বাকৃবিতে র্যাগিংয়ের দায়ে ৩ ছাত্রী বহিষ্কার
Published: 27th, June 2025 GMT
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) তাপসী রাবেয়া হলে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে র্যাগিংয়ের দায়ে তিন নারী শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে হল থেকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়াও দুজন ছাত্রীকে আর্থিক জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স ফর স্টুডেন্ট ডিসিপ্লিনের ৭ নং ধারা অনুযায়ী এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছেন হলটির প্রোভোস্ট ড.
বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হেলাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
কৃষি অনুষদের মারিয়া সুলতানা মীমকে এক বছরের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও একই অনুষদের শিক্ষার্থী জোবায়দা জান্নাত সোহা ও আশিকা রুশদাকে ৬ মাসের জন্য হল থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর্থিক জরিমানায় দণ্ডিত দুই শিক্ষার্থী হলেন তাজরিয়ান হাসান তূর্ণা ও শাহারা শারমিন লিজা।
প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইসরাত জাহান শেলী সমকালকে জানান, গত ৩১ মে দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে কৃষি অনুষদের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তাসনোভা হককে র্যাগিংয়ের উদ্দেশে ওই তিন শিক্ষার্থী হলের ছাদে ডেকেছিলেন। তাসনোভা ছাদে যেতে রাজি না হলে তাকে বারান্দায় ডেকে নিয়ে রাত সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ ধরে মানসিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরেরদিন সকালে তাসনোভা হক হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।
হল প্রশাসন জানিয়েছে, শাস্তি শেষ হওয়ার পর বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলের ফাঁকা আসনের বিপরীতে আবেদন করে পুনরায় হলে ওঠার সুযোগ পাবেন। তবে হল প্রশাসন তাদের জন্য আসনের ব্যবস্থা করে দিতে বাধ্য থাকবে না।
প্রোভোস্ট আরও জানিয়েছেন, আজ সকালে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের হাতে চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আগামীকালের মধ্যে তারা হল ত্যাগ করবেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মাদারীপুরে থানা চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়া মাদক মামলার আসামি গ্রেপ্তার
মাদারীপুরের রাজৈর থানা চত্বর থেকে মাদক মামলার আসামি অনিমেষ ওরফে গণি গাইন (৩২) পালিয়ে যাওয়ার ১০ ঘণ্টা পর ফের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার উজানী ইউনিয়নের পাটকেলবাড়ী গ্রামের আত্মীয় অসিত রায়ের বাড়ি থেকে অনিমেষকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে আসামি অনিমেষকে রাজৈর থানা চত্বর থেকে আদালতে হাজির করতে পুলিশের গাড়িতে ওঠানোর সময় পুলিশ সদস্যদের ধাক্কা দিয়ে তিনি পালিয়ে যান। তিনি উপজেলার কদমবাড়ি ইউনিয়নের মধ্যপাড়া এলাকার ক্ষিতিশ চন্দ্র গাইনের ছেলে
থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, রোববার রাতে অভিযানে চালিয়ে অনিমেষ গাইনসহ মোট চারজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছে গাঁজা ও ইয়াবা পাওয়া যায়। তাঁদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা করে রাজৈর থানা-পুলিশ। পরে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে আসামিদের মাদারীপুর আদালতে নেওয়ার জন্য পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। এ সময় কৌশলে হাতকড়ার ভেতর থেকে হাত বের করে পুলিশ সদস্যদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায় অনিমেষ। এ ঘটনায় আহসান হাবিব ও সাদ্দাম হোসেন নামে রাজৈর থানার দুই পুলিশ সদস্যকে গতকাল সন্ধ্যায় প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়া আসামিকে অভিযান চালিয়ে গতকাল রাত ১০টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামি পালিয়ে গোপালগঞ্জ জেলায় তাঁর ভায়রার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল। আজ সকালে আসামি অনিমেষ গাইনকে আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।