বাংলাদেশে একসঙ্গে হলিউডের ৪ সিনেমা মুক্তি পেল
Published: 27th, June 2025 GMT
হলিউডের ৪টি সিনেমা মুক্তি পেল বাংলাদেশে। আজ (২৭ জুন) এগুলো মুক্তি পেয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্সে। এরমধ্যে রয়েছে ‘মেগান ২.০’, ‘এফ ওয়ান’, ‘হাউ টু ট্রেইন ইওর ড্রাগন’ ও ‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন: ব্লাডলাইনস’।
আলোচিত হরর ছবি ‘মেগান’-এর সিক্যুয়েল ‘মেগান ২.০’ এবং ফর্মুলা ওয়ান ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত ছবি ‘এফ ওয়ান’ আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেয়েছে আজই (২৭ জুন)। অন্যদিকে, জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড ছবি ‘হাউ টু ট্রেইন ইওর ড্রাগন’ সিরিজের লাইভ-অ্যাকশন রিমেক ‘হাউ টু ট্রেইন ইওর ড্রাগন’
গত ১৩ জুন মুক্তির পরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে ভালো সাড়া পেয়েছে। এ বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলোর মধ্য আয়ের দিক থেকে এ পর্যন্ত সেরা পাঁচ সিনেমার মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে আছে এটি।
এ ছাড়া, এক দশকের দীর্ঘ অপেক্ষার পর পর্দায় এসেছে ‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন’ ফ্র্যাঞ্চাইজির নতুন ছবি ‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন: ব্লাডলাইনস’। এটিও দর্শক প্রত্যাশা পূরণে সমর্থ হয়েছে।
স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্তা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ আশা করছেন, বাংলাদেশের দর্শকদের কাছ থেকেও সিনেমাগুলো ভালো সাড়া পাবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আধুনিক টিভির যত আধুনিক সুবিধা
টেলিভিশনকে বাংলায় বলা হয় ‘দূরদর্শন’। মাত্র কয়েক বছর আগেও এটি সত্যিই ছিল দূরদর্শনের মাধ্যম—দূরের কোনো ঘটনা চোখের সামনে এনে দেওয়ার একটি যন্ত্র। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে টিভির সংজ্ঞা, উদ্দেশ্য ও ব্যবহার। প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতিতে আজকাল টিভি হয়ে উঠেছে একটি ‘স্মার্ট হাব’, যেখানে সিনেমা দেখা, গেম খেলা, ভিডিও কল করা, এমনকি বাড়ির অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আধুনিক টিভিগুলোর সুবিধা কেবল ছবি বা সাউন্ডে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এগুলো এখন ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স।
স্মার্ট অপারেটিং সিস্টেমবর্তমান প্রজন্মের টিভিগুলো শুধু নাটক কিংবা সিনেমা দেখার একটি স্ক্রিন নয়, বরং একটি সম্পূর্ণ স্মার্ট ডিভাইস। স্মার্ট টিভিতে অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) হিসেবে টাইজেন, অ্যান্ড্রয়েড টিভি, রোকু টিভি এবং ওয়েবওএস ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। এই সিস্টেমগুলোর মাধ্যমেই বর্তমান যুগের টিভিগুলো হয়ে উঠছে আধুনিক থেকে আধুনিকতর। ব্যবহারকারীরা এখন চাইলেই স্মার্ট টিভিগুলোতে নেটফ্লিক্স, ইউটিউব, স্পটিফাই, অ্যামাজন প্রাইম কিংবা যেকোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্মও সরাসরি উপভোগ করতে পারেন।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ‘অ্যাপ স্টোর ইন্টিগ্রেশন’। টিভিতেই এখন মোবাইলের মতো অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। ওয়েদার অ্যাপ, গেমস, নিউজ—এমনকি ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপও ব্যবহার করা যায় টিভির বড় স্ক্রিনে।
ভয়েস কন্ট্রোল: কথা বলেই নিয়ন্ত্রণরিমোট খোঁজার ঝামেলা এখন যেন অতীত। আগে টিভির সবকিছু রিমোট দ্বারা পরিচালিত হলেও এখনকার আধুনিক টিভিগুলোতে আছে ভয়েস কন্ট্রোল—যেখানে ব্যবহারকারীর ভয়েস দ্বারাই টিভি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই প্রযুক্তি বিক্সবি, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যালেক্সার মতো ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে কাজ করে। এর পাশাপাশি কিছু হাই-এন্ড মডেলে রয়েছে জেসচার কন্ট্রোল—যেখানে হাত নাড়লেই টিভি রেসপন্স করে। টিভি চালু-বন্ধ করা, চ্যানেল পরিবর্তন—এমনকি ভলিউম বাড়ানো-কমানোর মতো কাজও করা যায় হাতের ইশারায়। এ ক্ষেত্রে গ্যালাক্সি ওয়াচের কথা বলা যায়। এটি হাতের নড়াচড়াকে শনাক্ত করে এসব কমান্ড কার্যকর করে।
মাল্টি-ডিভাইস কানেকটিভিটি: এক স্ক্রিনে সব সংযোগবর্তমানে টিভি শুধু সম্প্রচার মাধ্যম নয়; এটি হয়ে উঠেছে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল ইউনিট। মোবাইল ফোন, স্পিকার, ল্যাপটপ, গেমিং কনসোল—সব ডিভাইস এখন টিভির সঙ্গে সহজেই সংযুক্ত করা যায়।
বেশির ভাগ স্মার্ট টিভিতে রয়েছে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, এইচডিএমআই এআরসি, এয়ার প্লে, মিরাকাস্টসহ বিভিন্ন সুবিধা। ফলে ব্যবহারকারী চাইলে নিজের ফোনের ছবি, ভিডিও বা প্রেজেন্টেশন মুহূর্তেই বড় স্ক্রিনে শেয়ার করতে পারেন। সেই সঙ্গে আধুনিক টিভিগুলোতে রয়েছে গেমারদের জন্য এইচডিএমআই ২.১ পোর্ট এবং কম ইনপুট ল্যাগযুক্ত ডিসপ্লে, যা গেমিং এক্সপেরিয়েন্সকে করে তোলে আরও স্মুথ।
আধুনিক টিভিগুলো ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স