দেশের এমএসএমই খাতকে শক্তিশালী করতে প্রাইম ব্যাংক পিএলসির যত উদ্যোগ
Published: 27th, June 2025 GMT
বিশ্ব এমএসএমই দিবস আজ শুক্রবার । টেকসই উন্নয়নের জন্য এমএসএমই খাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৭ সালে জাতিসংঘ এ দিনকে ‘বিশ্ব এমএসএমই দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। এ বছর সারা বিশ্বে নবমবারের মতো পালিত হচ্ছে দিবসটি।
কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই)-এ চারটি খাতই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তা ছাড়া দেশের জিডিপিতে এই খাতগুলোর অবদান ২৫ শতাংশ। এই খাতকে সহায়তায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। ব্যতিক্রম নয় দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রাইম ব্যাংক পিএলসিও। ব্যাংকটি এমএসএমই খাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্যোক্তামুখী মনোভাব নিয়ে নানাবিধ কার্যক্রমের মাধ্যমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে তরুণ শিক্ষার্থীদের এ খাতে ক্যারিয়ার গড়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান অব্যাহত রাখছে প্রাইম ব্যাংক।
এ ধরনের উদ্যোগের মধ্যে প্রাইম ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম হলো, ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) সঙ্গে ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি টার্ম লোন চুক্তি। যা রপ্তানি ও আমদানিভিত্তিক সিএমএসএমই শিল্পে সরাসরি বিনিয়োগ করছে। আর এ ধরনের উদ্যোক্তাদের কাছে আর্থিক সুবিধা সহজলভ্য এবং তাঁদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে। সেই সঙ্গে জাতীয় কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ ছাড়া ডাচ এন্টারপ্রেনোরিয়াল ব্যাংক ‘এফএমও’র সহায়তায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সুবিধা পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক। যার ৪০ শতাংশ গ্রিন প্রকল্পে এবং বাকি ৬০ শতাংশ নারী, কৃষি ও তরুণসহ এমএসএমইকে সাধারণ ঋণ হিসেবে বরাদ্দ দিয়েছে। এই উদ্যোগ এমএসএমই মালিকানায় বৈচিত্র্য এবং টেকসই বিষয়গুলো নিশ্চিত করে। এ ধরনের খাতের জন্য প্রাইম ব্যাংক নন-ফাইন্যান্সিয়াল সুবিধা দিয়ে থাকে। তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো, এক কোটি টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ব্যবসায়িক ঋণ, কম সুদে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা এবং এমএসএমইদের আর্থিক স্বাক্ষরতা ও প্রশিক্ষণ প্রদান।
দেশের এমএসএমই খাতে এক-তৃতীয়াংশ নারী অবদান রাখছেন। তাই নারী উদ্যোক্তাদের আরও সক্রিয় অংশগ্রহণ ও তাঁদের দক্ষতা বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। এ প্রসঙ্গে ব্যাংকটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এম.
নারী উদ্যোক্তাদের ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি ‘সবুজ অর্থায়ন’ সম্পর্কে এম. নাজিম এ. চৌধুরী বলেন, ‘টেকসই ব্যবসার জন্য এমএসএমইদের সবুজ অর্থায়ন সুবিধা দিচ্ছে প্রাইম ব্যাংক। এর মধ্যে রয়েছে সবুজ ও টেকসই ফাইন্যান্সিং স্ট্র্যাটেজি, গ্রিন বিল্ডিং ও শিল্প প্রকল্পে সহায়তা এবং গ্রিন এলসি সুবিধা।’
এমএসএমই সম্ভাবনাময় একটি খাত। কিন্তু অধিকাংশ উদ্যোক্তা সঠিক ও গঠনমূলক পরিকল্পনা থাকার পরও পুঁজির অভাবে শুরু করতে পারেন না। তাই স্বপ্ন পূরণে নির্ভর করেন ঋণের ওপর। এ দিক বিবেচনায় প্রাইম ব্যাংক পূর্ণ সহায়তা দিচ্ছে। ব্যাংকটির ক্রেডিট পলিসি ও এমএসএমই লোন প্রক্রিয়া সহজলভ্য ও উদ্যোক্তাবান্ধব। তাঁরা সহজ শর্ত ও কম জটিলতায় সাত দিনের মধ্যে ঋণ পেতে পারেন। ন্যূনতম ডকুমেন্টশন আর স্বল্প অভিজ্ঞতায় কোনো বাড়তি চার্জ বা ফি ছাড়াই পাচ্ছেন এ সুবিধা। যা এমএসএমইদের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ যাত্রায় প্রাইম ব্যাংকের আন্তরিক সহযোগিতাকে প্রমাণ করে।
এমএসএমই খাতকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকিং সেবার ডিজিটালাইজেশন বা আধুনিকায়ন। এটি উদ্যোক্তাদের সময় ও খরচ কমাতে সাহায্য করছে। পাশাপাশি উদ্যোক্তারাও নিজেদের উদ্যোগে প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করছেন। এখানেও পিছিয়ে নেই প্রাইম ব্যাংক। কারণ ব্যাংকটিতে ঋণ আবেদন, হিসাব খোলা এবং লেনদেনে রয়েছে ডিজিটাল সুবিধা। এ ছাড়া ‘মাই প্রাইম’ ও ‘প্রাইম পে’ দিয়ে ঘরে বসেই প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে ব্যাংকিং সেবা পাচ্ছেন এমএসএমইরা।
বিশ্ব এমএসএমই দিবস উপলক্ষে এ খাত সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে প্রাইম ব্যাংক পিএলসির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. নাজিম এ চৌধুরী বলেন, ‘মানুষের শরীরে হৃৎপিণ্ড যেমন জরুরি অঙ্গ, তেমনি দেশের অর্থনীতির টেকসই ও উৎপাদশীল উন্নয়নে এমএসএমইর অবদান গুরুত্বপূর্ণ। তাই সবাই মিলে যদি এমএসএমইদের যত্ন নিই, তাহলে আমরা এবং দেশ-সবাই ভালো থাকবে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এমএসএমই খ ত ফ ইন য ন স ট কসই ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।
আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।
এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।
ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’
১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।