ঐক্য জাসদের উদ্যোক্তা ও সিরাজুল আলম খানের ভাতিজি ব্যারিস্টার ফারাহ খান বলেছেন, সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সকল অংশকে একত্র করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেব। ক্ষমতায় গেলে জাসদের ৩০ হাজার নেতাকর্মী হত্যার বিচার এই বাংলার মাটিতে করবো। বৃহস্পতিবার বগুড়ায় রাজশাহী বিভাগীয় জাসদের সকল অংশের নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।

তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজনৈতিক দল জাসদ শতভাগ মুক্তিযোদ্ধার দল। এই দলটি বিশাল দল হিসেবে এ দেশের মাটিতে রাজনীতি শুরু করে। কিন্তু গত ৫৩ বছরে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে বৃহৎ এই দলটি ছোট হয়ে গেছে। এই দলের ওপর নির্ভর করতে হতো অন্য দলগুলোকে। এখন জাসদ অন্য দলের সঙ্গে ২-১টি আসনের জন্য ধরনা দেয়, তাদের ছায়ায় থাকতে চায়। এটা আমাদের জন্য বড় লজ্জার বিষয়। আমাদের বিভক্ত অংশ একত্র হলে আমাদের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ও নিষ্ক্রিয় নেতাকর্মীরা একত্র হলে আমরা আবার এ দেশের রাজনীতিতে ভালো অবস্থানে থাকতে পারবো। আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারবো।

বগুড়া শহরের শেরপুর রোডের হোটেল ম্যাক্স মোটেলে মতবিনিময় সভায় ফারাহ খান আরও বলেন, আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে ব্যক্তি স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে ঐক্য করতে চাই। আমরা তৃণমূল থেকে গর্জন দিতে চাই। তাই তৃর্ণমূলকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের মাঠে নামতে হবে। 

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর যে সংস্কার ও দফা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে নেমেছে এই দফা ছিল সিরাজুল আলম খান দাদা ভাইয়ের ১৯৮৩ সালের ১৪ দফা। সেগুলোই এখন ঘুরে ফিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের দফা হিসেবে চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের মধ্যে বিভক্তির কারণে কিছু বলতে পারছি না। মুক্তিযোদ্ধাদের গলায় জুতার মালা দেওয়া হচ্ছে আমরা প্রতিবাদ করতে পারছি না। এভাবে চুপ করে বসে থাকলে যন্ত্রণা নিয়ে আমাদের মরতে হবে।

পাবনা জেলা জাসদের সভাপতি (আম্বিয়া) আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জাসদ (রব) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রেজাউল বারি দিপন, জাসদ (ইনু) বগুড়ার সহসভাপতি আব্দুল মালেক সরকার, রাজশাহী জেলা জাসদের সভাপতি শফিউর রহমান শফি, নাটোর জেলা জাসদ (ইনু) সাধারণ সম্পাদক ডিএম আলম, বগুড়া জেলা জাসদ (আম্বিয়া) সভাপতি তুহিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ঠান্ডু, জয়পুরহাট জেলা জাসদের (আম্বিয়া) সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন উজ্জ্বল, রংপুর শহর জাসদ (আম্বিয়া) সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন, বগুড়া জেলা জাসদের (আম্বিয়া) ইসমাইল হোসেন দুখু, জাসদ ইনুর হারুনুর রশিদ, জাসদ রব গ্রুপের নাহিদ ইসলাম প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম ব য় র জন ত আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

কলকাতায় প্রথমবারের মতো লোকাল এসি ট্রেন চালু

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় প্রথমবারের মতো শীতাতপনিয়ন্ত্রিত লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে। শিয়ালদহ থেকে নৈহাটি জেলার রানাঘাট পর্যন্ত চলবে ট্রেনটি। সময় লাগবে ১ ঘন্টা ২০ মিনিট। রোববার দুপুরে কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশনে ট্রেনটির উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

টিকিট কাটা যাবে সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক। ট্রেনটি এই লাইনের সব স্টেশনে থামবে। বিধাননগর (উল্টোডাঙ্গা), দমদম, সোদপুর, খড়দা, বারাকপুর, নৈহাটি, কাচড়াপাড়া, কল্যানী ও রানাঘাটে ওঠানামা করতে পারবেন যাত্রীরা।

চেন্নাই–এর ইন্টগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরির তৈরি করা ট্রেনে ১২টি কোচ রয়েছে। প্রতি ট্রিপে ১ হাজার ১২৬ যাত্রী চলাচল করতে পারবেন। ট্রেনে রয়েছে সর্বাধিক আধুনিক ব্যবস্থা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুকান্ত মজুমদার বলেন, এসি ট্রেন চালুর ফলে এই লাইনের মানুষের দীর্ঘদিনের একটি দাবি পূরণ হলো। সোমবার থেকে রানাঘাট স্টেশন থেকে নিয়মিত ট্রেনের পরিষেবা শুরু হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যসহ কলকাতার বিশিস্টজনেরা।

উদ্বোধনের পর সুকান্ত মজুমদার ট্রেনে করে দমদম স্টেশনে নামেন। এ সময় সেখানে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির কিছু সমর্থক বিক্ষোভ করে। তারা ভোটার তালিকা সংশোধনের নিমিত্তে জারি করা এসআইআর বা ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের প্রতিবাদ করে। একই সঙ্গে দেশব্যাপী বাংলা ভাষা ও বাঙালী হেনস্তার প্রতিবাদ করেন।

এ সময় সুকান্ত মজুমদার জানিয়ে দেন, ‘বাংলায় এসআইআর হবেই। দম থাকলে আটকে দেখান।’

জবাবে আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তারা এই রাজ্যে বাংলা ভাষা ও বাঙালী হেনস্তা ও এসআইআরের প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ