সোনারগাঁয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস
Published: 6th, November 2025 GMT
সোনারগাঁ উপজেলায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও তিনটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে পিরোজপুর ইকোনমিক জোনের গেটের পশ্চিম পাশে একটি, পূর্ব পাশে একটি এবং ঝাউচর তানভীর পেপার মিলের বিপরীত পাশে একটি মোট তিনটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া প্রায় ২০০ চুলার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হুদা এবং তিতাস গ্যাস সোনারগাঁ জোনের ম্যানেজার (প্রকৌশলী) রবিউল আওয়াল।
অভিযানে সহযোগিতা করে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম।
কারখানাগুলোর স্থাপনা এক্সক্যাভেটর মেশিনের সাহায্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় এবং ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় পানির স্প্রে করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরে চুন বিনষ্ট করা হয়।
তিতাস কর্তৃপক্ষ জানায়,“সোনারগাঁয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। যেখানেই অবৈধ সংযোগ পাওয়া যাবে, সেখানেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।”
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ অব ধ গ য স স য গ স ন রগ
এছাড়াও পড়ুন:
তালেবানের নিষেধাজ্ঞায় আফগানিস্তানে ব্যাপকভাবে কমেছে আফিম চাষ
২০২২ সালে তালেবান সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর আফগানিস্তানে আফিম চাষ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তর এক জরিপে জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় পপি চাষের মোট জমির পরিমাণ ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। একই সময়ে আফিমের পরিমাণ ৩২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
আফগানিস্তান বিশ্বের ৮০ শতাংশেরও বেশি আফিম উৎপাদন করত। আফগানিস্তানের আফিম থেকে তৈরি হেরোইন ইউরোপের বাজারের ৯৫ শতাংশ ছিল।
কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তালেবান ২০২২ সালের এপ্রিলে আফিম চাষ নিষিদ্ধ করে। তারা কৃষকদের জানায়, আফিম ক্ষতিকারক এবং তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। জাতিসংঘ জানিয়েছে যে ‘গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ সত্ত্বেও বেশিরভাগ কৃষক নিষেধাজ্ঞা মেনে চলেছেন। বর্তমানে অনেক আফগান কৃষক শস্য চাষ করছেন।
লাভজনক বিকল্পের অভাব, সীমিত কৃষি উৎপাদন এবং প্রতিকূল জলবায়ু পরিস্থিতির কারণে উপলব্ধ কৃষিজমির ৪০ শতাংশেরও বেশি পতিত রয়ে গেছে। চলতি বছর আফিম পপি চাষের আওতাভুক্ত মোট জমি ১০ হাজার ২০০ হেক্টর বলে অনুমান করা হয়েছিল, যার বেশিরভাগই দেশের উত্তর-পূর্বে। এর মধ্যে বাদাখশান প্রদেশ সবচেয়ে বেশি। ২০২২ সালের নিষেধাজ্ঞার আগে, আফগানিস্তানে দুই লাখ হেক্টরেরও বেশি জমিতে পপি চাষ করা হত।
ঢাকা/শাহেদ