বন্দরে গভীর রাতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মশাল মিছিল
Published: 6th, November 2025 GMT
বন্দরে গভীর রাতে নাসিম ওসমান ৩য় শীতলক্ষ্যা ব্রীজের উপর ঝটিকা মশাল মিছিল বের করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
গত বুধবার (৫ নভেম্বর) গভীর রাতে মশাল মিছিলটি শীতলক্ষ্যা সেতু সংলগ্ন ফরাজীকান্দা টোল প্লাজার অদুরে সড়ক হয়ে মিছিলটি পূনরায় ঘুরে ব্রীজ পাড় হয়ে সৈয়দপুরের দিকে দ্রুত চলে যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভিডিওতে দেখা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান ও অয়ন ওসমানের ছবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল হাতের মশাল মিছিল করছে। এদের মধ্যে একজনের মাথায় জাতীয় পতাকা বাধা। এছাড়া মাস্ক দিয়ে সবার মুখ বাধা।
শেখ হাসিনা বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে’, ‘নারায়ণগঞ্জের মাটি,শামীম ভাইয়ের ভাইয়ের ঘাটি’, ডাক দদিয়েছে শামীম ভাই ঘরে থাকার সময় নাই।
আমরা সবাই শামীম সেনা ভয় করিনা বুলেট বোমা। অয়ন ওসমান নেতৃত্বে ছাত্রলীগ রাজপথে,‘শেখ হাসিনা আসছে, রাজপথ কাপছে’,‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিতে শোনা গেছে মিছিলে।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, ওই এলাকায় আমাদের পুলিশ সদস্যরা রাত আড়াইটা-তিনটা পর্যন্ত ডিউটি করেছে। তখন কোনো মিছিল দেখিনি। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, কাজেই এ ধরনের মিছিল বেআইনি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ওসম ন
এছাড়াও পড়ুন:
আমরা একক ভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : নারায়ণগঞ্জে নাহিদ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাবেই বলেছি আমরা একক ভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ৩০০ আসনেই আমাদের প্রার্থী দেয়া লক্ষ্য। যারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেছে তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা কোন কোন স্থানে প্রার্থী দেব না, যেমনটা বেগম খালেদা জিয়ার আসনের কথা উঠেছে।
সর্বাধিক আসনেই আমরা প্রার্থী দিব। আমরা দেখি যাদের টাকা আছে, যাদের গডফাদারগিরি আছে, তারা নির্বাচনে দাঁড়ায়। আমরা এই সংস্কৃতিকে চ্যালেঞ্জ করতে চাই। আমরা গ্রহণযোগ্য মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ, শিক্ষক, ইমাম, সামাজিক নেতৃবৃন্দদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদে দেখতে চাই।
সমঝোতা বা জোটের বিষয়টি আদর্শিক স্থান থেকে হতে পারে। জুলাই সনদে আমাদের যেই সংস্কারের দাবীগুলো রয়েছে, সেই দাবীর সাথে কোন দল যদি সংহতি প্রকাশ করে, তখন আমরা জোটের বিষয়টি চিন্তা করবো। এই মাসের ১৫ তারিখের মধ্যেই আমরা প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করবো।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১২ টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়া গাজী সালাহউদ্দিনের মৃত্যুর খবরে পরিবারের সাথে সাক্ষাত শেষে তিনি এসব বলেন। এসময় গাজী সালাহউদ্দিনের পরিবারের পাশে থাকারও ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, হাজারো জুলাই যোদ্ধা আহত অবস্থায় কাতরাচ্ছে। আহতদের সুচিকিৎসার দায়িত্ব ছিলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। তারা সেটা করতে পারেনি বিধায় আমাদের শহীদের সংখ্যা বাড়ছে। সরকারের প্রতি বলতে চাই, আমাদের আহত ভাই বোনদের সর্বাত্মক সহযোগীতা এবং চিকিৎসা যেন তারা করেন।
অনেকেরই দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা প্রয়োজন। সেটা না হলে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকবে। নির্বাচনী ডামাডোলে যেন আমাদের আহত, শহীদ পরিবারের কথা যেন ভুলে না যাই।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তী নির্বাচিত সরকার যেই আসুক, তাদের যেন এই আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে কমিটমেন্ট থাকে। গাজী সালাহউদ্দিনের পরিবারের পাশে আমরা আছি। তাদের পরিবারের দায়িত্ব যেন রাষ্ট্র নেয় সেই দাবী জানাবো।
উনি মারা যাবার কয়েকদিন আগেই স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীদের দ্বারা হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন। এমন বিভিন্ন এলাকায় জুলাই যোদ্ধাদের উপর রাজনৈতিক চাপ রয়েছে। আমরা তাদের পাশে আছি। কিন্তু সরকারকেও দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের লড়াইয়ের ফলেই আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।
বক্তব্য শেষে নাহিদ ইসলাম গাজী সালাউদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ও শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আবদুল্লাহ আল আমিন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব তামিম আহমেদ, কেন্দ্রীয় সংগঠক শওকত আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ সভাপতি তুহিন খান প্রমুখ।