এনআরবি ইসলামিক লাইফের চেয়ারম্যান-সিইওর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্ত করতে চায় মন্ত্রণালয়
Published: 25th, June 2025 GMT
এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান কিবরিয়া গোলাম মোহাম্মদ ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহ জামাল হাওলাদারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত চায় সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গত সোমবার বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান এম আসলাম আলমের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এ তদন্ত করার কথা বলেছে। তদন্ত শেষে তা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে জানানোর কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেকের কাছে ১৯ জুন এনআরবি ইসলামিক লাইফের একজন পলিসি হোল্ডার এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইওর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ করেন। সে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইডিআরএ চেয়ারমানকে তদন্ত করার চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আইডিআরএর চেয়ারম্যান এম আসলাম আলমের সঙ্গে আজ বুধবার যোগাযোগ করলে তিনি সংস্থাটির মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
আইডিআরএর মুখপাত্র সাইফুন্নাহার সুমি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি মাত্র এসেছে। শিগগির এ ব্যাপারে কাজ শুরু হবে।’
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কাছে দাখিল করা অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, কিবরিয়া গোলাম মোহাম্মদ সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাঁর স্ত্রী হোসনে আরা বেগম সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের নারীবিষয়ক সম্পাদক। তাঁদের প্রধান সহযোগী সিইও শাহ জামাল হাওলাদার।
আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থায়নকারী হওয়ায় উপঢৌকন হিসেবে ২০২১ সালে বিমা কোম্পানিটির লাইসেন্স দেওয়া হয়। শুরুর দিকে ভালো চললেও আওয়ামী লীগের তহবিলে চাঁদা দেওয়াসহ অর্থ আত্মসাৎ ও পাচার করতে থাকায় কোম্পানিটির অবস্থা খারাপ হতে থাকে।
চেয়ারম্যান ও সিইওর যোগসাজশে অনুমোদনহীন বিমা পরিকল্প বিক্রি, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা খরচ, উচ্চ হারে পলিসি তামাদি হওয়া, কোম্পানির বিপুল অঙ্কের নগদ টাকা হাতে রাখা, একক প্রিমিয়ামকে মেয়াদি দেখিয়ে তহবিল লোপাট ইত্যাদি হয়েছে বলে আইডিআরএর আগের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল। অভিযোগে এ কথাও তুলে ধরা হয়। আত্মসাৎ ও পাচার অর্থ ফেরত আনতে অভিযোগপত্রে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
কোম্পানির চেয়ারম্যান কিবরিয়া গোলাম মোহাম্মদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, তিনি দেশের বাইরে থাকতে পারেন, ভেতরেও থাকতে পারেন। সিইও শাহ জামাল হাওলাদারের সঙ্গে খুদে বার্তার মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন জানিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের ১৫ হাজার ডলারের ভিসা বন্ড কর্মসূচি, নিশানায় কারা
নির্দিষ্ট কিছু দেশের ভ্রমণকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করার আগে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত জামানত (বন্ড) জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী নতুন পদক্ষেপ হিসেবে এ–সংক্রান্ত এক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
২০ আগস্ট থেকে শুরু হবে ১২ মাসের এ পরীক্ষামূলক কর্মসূচি। এটি যুক্তরাষ্ট্রের বি-১ ব্যবসায়িক ভিসা ও বি-২ পর্যটন ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রেজিস্টারে প্রকাশিত পররাষ্ট্র দপ্তরের অস্থায়ী চূড়ান্ত নীতিমালা অনুযায়ী, এ কর্মসূচি এমন দেশগুলোর নাগরিকদের নিশানা করবে, যেসব দেশের ভিসাধারীদের নির্ধারিত মেয়াদ শেষে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার (ওভারস্টে) হার ঐতিহাসিকভাবে বেশি। তবে ভ্রমণকারীরা জামানতের শর্ত মেনে চললে জমাকৃত অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।
জাম্বিয়া ও মালাবির ভ্রমণকারীরাই এ নীতির আওতায় প্রথম নিশানা হবেন বলে পররাষ্ট্র দপ্তর গত মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছে। এ সিদ্ধান্তের আগে যুক্তরাষ্ট্র ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং মার্কিন ভিসাধারী দর্শনার্থীদের জন্য নতুন কিছু ফি চালু করেছে।জাম্বিয়া ও মালাবির ভ্রমণকারীরা এ নীতির প্রথম নিশানা হবেন বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গত মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছে। ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং মার্কিন ভিসাধারী দর্শনার্থীদের জন্য নতুন কিছু ফি চালু করার পর এ সিদ্ধান্ত নিল যুক্তরাষ্ট্র।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যেসব দেশের নাগরিকদের ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণ থাকার হার বেশি, তাঁদের এ জামানত দিতে হবে। তবে কানাডা ও মেক্সিকোর ভ্রমণকারী এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ওয়েভার কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ৪০টির বেশি দেশের নাগরিক এর বাইরে থাকবেন। এ কর্মসূচির অধীন নাগরিকেরা ৯০ দিন পর্যন্ত ব্যবসা বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা ছাড়া যেতে পারেন।
নতুন নীতির প্রক্রিয়া ও এর পেছনের ইতিহাস এবার জেনে নেওয়া যাক:
২০ আগস্ট থেকে মালাবি ও জাম্বিয়ার বি-১, বি-২ ব্যবসা ও পর্যটন ভিসার আবেদনকারীদের সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত জামানত দিতে হবে।ট্যামি ব্রুস, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রভিসা বন্ড কীভিসা বন্ড হলো একধরনের আর্থিক নিশ্চয়তা। কিছু দেশ নির্দিষ্ট বিদেশি নাগরিকদের সাময়িক ভিসা দেওয়ার আগে এমন জামানত বা নিশ্চয়তা নিয়ে থাকে; যেন তাঁরা ভিসার শর্ত, বিশেষ করে থাকার সময়সীমা মেনে চলেন।
প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্র হাজারো বিদেশি শিক্ষার্থী, পর্যটক ও কর্মীকে অস্থায়ী নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা দেয়। এসব ভিসার মেয়াদ কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত হতে পারে।
কোনো নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসাধারী অনুমোদিত মেয়াদের চেয়ে বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্রে থাকলে সেটি ভিসা ওভারস্টে বলে গণ্য হয়।
বেশির ভাগ দেশই ভিসার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ থাকার প্রমাণ চায়। কিন্তু ফেরতযোগ্য জামানত দিয়ে দেশে প্রবেশের অনুমতি প্রদানের ব্যবস্থা চালু করেনি। নিউজিল্যান্ড একসময় ওভারস্টে নিয়ন্ত্রণে ভিসা বন্ড চালু করেছিল, পরে তা আর কার্যকর হয়নি। ২০১৩ সালে যুক্তরাজ্য কিছু ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশের ভ্রমণকারীদের জন্য ভিসা বন্ড চালুর উদ্যোগ নেয়, কিন্তু পরে তা বাতিল করে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদে ২০২০ সালেও পররাষ্ট্র দপ্তর ভিসা বন্ড কর্মসূচি চালুর চেষ্টা করেছিল। তবে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ হ্রাস পাওয়ায় তা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি।বন্ডের পরিমাণ কতযুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত বন্ডের তিনটি স্তর আছে—৫ হাজার, ১০ হাজার ও ১৫ হাজার ডলার।
পররাষ্ট্র দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কর্মসূচি চলাকালে প্রায় দুই হাজার ভিসা আবেদনকারীকে এ জামানত দিতে হবে।
‘যদি গড়ে জামানতের পরিমাণ ১০ হাজার ডলার ধরা হয়, তবে ২ হাজার আবেদনকারীর জন্য তা অঙ্কের হিসাবে দাঁড়াবে মোট ২ কোটি ডলারে’, বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
জামানতের পরিমাণ নির্ধারণ করবেন কনস্যুলার কর্মকর্তারা। তাঁরা আবেদনকারীর ‘ব্যক্তিগত অবস্থা’, যেমন ভ্রমণের কারণ, চাকরি, আয়, দক্ষতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতাও বিবেচনায় নেবেন।
তবে কিছু ক্ষেত্রে জামানত মওকুফের সুযোগ থাকবে, যেমন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মচারীদের ভ্রমণ বা জরুরি মানবিক প্রয়োজন।
অতীতে এমন কিছু হয়েছে কিডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদে ২০২০ সালে পররাষ্ট্র দপ্তর ভিসা বন্ড কর্মসূচি চালুর চেষ্টা করেছিল। তবে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ হ্রাস পাওয়ায় তা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি।
পররাষ্ট্র দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ দপ্তরের নির্দেশনায় কনস্যুলার কর্মকর্তাদের ভিসা বন্ড নিতে অতীতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কেননা, এটি ‘জটিল’ প্রক্রিয়া এবং এ নিয়ে জনমনে ভুল ধারণা সৃষ্টি হতে পারে। তবে দপ্তর বলেছে, এমন দৃষ্টিভঙ্গির পক্ষে সাম্প্রতিক কোনো উদাহরণ বা প্রমাণ নেই। কারণ, সাম্প্রতিককালে ভিসা বন্ড সাধারণত নেওয়া হয়নি। ২০২০ সালের পরীক্ষামূলক কর্মসূচি থেকেও তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সরকারি বিভিন্ন প্রতিবেদনের বরাতে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০০ সাল থেকে দেখা যাচ্ছে, অনেক বিদেশি নাগরিক ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করলেও তাঁদের প্রস্থানের কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। এতে প্রমাণ হয় যে প্রতিবছর হাজার হাজার নন-ইমিগ্র্যান্ট দর্শনার্থী ভিসার শর্ত মেনে নির্ধারিত সময়ে দেশ ছাড়েন না।
কোন দেশগুলো প্রভাবিত হবে৫ আগস্ট পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, মালাবি ও জাম্বিয়ার নাগরিকদের ওপর প্রথমে এ নীতি প্রয়োগ করা হবে। দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, ২০ আগস্ট থেকে মালাবি ও জাম্বিয়ার বি-১, বি-২ ব্যবসা ও পর্যটন ভিসার আবেদনকারীদের সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত জামানত দিতে হবে।
পরবর্তী সময় আরও দেশকে তালিকাভুক্ত করা হবে, যদি তাদের ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণ থাকার হার বেশি হয়, স্ক্রিনিং ও যাচাই প্রক্রিয়া দুর্বল হয় অথবা তারা ‘সিটিজেনশিপ বাই ইনভেস্টমেন্ট’ কর্মসূচি চালায়। তালিকা পুরো কর্মসূচি চলাকালে সংশোধন হতে পারে।
‘সিটিজেনশিপ বাই ইনভেস্টমেন্ট’ কর্মসূচিতে মূলত বিনিয়োগের বিনিময়ে বিদেশিদের কাছে নাগরিকত্ব বিক্রি করা হয়। এ কর্মসূচিতে বসবাসের কোনো শর্ত থাকে না। এ ধরনের কর্মসূচি আছে এমন দেশের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, অস্ট্রিয়া, জর্ডান, সেন্ট লুসিয়া ও তুরস্ক।
কোন দেশগুলোর ভিসা ওভারস্টে হার বেশি২০২৩ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকার বেশ কিছু দেশ, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার ও ইয়েমেনের বি-১ ও বি-২ ভিসাধারীদের মধ্যে অনুমোদিত মেয়াদের পরও যুক্তরাষ্ট্রে থাকার হার সবচেয়ে বেশি।
ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন ১২ দেশের অনেকটি, যেমন চাদ ও ইরিত্রিয়ার ভিসা ওভারস্টে হারও বেশি।
অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে কত শতাংশের ভিসা ওভারস্টেকংগ্রেসে দেওয়া প্রতিবেদনে ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি জানিয়েছে, ২০২৩ অর্থবছরে ভিসাধারীদের প্রায় ৩ কোটি ৯০ লাখের প্রস্থান করার কথা ছিল। কিন্তু ওই বছর প্রায় ৪ লাখ মানুষ ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রে থেকে গেছেন।
মার্কিন অভিবাসন নীতিবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান মাইগ্রেশন পলিসি ইনস্টিটিউটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে থাকা অভিবাসীদের একটি বড় অংশেরই ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। আর এ কারণেই দেশটিতে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে।
১৯৯০-এর দশকের তথ্য বিশ্লেষণ করে মার্কিন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাচারালাইজেশন সার্ভিস (আইএনএস) ২০০২ সালে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীর প্রায় ৪১ শতাংশ ভিসা ওভারস্টে।
২০০৩ সালে আইএনএস নতুনভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখায়, ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের ৩৩ শতাংশ ভিসা ছিল ওভারস্টে।
এ বিষয়ে অধিকতর সাম্প্রতিককালের তথ্য দিয়েছে অভিবাসন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর মাইগ্রেশন স্টাডিজ। তারা জানিয়েছে, ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে থাকা জনসংখ্যার প্রায় ৪২ শতাংশ ভিসা ওভারস্টে ছিল। ২০২৪ সালেও তারা একই হার উল্লেখ করেছে।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের জ্যেষ্ঠ জনসংখ্যাবিদ জেফ্রি প্যাসেলের মতে, বিশেষ করে সীমান্ত পার হওয়ার ধরন ও উৎস দেশ বদলে যাওয়ায় ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণের ঘটনা শনাক্ত ও নজরদারি করা এখনো কঠিন।