আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত জামালপুরের রাজনীতির দৃশ্যপট গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর পুরোটাই পাল্টে গেছে। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যসহ প্রায় সব নেতা আত্মগোপনে। রমরমা থাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের এখন অস্তিত্বই নেই। অন্যদিকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এখন লোক ধারণের জায়গা নেই। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামীর নেতা–কর্মীরা প্রকাশ্যে দলের কর্মকাণ্ড চালাতে না পারলেও এখন দলটির নেতা–কর্মীরা সরব।

এর বাইরে ইসলামী আন্দোলন জেলার রাজনীতিতে সক্রিয় আছে। জাতীয় পার্টির কর্মকাণ্ড অনেকটা থেমে আছে। বিভিন্ন দাবি নিয়ে মাঝেমধ্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) দেখা মিললেও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের কোনো কর্মকাণ্ড নেই।

এদিকে জামালপুর জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এখনো কমিটি হয়নি। সম্প্রতি শুধু জেলা সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। সদস্য সংগ্রহের কাজ চলমান। কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব লুৎফর রহমান জামালপুর–৩ (মেলান্দহ–মাদারগঞ্জ) আসনে প্রার্থী হিসেবে এলাকায় গণসংযোগ ও নানা সামাজিক কাজ করছেন। এ ছাড়া জেলায় এনসিপির দৃশ্যমান কোনো নির্বাচনী কর্মকাণ্ড নেই।

সব মিলিয়ে জামালপুর জেলার রাজনীতির মাঠে এখন বিএনপি ও জামায়াত বেশ সক্রিয়। দল দুটি সংগঠনকে গোছানোর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটের মাঠও গোছাচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী আসনে এখন বেশ সক্রিয়। সুযোগ পেলেই জনসংযোগের পাশাপাশি যোগ দিচ্ছেন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে।

জমজমাট বিএনপির কার্যালয়

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জামালপুরে প্রায় ৫০০ মামলায় আসামি করা হয়েছিল বিএনপির ১০ হাজারের বেশি নেতা–কর্মীকে। কারাভোগ করতে হয়েছে অসংখ্য নেতা–কর্মীকে। গ্রেপ্তারের আতঙ্কে দলের কর্মসূচি থেকে অনেক নেতা–কর্মী নিজেকে গুটিয়ে রাখতেন। কিন্তু এখন সেই দৃশ্য পাল্টেছে। পুরোনো কার্যালয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে। তার পাশে আরেকটি নতুন কার্যালয় করা হয়েছে। এখন সেই কার্যালয় ঘিরে দিনরাত চলে নেতা–কর্মীদের আড্ডা ও দলীয় কার্যক্রম।

বিএনপির কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন নেতার বাড়ি এই জেলায়। যাঁর যাঁর নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির কর্মকাণ্ড তাঁদের নির্দেশনায়ই পরিচালিত হয়। নানা কর্মসূচিতে তৃণমূল নেতা–কর্মীরা চাঙা হলেও বিএনপির জেলা কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ রয়ে গেছে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে সবশেষ জামালপুর জেলা বিএনপির সম্মেলন হয়েছিল। দুই বছর পরপর সম্মেলন আয়োজনের কথা থাকলেও দীর্ঘ সময়েও জেলা সম্মেলন করতে পারেনি দলটি। যুবদল মাঠে সক্রিয় থাকলেও চলছে আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে। সম্প্রতি জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি দেওয়া হয়েছে। তবে শ্রমিক দল চলছে পুরোনো কমিটি নিয়ে।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, ১৫ বছর শেখ হাসিনা সরকারের হামলা–মামলা, নির্যাতন ও পুলিশি হয়রানি উপেক্ষা করে বিএনপির নেতা–কর্মীরা মাঠে ছিলেন। ওই সময়ে নানা বাধা থাকলেও দলীয় নেতা–কর্মীরা মাঠে থেকে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন–সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। এখন নির্বিঘ্নে দলীয় সব কর্মসূচিতে নেতা–কর্মীরা অংশ নিচ্ছেন।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো.

ওয়ারেছ আলী (মামুন) বলেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলা সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছে। এরই মধ্যে সব উপজেলার সম্মেলন শেষ করা হয়েছে। বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী যেসব সংগঠনের কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ, তা ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে। পুরো দলকে এই মুহূর্তে নির্বাচনমুখীও করা হয়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা যাঁর যাঁর এলাকায় নির্বাচনী কাজ করছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে অবশ্যই জেলার পাঁচটি আসনেই বিএনপির প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করবেন ভোটাররা।

জামায়াতের নেতা–কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস

আওয়ামী লীগ সরকারের পুরো আমলে জামালপুরে প্রকাশ্যে সংগঠনের কর্মকাণ্ড চালাতে পারেনি জামায়াত। ওই সময়ে অনেকটা গোপনে সংগঠনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হয়েছে জামায়াতকে। এখন দৃশ্যপটের পরিবর্তন হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নির্বিঘ্নে দলীয় কর্মসূচি পালন করতে পেরে উচ্ছ্বসিত নেতা–কর্মীরা। জামায়াতের প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলা ও জেলা কমিটি হালনাগাদ আছে।

জামায়াতে ইসলামীর জামালপুর জেলা শাখার আমির মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই সময়ে দলের সাংগঠনিক কাজ প্রকাশ্যে চালাতে পারিনি। তবে গোপনেই আমাদের দলের সব সাংগঠনিক কাজ অব্যাহত রেখেছিলাম। ওই সময়ে দলীয় কার্যালয় পুরোপুরি বন্ধই ছিল। তবে এখন আমাদের কার্যালয়ে সব সাংগঠনিক কাজকর্ম চলছে।’

এনসিপির হালচাল

১৩ জুন জামালপুর শহরের বাইপাস মোড়ের চন্দ্রা এলাকায় এনসিপির জেলা শাখা কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়। এরপর ১৯ জুন এনসিপির জেলা সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব লুৎফর রহমানের বাড়ি মেলান্দহ উপজেলায়। তিনি জামালপুর–৩ (মেলান্দহ–মাদারগঞ্জ) সংসদীয় আসনের একজন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডসহ গণসংযোগ করছেন। এর বাইরে অন্য কোনো এলাকায় এনসিপির দৃশ্যমান কোনো নির্বাচনী কার্যক্রম লক্ষ করা যায়নি।

এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমরা নিবন্ধনপ্রক্রিয়ার দিকে চলে গিয়েছি। এটা একধরনের নির্বাচনমুখী কার্যক্রম। জামালপুরের আসনগুলোয় অনেকেই প্রার্থী হতে চাচ্ছেন। জনগণের প্রত্যাশা পূর্ণ করবেন, এমন প্রার্থীদের আমরা নেব। প্রতিটি এলাকায় আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে।’

সংসদীয় আসনভিত্তিক তৎপরতা

জামালপুর জেলায় পাঁচটি সংসদীয় আসন আছে। জামালপুর–১ (দেওয়ানগঞ্জ–বকশীগঞ্জ), জামালপুর–২ (ইসলামপুর), জামালপুর–৩ (মেলান্দহ–মাদারগঞ্জ), জামালপুর–৪ (সরিষাবাড়ী) ও জামালপুর–৫ (সদর)।

জামালপুর–১ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান (মিল্লাত), বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক আইজিপি আব্দুল কাইয়ুম, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য মুহাম্মদ নাজমুল হক (সাইদী) ও ইসলামী আন্দোলন বকশীগঞ্জ উপজেলার সভাপতি মাওলানা আব্দুল মজিদ।

জামালপুর–২ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদসচিব এস এম আব্দুল হালিম ও ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুলতান মাহমুদ, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সেক্রেটারি মো. ছামিউল হক (ফারুকী), জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ ও ইসলামী আন্দোলনের জামালপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ।

জামালপুর–৩ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, জামায়াতে ইসলামী জামালপুর জেলা শাখার কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মজিবুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব লুৎফর রহমান ও ইসলামী আন্দোলন মেলান্দহ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা বোরহান উদ্দিন।

জামালপুর–৪ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার, জামায়াতে ইসলামীর জামালপুর জেলা শাখার সেক্রেটারি মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল, ইসলামী আন্দোলন সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ আলী আকবর, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মামুনুর রশিদ ও কেন্দ্রীয় গণ অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন।

জামালপুর–৫ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ্‌ মো. ওয়ারেছ আলী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ–প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক নিলোফার চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী মো. সিরাজুল হক, জামায়াতে ইসলামীর জামালপুর জেলা শাখার আমির মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ইউনুস আহমেদ ও গণ অধিকার পরিষদ জামালপুর জেলা শাখার জাকির হোসেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র ক ব এনপ র স কম ট র স ম হ ম মদ গঠন ক স এনস প র ও ইসল ম গঠন ক ক র রহম ন ইসল ম র সরক র র য় কম ট কর ম র এল ক য় উপজ ল স গঠন আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতি ডিমে লস দুই থেকে আড়াই টাকা, দিশেহারা খামারিরা

টাঙ্গাইলের কালিহাতীর দেউপুর গ্রামের পোল্ট্রি খামির মো. জিন্নাহ। পৈত্রিক সম্পতি দেখিয়ে লোন করে ও নিজের জমানো টাকা থেকে এ বছর প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ করে তিন হাজার লেয়ার মুরগি লালন পালন করছেন। প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার ডিম উৎপাদন হলেও ক্ষতি হচ্ছে প্রায় পাঁচ হাজার টাকা।

মো. জিন্নাহ বলেন, “জানুয়ারি মাস থেকে প্রতি ডিমে দুই থেকে আড়াই টাকা পর্যন্ত ক্ষতি হচ্ছে। প্রতি ডিমের উৎপাদন খরচ ১০ টাকা ২০ পয়সা। সেখানে সাত টাকা ৫০ পয়সা ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে। ক্ষতি যাওয়ায় আমাদের গ্রামের অনেক খামারি নিঃস্ব হয়েছে। আবার অনেকেই দেউলিয়া হয়ে বাড়ি ছাড়া হয়েছে।”

শুধু জিন্নাহ নয়, তার মতো ভূঞাপুর, ঘাটাইল, সখীপুরসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। 

খামারিদের দাবি, ডিমের দাম কমলেও খাদ্য, মেডিসিনসহ উৎপাদন খরচ কমছে না। এতে ঋণ, সুদ ও জমি বিক্রি করে যারা খামার পরিচালনা করছিলেন। তারাই অনেকেই দেউলিয়া হয়েছেন। বর্তমান বেশিভাগ খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন। 

এদিকে ডিমের দাম কমলেও তেমন বিক্রি হচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের দাবি, ডিমের চাহিদা কমায় আগের চেয়ে ডিম বিক্রি নেমেছে অর্ধেকে।
জেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয় ও ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, এক যুগ আগে টাঙ্গাইলে প্রতিদিন তিন কোটি পিস ডিম উৎপাদন হলেও বর্তমানে প্রতি দিন প্রায় ৩২ লাখ পিস ডিম উৎপাদন হচ্ছে। আগে টাঙ্গাইলে ২০ হাজারের অধিক খামারি থাকলেও বর্তমানে খামারি আছে প্রায় আড়াই হাজার।

দেউপুর গ্রামের খামারি সুজন মিয়া বলেন, “ডিমের দাম কমায় প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এভাবে চলমান থাকলে আমাকেও দেউলিয়া হতে হবে।”

অপর খামারি হাসমত আলী বলেন, “ডিমের দাম একটু বাড়লে প্রশাসনসহ ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা জরিমানা করেন। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ডিম আমদানি করেন। এখন তো ডিমের দাম কমছে, তাহলে যদি পার্শ্ববর্তী দেশগুলো ডিম রপ্তানি করে তাহলে লাভ না হলেও ডিমের উৎপাদন খরচটা উঠতো। প্রান্তিক খামারিদের টিকিয়ে রাখতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এছাড়াও প্রান্তিক খামারিরা না থাকলে বহুজাতিক কোম্পানি থেকে প্রতিটি ডিম আগামীতে ২০ থেকে ২৫ টাকায় কিনতে হবে।”

টাঙ্গাইল পার্ক বাজারের ব্যবসায়ী আমজাদ মিয়া বলেন, “ডিমের দাম কমায় একদিকে যেমন খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অপর দিকে আমরা তেমন ডিম বিক্রি করতে পারছি না। শুক্রবার (২৭ জুন) ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা হালি ডিম বিক্রি করছি। তাও স্বাভাবিক সময়ের মতো বিক্রি হচ্ছে না। আগে এক দিনে ১২/১৩ হাজার ডিম বিক্রি করলেও এখন সাত হাজার ডিম বিক্রি করতেও হিমসিম খেতে হচ্ছে। অনেকের ডিম আড়তে থেকে ভেঙে ও পঁচে নষ্ট হচ্ছে।”

অপর ব্যবসায়ী রাসেল মিয়া বলেন, ‘গত ঈদে ১০ দিনের ছুটি ছিলো। সেই ছুটিতে যে ডিমের চাহিদা কমেছে, তা আর বাড়েনি। সেই ১০ দিনে ডিম জমে যাওয়ায় ডিমের সরবরাহ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। তবে তেমন চাহিদা না থাকায় ডিমের দাম কমেছে। খামারিদের পাশাপাশি আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।”

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, “গত নভেম্বর মাসে সরকারের পক্ষ থেকে ডিমের দাম ১০ টাকা ৮০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। প্রান্তিক খামারিদের স্বার্থে এই দামটি যাতে প্রতি মাসে নির্ধারণ করা হয়, সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে। এছাড়াও ডিমের উৎপাদন খরচ কমাতে বায়োসিকিউরিটি মেনে চলতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে খামারিদের।”

ঢাকা/কাওছার/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ