গ্যাভি, দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সকে ১৬০ কোটি ডলার দেবে গেটস ফাউন্ডেশন
Published: 24th, June 2025 GMT
বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র শিশুদের জন্য টিকা কিনতে সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা গ্যাভি, দ্য ভাকসিন অ্যালায়েন্সকে আগামী পাঁচ বছরে ১৬০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে মার্কিন ধনকুবের বিল গেটসের দাতব্য প্রতিষ্ঠান গেটস ফাউন্ডেশন। মঙ্গলবার এই ঘোষণা দিয়েছে গেটস ফাউন্ডেশন।
গেটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিল গেটস এক বিবৃতিতে বলেছেন, বৈদেশিক সাহায্যে ব্যাপক কাটছাঁটের কারণে এ বছর বিশ্বব্যাপী শিশুমৃত্যু বাড়তে পারে। তিনি বলেন, এই শিশুমৃত্যু রোধে গ্যাভিকে অর্থায়ন করা এককভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী পদক্ষেপ।
২০২৬ থেকে ২০৩০ সাল নাগাদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৯০০ কোটি ডলার তহবিলের প্রতিশ্রুতি আদায় করতে চাইছে গ্যাভি। এ জন্য বুধবার ব্রাসেলসে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও গেটস ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।
যুক্তরাষ্ট্র বছরে ৩০০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেয় গ্যাভির তহবিলে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইতিমধ্যে এই অর্থায়ন বাদ দেওয়ার পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিয়েছে।
গ্যাভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সানিয়া নিশতার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গেলে আগামী পাঁচ বছরে অতিরিক্ত প্রায় ১২ লাখ মৃত্যু হতে পারে।
গ্যাভি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করে। প্রাণঘাতী রোগ যেমন হাম ও ডিফথেরিয়ার মতো রোগ প্রতিরোধে টিকা কেনার জন্য অর্থায়ন করে।
আরও পড়ুনবাংলাদেশে টিকাদানে বড় অগ্রগতি, তবে প্রায় ৫ লাখ শিশু টিকার সব ডোজ পায় না২৮ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অর থ য ন
এছাড়াও পড়ুন:
হাসপাতালে নেই এন্টিভেনম, ২ সপ্তাহে সাপের কামড়ে মৃত ৫
ঠাকুরগাঁওয়ে সাপের কামড়ে গত দুই সপ্তাহে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলার হাসপাতালগুলোতে এন্টিভেনম না থাকায় সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন রোগীরা।
সর্বশেষ শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্ত এলাকার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের স্কুলছাত্র সাকিবুল ইসলাম (পঞ্চম শ্রেণি) বিষধর সাপের কামড়ে মারা যায়।
জানা যায়, সাপে কামড়ানোর পর তাকে প্রথমে বালিয়াডাঙ্গী, পরে হরিপুর, এরপর ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল এবং সবশেষে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এসব হাসপাতালের কোথাও এন্টিভেনম মজুত ছিল না। পরে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় সাকিবুলের।
সাকিবুলের বাবা ইসরাইল উদ্দীন বলেন, “চারটা হাসপাতালে নিয়েও ভ্যাকসিন পাইনি। কোলের উপরেই ছেলেকে হারালাম। আর যেন কোনো বাবার বুক খালি না হয়, সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিক।”
অন্যদিকে, সাকিবুলের মতো পীরগঞ্জের স্কুলছাত্র তারেক, রাণীশংকৈলের কলেজছাত্র মোকসেদ আলী এবং হরিপুরের গৃহবধূ সম্পা রানীসহ গত দুই সপ্তাহে জেলায় সাপের কামড়ে মারা গেছে অন্তত পাঁচ জন।
সম্পা রানীর স্বামী জিতেন বলেন, “হাসপাতালে ভ্যাকসিন না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ওঝার কাছে যেতে হয়েছে। তবুও স্ত্রীকে বাঁচাতে পারিনি। দেড় বছরের সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছি।”
স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আজমুল হক বলেন, “বর্ষার সময়ে সাপের কামড়ের ঘটনা বেশি হয়। প্রতি বছর জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে ভ্যাকসিন পাঠানো হয় বর্ষা শেষের দিকে। অথচ আগে থেকেই মজুত রাখা উচিত।”
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. মো. আনিছুর রহমান বলেন, “চাহিদা পাঠানোর পরও কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে এন্টিভেনম পাওয়া যায়নি। সেখানেও সংকট রয়েছে। চেষ্টা করছি দ্রুত আনার।”
সাপের কামড়ে মৃত্যুর এই ধারাবাহিক ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামাঞ্চলে। চিকিৎসক ও সচেতন মহল বলছে, বর্ষার শুরুতেই প্রতিটি উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত এন্টিভেনম সরবরাহ করতে হবে।
ঢাকা/হিমেল/এস