১৪ বছর বয়স থেকে আসক্তি, খোলামেলা স্বীকারোক্তি অভিনেতার
Published: 6th, November 2025 GMT
বলিউডের ‘সিংঘম’ অজয় দেবগন—যাকে পর্দায় দেখা যায় শান্ত, গম্ভীর ও নিয়ন্ত্রিত একজন মানুষ হিসেবে—সম্প্রতি নিজের জীবনের এক অজানা দিক প্রকাশ করেছেন। অভিনেতা জানিয়েছেন, খুব অল্প বয়সেই তিনি মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন এবং একসময় ছিলেন এক ‘হেভি ড্রিঙ্কার’।
১৪ বছর বয়সে শুরু হয়েছিল অভ্যাস
অজয় দেবগনের কথায়, তাঁর মদ্যপানের শুরু হয় মাত্র ১৪ বছর বয়সে—বন্ধুদের উৎসাহে প্রথমবার অ্যালকোহল নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তখন ভাবেন, এটা কেবল একবারের ব্যাপার, কিন্তু তা ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিণত হয়।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মঞ্জুর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ জাহানারার, খতিয়ে দেখবে বিসিবি
‘‘উনি (মঞ্জুরুল ইসলাম) একদিন আমার কাছে আসলো, আমার কাঁধে হাত রেখে বলতেছে, তোর পিরিয়ডের কতদিন চলতেছে। পিরিয়ড শেষ হলে বলিস, আমার দিকটাও তো দেখতে হবে। পিরিয়ড শেষ হলে, যখন ডাকবো চলে আসিস।’’
কথা গুলো বলছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম। শুধুমাত্র বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু নয়, বিসিবির নারী বিভাগের প্রয়াত সাবেক ইনচার্জ তৌহিদুর রহমানের বিরুদ্ধেও যৌন হয়রানির অভিযোগ জাহানারার। ক্রীড়া সাংবাদিক রিয়াসাদ আজিমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন অস্ট্রেলিয়ায় থাকা পেসার জাহানারা।
আরো পড়ুন:
অভ্যন্তরীণ আলোচনার পর সালাহউদ্দিনকে নিয়ে মন্তব্য: বিসিবি
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ হলেন আশরাফুল
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর সাধারণত দুই দলের খেলোয়াড় কোচরা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলান। তবে মঞ্জু নাকি ম্যাচ শেষে তার সঙ্গে হাত না মিলিয়ে জড়িয়ে ধরতেন। তিনি বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপের কিছু ম্যাচে, যখন আমরা লাইনে হ্যান্ডশেক করি, তখন তিনি (মঞ্জুরুল) হ্যান্ডশেক না করে জড়িয়ে ধরতেন।’’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) অনেকবার এ বিষয়ে অভিযোগ দিলেও কোন বিচার পাননি বলে জানান জাহানারা। এখন তাই বোর্ডের কাছে বিচার চান না বরং আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছেন তিনি, ‘‘দেড় বছরে অসংখ্যবার অভিযোগ দিয়েছি। আমাদের যিনি হেড (তৎকালীন বিসিবির নারী উইঙ্গের হেড) নাদেল স্যার, উনাকে বারবার বলেছি। এক-দুই দিন ঠিক হইতো, পরে আবার যা তাই।’’
তখনকার বিসিবির মহিলা উইংয়ের প্রধান শফিউল আলম চৌধুরীর কাছে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি এক সাক্ষাৎকারে নাদেল জানিয়েছিলেন, স্পর্শকাতর কিছু ব্যাপার আছে যা প্রকাশ্যে আসলে নারী ক্রিকেটের ক্ষতি হবে।
তার বক্তব্য ছিল এমন, ‘‘অনেক বিষয় থাকে, যা সামনে আনলে আমাদের পুরো ক্রিকেটের, প্রমীলা ক্রিকেটের ক্ষতি হয়। এমন বিষয় আমি এড়িয়ে যেতে চাই। এটা স্পর্শকাতর ইস্যু। দেশের স্বার্থে, ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে এসব বিবেচনায় নেওয়া উচিত। আমার কাছে কিছু প্রমাণ আছে, যেটা আপনাদের সামনে দেখাতে চাই না। এটা দেখালে আপনারাই লজ্জা পাবেন।’’
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দীন সুজনকে একটি চিঠি দেওয়ার কথাও বলেছেন জাহানারা। নাদেল সেই বিষয়টিও স্বীকার করেছিলেন, ‘‘আমি যেটা শুনেছি সে সরাসরি সিইওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। তার অভিযোগের মধ্যে ছিল- তাকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।’’
মঞ্জুকে ২০২০ সালের অক্টোবরে নারী ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচক করা হয়। পরে টিম ম্যানেজারের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। এছাড়া বাংলা টাইগার্সের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ছিলেন তিনি।
এদিকে জাহানারা অভিযোগ আমলে নিয়ে বিসিবির বর্তমান নারী বিভাগের প্রধান আব্দুর রাজ্জাক রাইজিংবিডিকে বলেছেন, ‘‘বিষয়টি সত্যিই স্পর্শকাতর। আমরা অবশ্যই এটা নিয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো। এটা ভয়াবহ অভিযোগ। আমাদের নারী ক্রিকেটে এগিয়ে যেতে বাঁধা তৈরি করবে যদি এটা সুরাহা না হয়। বুলবুল ভাই দেশে নেই। আইসিসি সভা থেকে ফিরলে অবশ্যই এটা নিয়ে আমরা কথা বলবো। একজন ক্রিকেটার বারবার অভিযোগ করে যাচ্ছেন অথচ কেউ তার কথা শুনছে না, জবাব দিচ্ছে না এটা তো হতে পারে না। আমাদের কাছে সবার গুরুত্ব সমান। আমরা সেভাবেই বিষয়টি দেখবো।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল