Risingbd:
2025-06-25@09:18:04 GMT

রিজার্ভ ছাড়াল ২৭ বিলিয়ন ডলার

Published: 25th, June 2025 GMT

রিজার্ভ ছাড়াল ২৭ বিলিয়ন ডলার

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বেড়ে ২৭ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। প্রবাসীদের বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠানো ছাড়াও মঙ্গলবার দাতাসংস্থার ঋণ ও অনুদান এসেছে। যার কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।

বুধবার (২৪ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত ক‌রে‌ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রোস রিজার্ভ ২৭ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার।  

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দুই কিস্তির ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ একসঙ্গে পেয়েছে বাংলাদেশ। চলমান ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় এটি তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির অর্থ। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে এ অর্থ যোগ হয়েছে। ফলে রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
 
এর আগে গত ১৫ জুন গ্রোস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার।

দেশে চলতি মাসের ২১ দিনে ১৯৮ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। যা গত বছরের জুন মাসের একই সময়ের চেয়ে বেশি। ২০২৪ সালের জুনের প্রথম ২১ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯১ কোটি ডলার।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারে চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে ডলারের দাম ১২২-১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া, কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রাখে। বিপরীত দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। সেইসঙ্গে দাতা সংস্থার অনুদান এসেছে। যা রিজার্ভ বাড়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। করোনা পরবর্তী সময়ে সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে। ফলে ধীরে ধীরে কমতে থাকে রিজার্ভ। যা অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।

ঢাকা/এনএফ/ইভা

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টর কন্টেইনমেন্টে

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় চলছে দেশের সর্ববৃহৎ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালুর অপেক্ষায় আছে। এর ধারাবাহিকতায় প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টর কম্পার্টমেন্টের কন্টেইনমেন্টের (সুরক্ষা ব্যুহ) অভেদ্যতা ও দৃঢ়তার পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থা। পরীক্ষায় নকশা অনুযায়ী কন্টেইনমেন্টের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা মান নিশ্চিত করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে রাশিয়ার পরমাণু সংস্থা রোসাটম একটি বেসরকারি বার্তা সংস্থার মাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষাকালে নকশা অনুযায়ী কন্টেইনমেন্টের অভ্যন্তরীণ চাপ বৃদ্ধি করা হয়। এর জন্য ব্যবহার করা হয় একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্প্রেসার। অবকাঠামোর দৃঢ়তা ও অভেদ্যতার পরীক্ষার লক্ষ্য হলো— কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কন্টেইনমেন্টের ভেতরে চাপ বৃদ্ধি পেলে তা কতটুকু সহ্য করতে সক্ষম। পরমাণু জ্বালানি লোডিংয়ের আগে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। কারণ, কোনো বিপর্যয় ঘটলে কন্টেইনমেন্টই হচ্ছে শেষ সুরক্ষা ব্যুহ।

আরো পড়ুন:

মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু

৩০ ক্রাসার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

কন্টেইনমেন্ট মূলত একটি অতি সুদৃঢ় কাঠামো, যা নির্মাণে ব্যবহৃত হয় প্রিস্ট্রেসড রিইনফোর্সড কংক্রিট। এর ভেতরের দেয়ালে থাকে একটি শক্ত ইস্পাতের আবরণ। এর নকশা এমনভাবে করা হয়, যাতে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ রিয়্যাক্টর কমপার্টমেন্টের বাইরে বের হতে না পারে এবং সমস্ত তেজস্ক্রিয় পদার্থ এই কন্টেইনমেন্টের ভেতরেই আবদ্ধ ও সুরক্ষিত অবস্থায় থাকতে পারে। বাহ্যিক বড় কোনো আঘাত ও বিপর্যয় রোধ করতেও সক্ষম এই কন্টেইনমেন্ট।

রূপপুর প্রকল্পের প্রথম ইউনিটে শিগগিরই কিছু ‘হট মিডিয়া টেস্ট’ চালানো হবে, যেমন: কুল্যান্ট সার্কিটকে নকশা অনুযায়ী নির্ধারিত তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করা এবং বাষ্প উৎপাদন। অন্যান্য নিরাপত্তা প্যারামিটারগুলো চূড়ান্তভাবে পরীক্ষা করা হবে, যেমন: সক্রিয় অবস্থায় বাষ্প নির্গমণকারী ডিভাইসের নিরাপত্তা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এ পরীক্ষার সময় বেশকিছু অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দ তৈরি হবে, যা সম্পূর্ণ পূর্বনির্ধারিত। এ নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। রসাটম নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে, তাই সংস্থাটির মূল লক্ষ্য হলো সকল নিরাপত্তা চাহিদা পূরণ।

রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুটি ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ চুল্লি স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংস্থা রসাটমের প্রকৌশল বিভাগ জেনারেল কন্ট্রাকটর হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

ঢাকা/শাহীন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ