ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ডিজেলচালিত থ্রি-হুইলারের (স্থানীয়ভাবে পাগলু নামে পরিচিত) চালক বাবা ও এর আরোহী মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কের ভূল্লী খোশবাজার মাদ্রাসার দক্ষিণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার খুলিশাকুড়ি পোস্ট অফিসপাড়া গ্রামের আশরাফুল ইসলাম (৫২) ও তাঁর মেয়ে রুবাইয়া খাতুন (১৫)। রুবাইয়া পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বোদা পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ত।

পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন জানান, আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে রুবাইয়াকে তাঁর বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিতে ডিজেলচালিত থ্রি-হুইলারে বোদা উপজেলার দিকে যাচ্ছিলেন আশরাফুল। ভূল্লী খোশবাজার মাদ্রাসার দক্ষিণে পোস্ট অফিসের কাছে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী ভিআইপি অটোমোবাইলস নামের একটি যাত্রীবাহী বাস থ্রি-হুইলারটির পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে সড়কে ছিটকে পড়ে আশরাফুল ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় রুবাইয়াকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁওয়ের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন। এ সময় তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

হাসপাতালটির চিকিৎসক রকিবুল আলম বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই রুবাইয়ার মৃত্যু হয়েছিল।

বাসটি জব্দ করা হলেও চালক ও তাঁর সহকারী পালিয়ে গেছেন বলে জানান ভূল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঠ ক রগ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রকল্পের জন্য ফিকির পুরস্কার পেল সিনজেনটা বাংলাদেশ

ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি) ‘সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডস’এ ‘ইনোভেশন লিডার অব দ্য ইয়ার ২০২৫’–এর স্বীকৃতি পেয়েছে সিনজেনটা বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ফ্ল্যাগশিপ টেকসই প্রকল্প ‘গো গ্রো: এনরিচিং দ্য লাইভলিহুড ও কোস্টাল বেল্ট ফারমার্স’ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় কৃষকদের জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা ও টেকসই কৃষি উদ্ভাবনে সময়োপযোগী দৃষ্টান্ত রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার দেওয়া হয়। সিনজেনটা বাংলাদেশের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সিনজেনটা বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেদায়েত উল্লাহ ও পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ও সাসটেইনেবিলিটি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম পুরস্কার গ্রহণ করেন। প্রকল্পটি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরে বাস্তবায়িত হচ্ছে। যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে লবণাক্ততা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত ও মাটির উর্বরতা হ্রাস কৃষকদের জীবিকা বিপন্ন করছে। এই প্রকল্পের আওতায় লবণসহনশীল জাতের বীজ, সৌরশক্তিচালিত সেচ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং আধুনিক কৃষি পদ্ধতির মাধ্যমে লবণাক্ত জমি পুনরুজ্জীবিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া কৃষকদের শস্য আবাদে পুকুর খননের পাশাপাশি নতুন জাতের বীজ, ভার্মি কম্পোস্ট, সোলার ইরিগেশন ও কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান, সার ও কৃষি উপকরণের পরিমিত ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের সর্বোচ্চ উৎপাদন বিষয়ে কার্যকর পরামর্শ দেওয়া হয়।

প্রকল্পটি শুরু হয় ২০২৩ সালে। এই প্রকল্পে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান—কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা), ডিএইর এসএসিপি প্রকল্প ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই) সহযোগী হিসেবে কাজ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ