বাস্তব ও ভার্চ্যুয়াল জগতে প্রচারিত অনেক বিষয়ই নারীর সমতা ও মানবাধিকারের পক্ষে যায় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে নারীর পক্ষে সৃজনশীল কনটেন্ট বা আধেয় নির্মাণ করা এখন জরুরি। আজ সোমবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনোয়ারা বেগমÑমুনিরা খান মিলনায়তনে ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: নারীর মানবাধিকার আন্দোলন’ শিরোনামে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা সন্দীপ কুমার মিস্ত্রী এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কনটেন্ট রাইটার ফারজানা আফরোজ। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সংগঠনের কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেন, নারী সামাজিকভাবে এবং রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে সমান অধিকার পাচ্ছে কি না, তার মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। লিঙ্গগত পরিচয়ের কারণে সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্য ঘটে চলেছে। নারীবিদ্বেষী প্রচারণা বাড়ছে। গণমাধ্যম, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী বিষয়ে কাজ হলেও নারীকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারীর অধিকারের বিষয়টি কনটেন্টের মাধ্যমে বেশি প্রচারিত হলে তা সবার কাছে গুরুত্ব পাবে।

স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, বাস্তব জগৎ ও ভার্চ্যুয়াল জগতে প্রকাশ ও প্রচার হওয়া অনেক বিষয়ই নারীর মানবাধিকার, সমতা প্রতিষ্ঠা ও বৈষম্য বিলোপের পক্ষে নেই। এই পরিস্থিতিতে নারীর মানবাধিকার ও সমতার পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে নারী আন্দোলনকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে সৃজনশীল কনটেন্ট নির্মাণ জরুরি।

কর্মশালায় বক্তব্য দেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম। তিনি বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে কাঠামোবদ্ধভাবে সাংগঠনিক কাজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে নারীকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, তার বিপরীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলার ওপর জোর দিতে হবে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের তথ্যপ্রযুক্তি উপপরিষদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দিল আফরোজ বেগম।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কনট ন ট উপস থ

এছাড়াও পড়ুন:

তীব্র অপুষ্টিতে ১২ হাজার শিশু

ফিলিস্তিনের গাজায় খাদ্যসংকটের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী শিশুরা। ইসরায়েলের অবরোধের কারণে খাবার না পেয়ে শিশুমৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাবে, গাজায় এখন পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। আর চলতি বছরের শুরু থেকে অনাহারে মৃত্যু হয়েছে ৯৯ ফিলিস্তিনির। তাঁদের মধ্যে ৩৫ জনই শিশু।

শিশুদের দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টি নিয়ে সতর্ক করে জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় পাঁচ বছরের নিচের ২ লাখ ৯০ হাজার শিশুর মধ্যে মাত্র ৮ হাজার ৭০০ শিশুকে প্রয়োজনীয় খাবার ও পুষ্টি উপকরণ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে ডব্লিউএইচওর সদর দপ্তরে মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, জুলাই মাসে গাজায় পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ হাজার শিশুকে শনাক্ত করা হয়েছে, যারা তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করা তথ্য অনুযায়ী, এটিই এক মাসে সর্বোচ্চসংখ্যক শিশুর অনাহারে থাকার ঘটনা।

তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস

সম্পর্কিত নিবন্ধ