সুন্দরবনে হরিণের দৌড় থামায় শিকারি, ২০ দিনেই জব্দ ২ সহস্রাধিক ফাঁদ
Published: 24th, June 2025 GMT
সুন্দরবনে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় চলছে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা। ১ জুন থেকে শুরু হওয়া এই সময়ে বনজীবী ও পর্যটকদের বনে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও থামেনি চোরা শিকারিদের তৎপরতা। বন বিভাগের নিয়মিত অভিযানে প্রতিনিয়ত উদ্ধার হচ্ছে হরিণ শিকারের নানা ধরনের ফাঁদ।
শুধু জুন মাসের প্রথম ২০ দিনেই সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ হরিণ শিকারের দুই হাজারের বেশি ফাঁদ উদ্ধার করেছে। এ সময় নৌকা-ট্রলার, বিষ ও কাঁকড়া ধরার নিষিদ্ধ চারু উদ্ধার ছাড়াও ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। এর আগেও গত মে মাসে সুন্দরবনের পূর্বাংশে উদ্ধার হয়েছিল সহস্রাধিক ফাঁদ।
সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশ মূলত ‘পূর্ব ও পশ্চিম’—এই দুটি প্রশাসনিক বিভাগে বিভক্ত। খুলনা ও সাতক্ষীরা অংশ নিয়ে পশ্চিম সুন্দরবন। আর বাগেরহাট ও খুলনার সামান্য অংশ নিয়ে পূর্ব সুন্দরবন।
মালা, ছিটকা ও হাঁটা ফাঁদে ঝরে হরিণের প্রাণসুন্দরবনে হরিণ শিকারে বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে রাখে চোরা শিকারিরা। এর মধ্যে মালা ফাঁদ, ছিটকা ফাঁদ ও হাঁটা ফাঁদ—এই তিন ধরনের ফাঁদের ব্যবহার বেশি। বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি উদ্ধার ফাঁদের হিসাবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে ‘মালা ফাঁদ’, যা পাতা হয় চিকন দড়ি বা রশি দিয়ে। গাছের গোড়ার দিকে একটার পর একটা বৃত্ত আকারে মালার মতো এই ফাঁদ পাতা হয়। এতে দৌড়ে যাওয়া হরিণ না বুঝে আটকে পড়ে। রশি ছাড়াও সম্প্রতি জিআই তার বা গুনা দিয়ে তৈরি মালা ফাঁদ বনে পাতা অবস্থায় পাওয়া গেছে।
সুন্দরবনে হেঁটে টহলের সময় হরিণ শিকারের জন্য পেতে রাখা ফাঁদ দেখতে পেয়ে তা জব্দ করে বন বিভাগ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাতক্ষীরায় নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে পরামর্শ সভা
সাতক্ষীরায় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়ে স্থানীয়দের চাহিদা নিরুপনে নির্বাচনী ইশতেহার-২০২৫ শীর্ষক উপজেলা পর্যায়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিডো এর আয়োজনে এবং একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
পূজার ছুটির পর গকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অভিষেক
নিবন্ধন পাচ্ছে এনসিপিসহ ২ দল
সিডো সাতক্ষীরার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে কর্মসূচির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন, প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. তহিদুজ্জামান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার কাউন্সিলর শফিক-উ-দ্দৌলা সাগর, টিআইবি সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি হেনরী সরদার, একশনএইড প্রতিনিধি সুইট খান, ইয়ূথ সভাপতি সাকিব হাসান, প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাতক্ষীরা জেলার রাস্তা-ঘাটের অবস্থা অনেক শোচনীয়। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে রাস্তা-ঘাটের সংস্কার খুব জরুরি। সুন্দরবন কেন্দ্রিক টেকসই ইকোটুরিজম প্রতিষ্ঠা, সুন্দরবনের পরিবেশ ও সম্পদ সংরক্ষণ ও পর্যটন বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই ইকোটুরিজম ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা জেলার শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষা সুবিধা দেবে।
তারা বলেন, রেল সংযোজন সাতক্ষীরা জেলা দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে বৈষম্যের শিকার। সাতক্ষীরাকে দেশের রেল নেটওয়ার্কে অন্তভুক্ত করতে হবে, যা জেলা ও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় উপকূলীয় এলাকায় দীর্ঘমেয়াদী স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া সাতক্ষীরায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম ও ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ, সীমান্তে মাদক প্রতিরোধে প্রযুক্তি নির্ভর নজরদারী ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি, স্থলবন্দরকে পূর্নাঙ্গ বন্দরে রুপান্তর, সাতক্ষীরার ভোমরাকে একটি আধুনিক আন্তর্জাতিক মানের স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি, নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কার্যকর পৌরসভার ব্যবস্থাপনা, সুন্দরবন বাঁচাতে জীবশ্ম জ্বালানীকে পরিবর্তে নবায়ন যোগ্য জ্বালানী সংযোজন, জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল কৃষি ব্যবস্থাপনা, সবুজ উদ্যোক্তা তৈরির জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণাগার তৈরি, প্রাণ সায়ের খালের দুই ধার সৌন্দর্যবর্ধন, যুবদের মুক্ত চিন্তা, উন্নয়ন ভাবনা ও নিজস্ব সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য শিক্ষালয় কেন্দ্রিক যুববান্ধব স্পেস তৈরি ও কার্যকর করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও বলেন বক্তারা।
ঢাকা/শাহীন/মেহেদী