মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদ্যুৎ–সংযোগ নিয়ে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি
Published: 23rd, June 2025 GMT
বিদ্যুৎ–সংযোগ ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি), পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি এবং মেঘনা ইকোনমিক জোন লিমিটেডের (এমইজেডএল) মধ্যে আজ সোমবার একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে।
এই চুক্তি অনুযায়ী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) অর্থনৈতিক অঞ্চল মেঘনা ইকোনমিক জোন লিমিটেডের (এমইজেডএল) আওতাধীন শিল্পাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের মেঘনাঘাট গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে ২৩০ কেভি লেভেলে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ–সংযোগ প্রদান করা হবে।
এমজিআই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, ঢাকার খিলক্ষেতে অবস্থিত বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে চুক্তিটি সই হয়। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন বিআরইবির সচিব দিলরূবা শিরাজী, পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের কোম্পানি সচিব মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব আরইব
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শিল্প কারখানায় গ্যাস সংকট সমাধানের আশ্বাস দিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে তীব্র গ্যাস সংকটে পড়েছে দেড় শতাধিক শিল্প কারখানাগুলো। এতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। তিন মাস ধরে গ্যাস সংকট থাকায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কারখানার মালিকরা। কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) ও ডিজেলচালিত জেনারেটরে খরচ বাড়ার কারণে বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়, কমছে উৎপাদন সক্ষমতা। এ পরিস্থিতিতে শনিবার সকালে আড়াইহাজারের দুপ্তারা ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকায় অবস্থিত লিড প্লাটিনাম সনদপ্রাপ্ত সবুজ কারখানার স্বীকৃতি পাওয়া মিথিলা টেক্সটাইলের ওভেন ডাইং কারখানা পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশনের (পেট্রোবাংলা) চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান ও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহনেওয়াজ পারভেজ।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি সরেজমিনে গ্যাস সরবরাহ দেখতে এসে গ্যাস সংকটের সত্যতা পেয়েছি। আমরা এই সংকট উত্তরণের জন্য কাজ করছি।’
তিতাসের এমডির কাছে গ্যাসের অস্বাভাবিক উঠানামার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। এ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তিনি।
তিনি সমকালকে জানান, সারাদেশেই গ্যাসের সরবরাহ কম। অন্যদিকে যেখান থেকে গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে, আড়াইহাজার উপজেলা হচ্ছে সর্বশেষ প্রান্ত। ফলে অন্য মিল কারখানাগুলো গ্যাস টানার পরে আড়াইহাজার এলাকায় এসে গ্যাসের চাপ তেমন থাকে না। সরকার এ সমস্যার উত্তরণে কাজ করছে।
মিথিলা গ্রুপের চেয়ারম্যান আজহার খান জানান, গত বছরের অক্টোবরের পর থেকে গ্যাসের চাপ দিনের বেলায় শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১ পিএসআই, আর রাতের বেলায় দেড় থেকে ২ পিএসআইয়ে নেমে আসায় কারখানা চালু রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে উৎপাদনের পরিমাণ ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। কেবল গ্যাসের অভাবে অনেক বায়ারের অর্ডার নিতে পারছি না। যে কয়টা অর্ডার রয়েছে লোকসান হলেও বায়ারদের সঠিক সময়ে পণ্য সরবরাহের জন্য তিনগুণ বেশি ব্যয়ে গ্যাসের বদলে তুষচালিত বয়লার ব্যবহার করা হয়। যদি স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহ থাকতো তাহলে প্রতি বছরে মিথিলা গ্রুপে প্রায় একশ’ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যেত। এ সময় কারখানার মালিকের কথা শোনেন পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান।