকটি পরিচালনা করেছেন মহিন খান। এটি চার দিনেই ছয় লাখের মতো দর্শক দেখেছেন। মাছ বিক্রেতা ও এক ব্লগারের গল্প নিয়েই এই নাটক। নাটকে মাছ বিক্রেতা পরিবারের সবার নাম মাছ দিয়ে।

গল্পে রুইতন খানকে দেখা যায় বাবার মাছের দোকানে বসতে। সেখানে ভিডিও করতে আসেন এক তরুণী। তিনি ক্যামেরায় দেখাতে থাকেন, মাছ কীভাবে কিনতে হয়, কীভাবে দরদাম করতে হয়। মাছের দাম করা নিয়েই ব্লগারের সঙ্গে ঝগড়া হয় তরুণের। এভাবেই শুরু হয় ‘মাছের মানুষ’ নাটকের গল্প। রুইতন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিলয়। ব্লগার হিমি। জেলে পেশার প্রতি সম্মান জানাতেই এই নাটক।

নিলয় আলমগীর বলেন, ‘মাছের মানুষ’ নাটকটির গল্প অসাধারণ। নাটকের হিমির সঙ্গে আমার পর্দা রসায়ন ভালো হয়েছে বলে এটি দর্শক দেখেছেন। এত অল্প সময়ে নাটকটির দর্শক সাড়ায় আমি অভিভূত। নাটকের পুরো টিমের সদস্যরা সেরাটা দিয়েছে বলেই এ সাফল্য। ভালো গল্পের নাটকের দর্শক সবসময়ই আছে, এটি আরও একবার প্রমাণ হলো।’ হিমি বলেন, ‘নাটকে সাধারণত দর্শক চেনাজানা মানুষের ছায়া দেখতে পান। নাটকটিতে দর্শক তা খুঁজে পেয়েছেন। দর্শকের কাছে কৃতজ্ঞ যে, তারা নাটকটি দেখেছেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট ভ ন টক র গল প র ন টক কর ছ ন ন টক র ন টকট

এছাড়াও পড়ুন:

তেজগাঁও স্টেশন রোডের বাড়িতে ‘নায়ক আলমগীর’কে আবিষ্কারের গল্প

চলচ্চিত্র ৫৩ বছর পার হতে চলল চিত্রনায়ক আলমগীরের। এখন অবশ্য অভিনয়ের চেয়ে নিজের ব্যবসায় বেশি সময় দিয়ে থাকেন। তবে চলচ্চিত্র–সংশ্লিষ্ট কাজে তাঁর উপস্থিতি থাকে ঠিকই। চলচ্চিত্রে ৫৩ বছর পার করে আসা এই নায়কের শুরুটা একটু অন্য রকম। পরিচালক তাঁর বাড়িতে গিয়ে খোঁজ পেয়েছিলেন, এক ফেসবুক পোস্টে এমনটাই জানালেন আলমগীরের সংগীতশিল্পী মেয়ে আঁখি আলমগীর। নিজেদের পুরোনো বাড়ির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে বাবার নায়ক হওয়ার গল্পটাও জানিয়ে দিলেন আঁখি।

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা ‘আমার জন্মভূমি’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় চিত্রনায়ক আলমগীরের। আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ছবিটি ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায়। ছবিতে আরও অভিনয় করেন রাজ্জাক, কবরী, সুমিতা দেবী প্রমুখ। আলমগীরের বাবা কলিম উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে দুদু মিয়া ছিলেন ঢালিউডের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’–এর অন্যতম প্রযোজক। ১৯৮৫ সালে ‘মা ও ছেলে’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন আলমগীর। বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ আজীবন সম্মাননা পদক পাওয়ার রেকর্ড নায়ক আলমগীরেরই রয়েছে। পরিচালক হিসেবেও পরিচিত তিনি। ১৯৮৬ সালে তিনি প্রথম ‘নিষ্পাপ’ নামের একটি সিনেমা নির্মাণের মধ্য দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তাঁর পরিচালনায় নির্মিত সর্বশেষ সিনেমা হচ্ছে ‘একটি সিনেমার গল্প’।

চিত্রনায়ক বাবা আলমগীরের সঙ্গে দুই মেয়ে আঁখি আলমগীর ও মেহরুবা আহমেদ তুলতুল এবং ছেলে তাসভীর আহমেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তেজগাঁও স্টেশন রোডের বাড়িতে ‘নায়ক আলমগীর’কে আবিষ্কারের গল্প