রাজধানীর ধুলা দূষণ রোধে ‘জিরো সয়েল’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সিটি কর্পোরেশন, বন বিভাগ ও সাধারণ নাগরিকদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, মহানগরীর উন্মুক্ত মাটি ঢেকে ফেলার উদ্যোগ, ছাদে গাছ লাগানো এবং প্রতিটি খালি জায়গায় সবুজায়নের মধ্য দিয়ে আমরা পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহরের হারার বাড়ি চত্বরে বন অধিদপ্তর ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, জিরো সয়েল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আমরা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সেপ্টেম্বরের মধ্যেই একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। যার যতটুকু সামর্থ্য, ততটুকু গাছ লাগান। ঘাস বা আইভি লতা দিয়ে খোলা মাটি ঢেকে দিন। তিনি আরও বলেন, বন ইকোসিস্টেম তৈরি করা যায় না, এটি জন্মায় ও গড়ে ওঠে। প্রাকৃতিক ব্যবস্থা ভেঙে ফেলা যাবে না। তাই সমন্বিতভাবে পরিবেশবান্ধব কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি সূত্র জানায়, ভবিষ্যতে ১২০ কিলোমিটার মিডিয়ান এবং ১০৮ কিলোমিটার খালপাড় সবুজায়নে কাজ করবে। এর পাশাপাশি উত্তরা আবাসিক এলাকা ও পূর্বাচলে রাজউকের সঙ্গে যৌথভাবে বনায়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই কাজে স্থানীয় জনগণ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.

ফারহিনা আহমেদ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী।

অনুষ্ঠান শেষে উপদেষ্টা বনানী কবরস্থানের পাশের সড়কে ঘাস রোপণের মাধ্যমে জিরো সয়েল কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব শ র জওয ন হ স ন অন ষ ঠ ন উপদ ষ ট পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ