বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বামরাইল এলাকায় বেঁদে সম্প্রদায়ের লোকদের বহনকারী একটি ট্রাক উল্টে ডোবায় পড়ে গেছে। এতে ২ জন নিহত ও কমপক্ষে ২১ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত ২ জন হলেন- মুন্সিগঞ্জ জেলার তুফানী বেগম (২৮) ও শরিয়তপুর জেলার রাজিয়া বেগম (৩০)। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো.

বিপুল হোসেন জানান, বেদে সম্প্রদায়ের লোকজন নিয়ে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া এলাকায় যাওয়ার পথে তাদের বহনকারী একটি ট্রাক আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উল্টে যায়। ট্রাকটি বেপরোয়া গতিতে মোড়াকাঠি এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় একটি যাত্রীবাহী বাস ট্রাকটিকে চাপ দেয়। এতে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি উল্টে গিয়ে মহাসড়কের পাশের পুকুরে একটি ডোবায় পড়ে যায়। এতে বেদে সম্প্রদায়ের ২৩ জন লোক আহত হয়। 

খবর পেয়ে গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মী ও গৌরনদী হাইওয়ে ও থানা পুলিশের সদস্যরা স্থানীয় লোজজনের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২ জনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহতদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

গৌরনদী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আমিনুর রহমান জানান, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর শ ল বর শ ল গ রনদ

এছাড়াও পড়ুন:

দুই জিনিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি, মাদক ও দুর্নীতি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মাদকের গডফাদাররা ধরা পড়ছে না বলে নিজেই স্বীকার করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, দুটি জিনিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এক, মাদক; দুই, দুর্নীতি। তবে আগের চেয়ে মাদকের সঙ্গে যুক্ত অপরাধীদের বেশি ধরা হচ্ছে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে ‘মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৫’ পালন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শুধু মাদক বহনকারীদের ধরা হয়। গডফাদারদের ধরা হচ্ছে না। মাদকের গডফাদারদের ধরতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, একসময় মাদকের সঙ্গে বদির (কক্সবাজারের এমপি আবদুর রহমান) নাম ছিল। এখন অনেক বদি জন্ম নিয়েছেন। তাঁদের ধরতে হবে। এ জন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান তিনি।

এ সময় এক সাংবাদিক জানতে চান, ঢাকায় মাদকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযান পরিচালিত হয়, তা কার্যকর নয়। এ প্রশ্নের জবাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে মহাপরিচালক হাসান মারুফ বলেন, এ কথা সত্যি যে অভিযান কার্যকর হচ্ছে না। তবে এর সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তারা যেমন জড়িত রয়েছেন, তেমনি গণমাধ্যমকর্মীরাও রয়েছেন। সম্প্রতি বনানীতে দুটি অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে দেখা গেছে, মাদকের সঙ্গে সমাজের অনেক গোষ্ঠী রয়েছে। তখন সাংবাদিকেরা গণমাধ্যমকর্মী ও কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশ করতে বলেন। এ সময় মাদকদ্রব্যের ডিজি বলেন, সবাইকে নিজ অন্তর থেকে পরিশুদ্ধ হতে হবে।

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিজির উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা যা চেয়েছেন, তা–ই দেওয়া হয়েছে। ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার একটা প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। এখন আর মাদক বহনকারীকে ধরে লাভ নেই। ধরতে হবে গডফাদারদের। গডফাদাররা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বসে আছে। আমাদের সঙ্গে চা খেয়ে থাকে। ঘোরাফেরা করে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মাদকের সঙ্গে যুক্ত উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁকে শিগগিরই কেরানীগঞ্জে কারাগারে ঢোকানো হবে। ওই কর্মকর্তা কে—এমন প্রশ্ন করলে তিনি নাম বলেননি।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ৩২টি বেসরকারি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের মধ্যে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকস চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ধামরাইয়ে প্রাইভেটকার উল্টে আহত ৫
  • দুই জিনিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি, মাদক ও দুর্নীতি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা