নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মেঘনা নদীতে বন্ধুদের সঙ্গে গোসলে নেমে নিখোঁজের ৪০ ঘণ্টা পর সিয়াম মিয়া (১৬) নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ফকিরেরচর এলাকায় নদী পাড়ে তার লাশটি ভেসে ওঠে। পরে সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় লোকজন লাশটিকে তীরে তুলে আনেন।

এর আগে গত বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার পান্থশালা ফেরিঘাট এলাকার মেঘনা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয় সিয়াম। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ও রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখরনগর এলাকার জুনায়েদ মিয়ার একমাত্র ছেলে।

সিয়ামের কয়েকজন বন্ধু জানায়, বুধবার দুপুরে তারা ১১ বন্ধু মিলে পান্থশালা ফেরিঘাটে গোসল করতে নামে। একপর্যায়ে তাদের কয়েকজন ফেরিঘাটের জেটির ওপর থেকে নদীতে ঝাঁপ দেয়। সিয়াম সাঁতার জানত না। তবু বন্ধুদের দেখাদেখি সে ঝাঁপ দেয় এবং তীব্র স্রোতের তোড়ে পানিতে ভেসে যায়। একপর্যায়ে নদীতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয় সে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সিয়ামের নিখোঁজের খবরে ওই দিন বিকেল ৪টা থেকে রায়পুরা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। গতকাল দিনভর অভিযানে যুক্ত হয় টঙ্গী থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। সন্ধ্যা ৭টার দিকে অভিযানটি সমাপ্ত ঘোষণা হয়। আজ সকালে লাশটি ভেসে উঠলে সিয়ামের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ জানান, পরিবারের সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিয়ামের লাশটি ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

আসামি এসআইকে ছেড়ে দিল পুলিশ, কেএমপি সদর দপ্তরে শিক্ষার্থীদের তালা

খুলনায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে পুলিশ হেফাজত থেকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সদর দপ্তর ঘেরাও করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে তারা কেএমপি সদর দপ্তরের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকাল ৫টা) কেএমপির সামনে খানজাহান আলী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে তারা।

মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ইস্টার্ন গেট এলাকা থেকে এসআই সুকান্ত দাসকে মারধর করে খানজাহান আলী থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয় স্থানীয়রা। এসআই সুকান্তের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর নিপীড়ন ও গণগ্রেপ্তার চালানোর অভিযোগ ছিল। অভ্যুত্থানের পর তার বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা হয়। এছাড়া মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাংচুর মামলার ১ নং আসামি তিনি।

কেএমপি থেকে জানা গেছে, গতবছর গণঅভ্যুত্থানের পর সুকান্ত দাসকে প্রথমে তাকে ঢাকায়, পরে চুয়াডাঙ্গায় বদলি করা হয়। তিনি বর্তমানে আলমডাঙ্গা থানায় কর্মরত রয়েছেন। একটি মামলার সাক্ষী দিতে মঙ্গলবার সুকান্ত খুলনায় যান। সাক্ষ্য দিয়ে ফেরার পথে তাকে মারধর করে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবীর হোসেন বলেন, নিরাপত্তার জন্য এস আই সুকান্ত দাসকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে খানজাহান আলী থানায় কোনো অভিযোগ ছিল না। এজন্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর তিনি চলে গেছেন।  

সুকান্ত দাসকে ছেড়ে দেওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বুধবার বেলা ১২টায় কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেয়। নির্ধারিত সময়ে তারা কেএমপির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায়ে খুলনা মহানগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সেখানে যোগ নেয়। তারা সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে একপর্যায়ে কেএমপির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কদরুল হাসান বলেন, একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও একজন আসামিকে পুলিশ কেন ছেড়ে দিল; সেই জবাব আমরা পাইনি। মামলা থাকা সত্ত্বেও স্বৈরাচারের দোসরদের থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া ছাত্র-জনতার রক্তের সঙ্গে বেঈমানি। সুকান্তকে পুনরায় গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রেমের ফাঁদে ফেলে জিম্মি, তরুণীসহ গ্রেপ্তার ২
  • সিদ্ধিরগঞ্জে প্রেমিক-প্রেমিকাকে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি, গ্রেপ্তা
  • জাবিতে অটোরিকশা চালুর দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ
  • ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের ভবনে আটকে অটোরিকশা চালুর দাবিতে বিক্ষোভ
  • আটক এসআইকে ছেড়ে দিল পুলিশ, কেএমপি সদর দপ্তরে শিক্ষার্থীদের তালা
  • আসামি এসআইকে ছেড়ে দিল পুলিশ, কেএমপি সদর দপ্তরে শিক্ষার্থীদের তালা
  • ফরিদপুরে পুত্রবধূকে ধর্ষণের দায়ে শ্বশুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড