যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরান যদি ফের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালু করে তাহলে আবারও দেশটিতে হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার নেদারল্যান্ডসের হেগে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাট সম্মেলনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইরানকে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। 

ইরান আবার পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করলে যুক্তরাষ্ট্র ফের হামলা করবে কিনা- সাংবাদিকের এই প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, ‘অবশ্যই। আমি মনে করি না তারা আবার কখনও এটি (পামাণবিক কর্মসূচি) করবে।' খবর- টাইমস অব ইসরায়েল

ট্রাম্প বলেন, ‘ইরান আবার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করবে। তারা ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। তারা পরমাণু বোমা পাবে না। তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে না।' 

ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে মার্কিন হামলাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমায় পরমাণু বোমা হামলার সঙ্গে তুলনা করে ট্রাম্প বলেন, সেই হামলার ফলে যুদ্ধ থেমেছিল। আমি হিরোশিমা-নাগাসাকির উদাহরণ দিতে চাই না। তবে ঘটনা একই। এর মাধ্যমেই যুদ্ধ থেমেছিল।'

ন্যাটো সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, হামলার পর ইরান ঘটনাস্থলে গেছে। তারা বলেছে, স্থাপনাগুলো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। আমরা কী করেছি সেটা দেখার পরই তারা স্থির হয়েছে। আমরা এটা না করলে তারা প্রচুর অস্ত্র তৈরি চালিয়ে যেত। তারা থামতো না। যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর যে অবস্থা হয়েছে, তাতে সেগুলোতে পুনরায় কাজ শুরু করা কঠিন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ট র ম প বল ন

এছাড়াও পড়ুন:

‘মব’–সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি বাম জোটের

‘মব’ তৈরি করে লালমনিরহাটে বাবা–ছেলেকে মারধর এবং ঢাকায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে হেনস্তার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। সেই সঙ্গে মব–সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে তারা।

বুধবার বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিষদের সভা থেকে এ দাবি জানানো হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেনের (প্রিন্স) সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা বলেন, ২২ জুন লালমনিরহাটে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে দরিদ্র নরসুন্দর বাবা ও ছেলেকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় মব (উচ্ছৃঙ্খল জনতার বিশৃঙ্খলা) সৃষ্টিকারী লোকজন। একই দিনে আওয়ামী লীগের প্রহসনের নির্বাচনে সহযোগিতাকারী সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদাকে মব তৈরি করে জুতার মালা পরানো হয় ও মারধর করা হয়।

এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নেতারা বলেন, আইনের শাসনের বিরোধী ও গণতন্ত্রের পক্ষে হুমকিস্বরূপ এসব মব–সন্ত্রাস বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

সভায় আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের ১০ মাস অতিবাহিত হলেও অব্যাহত মব–সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা সীমাহীন, যা কোনোক্রমে মেনে নেওয়া যায় না। শুধু সরকার নয়, সেনাপ্রধান মবের বিরুদ্ধে বলার পরও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে না। ফলে দেশের জনগণ আতঙ্কিত। তাঁরা অভিযোগ করেন, মব–সন্ত্রাসে সরকার নীরব থাকলেও, জনগণের বাক্‌স্বাধীনতা দমন করছে।

সভায় নেতারা বলেন, বর্তমান সরকার এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে বন্দরের টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানিকে লিজ দেওয়া, রাখাইনে করিডর দেওয়াসহ ইত্যাদি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এর প্রতিবাদে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ রোডমার্চের ডাক দিয়েছে। চট্টগ্রামে রোডমার্চের প্রচার চলাকালে ২৩ জুন পুলিশ প্রচারকাজে নেতা–কর্মীদের বাধা দেয়। এ ধরনের আচরণ গণতন্ত্র পরিপন্থী।

সভায় রোডমার্চের প্রচারকাজে বাধা সৃষ্টির তীব্র নিন্দা জানিয়ে ২৭ ও ২৮ জুন ঢাকা-চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ সফল করার আহ্বান জানানো হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ