বিদ্যুৎ–সংযোগ ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি), পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি এবং মেঘনা ইকোনমিক জোন লিমিটেডের (এমইজেডএল) মধ্যে আজ সোমবার একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে।

এই চুক্তি অনুযায়ী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) অর্থনৈতিক অঞ্চল মেঘনা ইকোনমিক জোন লিমিটেডের (এমইজেডএল) আওতাধীন শিল্পাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের মেঘনাঘাট গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে ২৩০ কেভি লেভেলে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ–সংযোগ প্রদান করা হবে।

এমজিআই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, ঢাকার খিলক্ষেতে অবস্থিত বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে চুক্তিটি সই হয়। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন বিআরইবির সচিব দিলরূবা শিরাজী, পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের কোম্পানি সচিব মো.

জাহাঙ্গীর আজাদ ও এমজিআইর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোস্তফা কামাল। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিআরইবির সদস্য মো. আবদুর রহিম মল্লিক, মো. শহিদুল ইসলাম ও মো. আনোয়ার হোসেন; জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক শেখ মোহাম্মদ আলী; পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের সাব-ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার মো. মামুনুর রহমান এবং এমজিআইর পরিচালক তাসনিম মোস্তফা, কনসালট্যান্ট মো. শরফুদ্দিন হোসেন, ডেপুটি অ্যাডভাইজার এ কে এম মনোয়ার হোসেন আখন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব আরইব

এছাড়াও পড়ুন:

চলতি অর্থবছরে ৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির; ৪ কারণে চাপে প্রবৃদ্ধি

চলতি অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কিছুটা বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবির পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হতে পারে। গত অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন হলো ৪ শতাংশ।

এডিবি আরও বলেছে, তৈরি পোশাক রপ্তানি স্থিতিশীল থাকলেও রাজনৈতিক পরিবর্তন, ঘন ঘন বন্যা, শিল্প খাতে শ্রমিক অস্থিরতা এবং বিরাজমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই চার কারণে প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে।

আজ মঙ্গলবার এডিবি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) সেপ্টেম্বর সংস্করণ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এডিবি আরও বলেছে, চলতি অর্থবছরে ভোগ্যব্যয় বাড়বে। কারণ, রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনসংক্রান্ত নানা ধরনের খরচের কারণেও ভোগব্যয় বাড়াবে।

বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিনির্ভর করবে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা বাড়ানো, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যে মার্কিন শুল্কের প্রভাব এখনো স্পষ্ট নয়। দেশের ব্যাংক খাতের দুর্বলতা অব্যাহত রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য জরুরি।

এডিবির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৬ অর্থবছরের জন্য কিছু ঝুঁকি রয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যসংক্রান্ত অনিশ্চয়তা, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা এবং নীতি বাস্তবায়নের অনাগ্রহ প্রবৃদ্ধির অগ্রগতিতে বাধা হতে পারে। এ জন্য সঠিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বজায় রাখা এবং কাঠামোগত সংস্কার দ্রুততর করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ শতাংশ। এর পেছনে রয়েছে পাইকারি বাজারে সীমিত প্রতিযোগিতা, বাজার তথ্যের ঘাটতি, সরবরাহ শৃঙ্খলে বাধা এবং টাকার অবমূল্যায়ন।

এডিবি বলছে, চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হবে ভোগব্যয়, যা শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ ও নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের কারণে বাড়বে। তবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতি এবং বিনিয়োগকারীদের সতর্ক মনোভাব বিনিয়োগকে মন্থর করতে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রতিযোগিতা বাড়ায় রপ্তানি খাত এবং এর প্রবৃদ্ধি চাপ বাড়াবে। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে রপ্তানিকারকদের মূল্য কমাতে হতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশে কফি–সংস্কৃতি প্রসারে ‘আমা কফি’
  • রাজশাহীতে আইনি ব্যবস্থা নিন
  • বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের ৩ প্যাকেজ ঘোষণা
  • চলতি অর্থবছরে ৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির; ৪ কারণে চাপে প্রবৃদ্ধি