চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ
Published: 23rd, June 2025 GMT
রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের হত্যা মামলার পুনঃ তদন্ত, ন্যায়বিচার নিশ্চিতসহ তিন দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা বের করেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও কারাবন্দী সদস্যদের সন্তানেরা। তবে শাহবাগ এলাকায় পৌঁছানোর পর পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। এখন তাঁরা শাহবাগ জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ করছেন।
আজ সোমবার সকালে ‘জাস্টিস ফর বিডিআর’ ব্যানারে তাঁরা বেলা সাড়ে ১১টায় শহীদ মিনারে জড়ো হন। এরপর সেখান থেকে দুপুর ১২দিকে পদযাত্রা শুরু হয়। পরে সাড়ে ১২টার দিকে শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিলে আটকে যায় পদযাত্রা। পুলিশ তাঁদের জাদুঘরের সামনের দিকে সরে যেতে অনুরোধ জানায়। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালিদ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, বিক্ষোভকারীরা আধা ঘণ্টার মতো রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। এখন তাঁদের বুঝিয়ে শাহবাগ জাদুঘরের সামনে চলে যেতে অনুরোধ করা হয়। এরপর তাঁরা বেলা ১টা ২৫ মিনিটের দিকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পদযাত্রায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর বিডিআর ট্র্যাজেডিকে ঘিরে শত শত নিরপরাধ সদস্যকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও তাঁদের জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি রাষ্ট্র। তাঁদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের হত্যা মামলার পুনঃ তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত; নিরপরাধ কারাবন্দীদের মুক্তি এবং চাকরিচ্যুত সদস্যদের ক্ষতিপূরণ ও চাকরিতে পুনর্বহাল।
চাকরিচ্যুত সদস্যদের অভিযোগ, বিগত সরকারের আমলে তদন্ত কমিশনকে নানা শর্তে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও গত ৯ মাসে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ কর চ য ত পদয ত র ব ড আর শ হব গ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
জিমেইলের ভুয়া আনসাবস্ক্রাইব বাটনের মাধ্যমে সাইবার হামলা, সতর্ক থাকার পরামর্শ
ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক কাজে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সেবা নেওয়ার জন্য নিজের ই-মেইল ঠিকানা দিয়ে নিবন্ধন করেন অনেকেই। ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবার প্রচারণামূলক বার্তা ইনবক্সে জমা হওয়ায় দরকারের সময় গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইল খুঁজে পেতে বেশ ঝামেলা হয়। এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত অবাঞ্ছিত ই-মেইলের নিবন্ধন বাতিলের জন্য জিমেইল অ্যাপে রয়েছে ‘আনসাবস্ক্রাইব’ বাটন। কিন্তু এখন সে সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে নতুন ধরনের সাইবার হামলা চালাচ্ছে হ্যাকাররা।
সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের তথ্যমতে, জিমেইলের আনসাবস্ক্রাইব বাটনের আড়ালে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে ক্ষতিকর সফটওয়্যার। ফলে ব্যবহারকারীরা বাটনটিতে ক্লিক করলেই একটি ভুয়া ওয়েবসাইটে চালু হয়। এরপর ওয়েবসাইটে থাকা কোনো অপশনে ক্লিক করলে স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে গোপনে প্রবেশ করে ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার। ক্ষতিকর ভাইরাস বা ম্যালওয়্যারটি যন্ত্রে প্রবেশ করেই ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে থাকে, এমনকি দূর থেকে যন্ত্র নিয়ন্ত্রণও করতে পারে হ্যাকাররা।
জিমেইলে প্রচারণামূলক ই-মেইলগুলোতে সাধারণত প্রেরকের নামের পাশে থাকা আনসাবস্ক্রাইব বাটনে ক্লিক করলে একটি নতুন পেজ বা পপ-আপ বক্স দেখা যায়। তাই ব্যবহারকারীদের বোকা বানাতে এই পপ-আপ বক্সের আদলেই ভুয়া ই-মেইল পাঠিয়ে থাকে হ্যাকাররা। ফলে বিভ্রান্ত হয়ে আনসাবস্ক্রাইব বাটনে ক্লিক করলেই একটি ক্ষতিকর ওয়েবসাইট চালু হয়। এরপর ব্যবহারকারীদের অজান্তেই তাঁদের স্মার্টফোন ও কম্পিউটারে ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে তথ্য চুরি করতে থাকে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এ ধরনের প্রতারণা থেকে নিরাপদ থাকতে হলে অপরিচিত প্রেরকের ই-মেইলে থাকা আনসাবস্ক্রাইব বাটনে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, অপরিচিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ই-মেইলের শিরোনামে যদি ‘অতি জরুরি’ বা কোনো সতর্কবার্তা লেখা থাকে, তবে সেটি না খোলাই ভালো। এ ছাড়া যদি দেখা যায় যে আনসাবস্ক্রাইব বাটনটি ই–মেইলের শুরুতে প্রেরকের নামের পাশে নেই বা একেবারে নিচের দিকে রয়েছে, তবে সেটি ভুয়া হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
সূত্র: নিউজ ১৮