জাসদের সকল অংশকে এক করে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেব: ফারাহ খান
Published: 26th, June 2025 GMT
ঐক্য জাসদের উদ্যোক্তা ও সিরাজুল আলম খানের ভাতিজি ব্যারিস্টার ফারাহ খান বলেছেন, সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সকল অংশকে একত্র করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেব। ক্ষমতায় গেলে জাসদের ৩০ হাজার নেতাকর্মী হত্যার বিচার এই বাংলার মাটিতে করবো। বৃহস্পতিবার বগুড়ায় রাজশাহী বিভাগীয় জাসদের সকল অংশের নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।
তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজনৈতিক দল জাসদ শতভাগ মুক্তিযোদ্ধার দল। এই দলটি বিশাল দল হিসেবে এ দেশের মাটিতে রাজনীতি শুরু করে। কিন্তু গত ৫৩ বছরে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে বৃহৎ এই দলটি ছোট হয়ে গেছে। এই দলের ওপর নির্ভর করতে হতো অন্য দলগুলোকে। এখন জাসদ অন্য দলের সঙ্গে ২-১টি আসনের জন্য ধরনা দেয়, তাদের ছায়ায় থাকতে চায়। এটা আমাদের জন্য বড় লজ্জার বিষয়। আমাদের বিভক্ত অংশ একত্র হলে আমাদের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ও নিষ্ক্রিয় নেতাকর্মীরা একত্র হলে আমরা আবার এ দেশের রাজনীতিতে ভালো অবস্থানে থাকতে পারবো। আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারবো।
বগুড়া শহরের শেরপুর রোডের হোটেল ম্যাক্স মোটেলে মতবিনিময় সভায় ফারাহ খান আরও বলেন, আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে ব্যক্তি স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে ঐক্য করতে চাই। আমরা তৃণমূল থেকে গর্জন দিতে চাই। তাই তৃর্ণমূলকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের মাঠে নামতে হবে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর যে সংস্কার ও দফা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে নেমেছে এই দফা ছিল সিরাজুল আলম খান দাদা ভাইয়ের ১৯৮৩ সালের ১৪ দফা। সেগুলোই এখন ঘুরে ফিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের দফা হিসেবে চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের মধ্যে বিভক্তির কারণে কিছু বলতে পারছি না। মুক্তিযোদ্ধাদের গলায় জুতার মালা দেওয়া হচ্ছে আমরা প্রতিবাদ করতে পারছি না। এভাবে চুপ করে বসে থাকলে যন্ত্রণা নিয়ে আমাদের মরতে হবে।
পাবনা জেলা জাসদের সভাপতি (আম্বিয়া) আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জাসদ (রব) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রেজাউল বারি দিপন, জাসদ (ইনু) বগুড়ার সহসভাপতি আব্দুল মালেক সরকার, রাজশাহী জেলা জাসদের সভাপতি শফিউর রহমান শফি, নাটোর জেলা জাসদ (ইনু) সাধারণ সম্পাদক ডিএম আলম, বগুড়া জেলা জাসদ (আম্বিয়া) সভাপতি তুহিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ঠান্ডু, জয়পুরহাট জেলা জাসদের (আম্বিয়া) সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন উজ্জ্বল, রংপুর শহর জাসদ (আম্বিয়া) সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন, বগুড়া জেলা জাসদের (আম্বিয়া) ইসমাইল হোসেন দুখু, জাসদ ইনুর হারুনুর রশিদ, জাসদ রব গ্রুপের নাহিদ ইসলাম প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আম ব য় র জন ত আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা ধসিয়ে দিয়েছে রাশিয়া, অন্ধকারে বিভিন্ন অঞ্চল
ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে রাশিয়া ব্যাপক হামলা চালানোর পর দেশটিতে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন অঞ্চল। আজ রোববার ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎবিভ্রাটের সতকর্তা জারি করেছে দেশটির বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ইউক্রেনেরর্গো। হামলার জেরে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যের’ কোঠায় নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
গত কয়েক মাসে ইউক্রেনের বিভিন্ন অবকাঠামোয় হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত কয়েক শ ড্রোন হামলা চালিয়েছে মস্কো। ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।
ইউক্রেনের্গো জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ অবকাঠামো মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। বিকল্প উৎস থেকে সরবরাহ নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গত শনিবার ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী ভিতলানা গ্রিনচুক জানিয়েছেন, কিয়েভ, নিপ্রোপেত্রাভস্ক, দোনেৎস্ক, খারকিভ, পলতাভা, চেরনিহিভ ও সুমিতে সরবরাহ কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। তবে সেখানে নিয়মিত বিদ্যুৎবিভ্রাট থাকবে।
স্থানীয় টেলিভিশন ইউনাইটেড নিউজকে ভিতলানা গ্রিনচুক বলেছেন, শত্রুরা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। এটি প্রতিহত করা খুব কঠিন। আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর এমন হামলা হয়নি।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিয়া জানিয়েছেন, রুশ ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানাতে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আন্দ্রি সিবিয়া তাঁর টেলিগ্রাম চ্যানেলে লিখেছেন, ‘রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ইউরোপের জ্বালানি নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এই অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকির জবাব দিতে আমরা আইএইএর গভর্নর বোর্ডের জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানাচ্ছি।’
হামলা বন্ধে রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চীন ও ভারতের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দেশ দুটি রাশিয়ার জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হিসেবে পরিচিত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলার কারণে শীতের আগে ইউক্রেনের তাপ সরবরাহ ব্যবস্থা ঝুঁকিতে পড়েছে। দেশটির শীর্ষ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ওলেকজান্দ্রা খারচেঙ্কো সতর্ক করে বলেছেন, তাপমাত্রা যখন হিমাঙ্কের ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসবে, তখন কিয়েভের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও তাপকেন্দ্র তিন দিনের বেশি বন্ধ থাকলে রাজধানীতে ‘প্রযুক্তিগত বিপর্যয়’ তৈরি হবে।