হেমন্তের সকালে পল্টন আউটার স্টেডিয়ামে অনুশীলন করছিলেন ফিলিস্তিনের আর্চার রাশা ইয়াহিয়া আহমেদ। চোখে কালো রোদচশমা, মাথায় সাদা হ্যাট আর পেছনের তির রাখা ব্যাগে ঝোলানো ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা। সবকিছু মিলিয়ে তাঁর উপস্থিতি যেন আলাদা আভা ছড়াচ্ছিল।

৮-১৪ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ২৪তম এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। আসর সামনে রেখে প্রথমবারের মতো ঢাকায় এসেছে রাশা। তিনি নারী রিকার্ভ এককে অংশ নেবেন। তাঁর সঙ্গে দলগতভাবে খেলবেন তিন পুরুষ সদস্য—আলী আলাহামাদ খালেদ, আওয়াদ সামি ও বাদওয়ান ওসায়েদ। তাঁরা খেলবেন কম্পাউন্ড ইভেন্টে।

রাশা বলেন, ‘এখানে শুধু আসার জন্যই আসা নয়, ভালো পারফরম্যান্স করা এবং লড়াই করে ভালো কিছু করার লক্ষ্যেই আমরা এখানে এসেছি।’

পল্টন আউটার স্টেডিয়ামে আজ অনুশীলন করেছেন রাশা ইয়াহিয়া আহমেদ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তালেবানের নিষেধাজ্ঞায় আফগানিস্তানে ব্যাপকভাবে কমেছে আফিম চাষ

২০২২ সালে তালেবান সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর আফগানিস্তানে আফিম চাষ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তর এক জরিপে জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় পপি চাষের মোট জমির পরিমাণ ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। একই সময়ে আফিমের পরিমাণ ৩২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

আফগানিস্তান বিশ্বের ৮০ শতাংশেরও বেশি আফিম উৎপাদন করত। আফগানিস্তানের আফিম থেকে তৈরি হেরোইন ইউরোপের বাজারের ৯৫ শতাংশ ছিল।

কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তালেবান ২০২২ সালের এপ্রিলে আফিম চাষ নিষিদ্ধ করে। তারা কৃষকদের জানায়, আফিম ক্ষতিকারক এবং তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। জাতিসংঘ জানিয়েছে যে ‘গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ সত্ত্বেও বেশিরভাগ কৃষক নিষেধাজ্ঞা মেনে চলেছেন। বর্তমানে অনেক আফগান কৃষক শস্য চাষ করছেন।

লাভজনক বিকল্পের অভাব, সীমিত কৃষি উৎপাদন এবং প্রতিকূল জলবায়ু পরিস্থিতির কারণে উপলব্ধ কৃষিজমির ৪০ শতাংশেরও বেশি পতিত রয়ে গেছে। চলতি বছর আফিম পপি চাষের আওতাভুক্ত মোট জমি ১০ হাজার ২০০ হেক্টর বলে অনুমান করা হয়েছিল, যার বেশিরভাগই দেশের উত্তর-পূর্বে। এর মধ্যে বাদাখশান প্রদেশ সবচেয়ে বেশি। ২০২২ সালের নিষেধাজ্ঞার আগে, আফগানিস্তানে দুই লাখ হেক্টরেরও বেশি জমিতে পপি চাষ করা হত।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ