মব সন্ত্রাস বন্ধে কাজ করছে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 27th, June 2025 GMT
মব সন্ত্রাস বন্ধে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে ঢাকার ধামরাইয়ে রথযাত্রা উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “মব সন্ত্রাস কি আগে থেকে কমেনি? পদক্ষেপ না নিলে কমতেছে কিভাবে? আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি দেখেই কমতেছে, আস্তে আস্তে দেখবেন মব সন্ত্রাস কমতেছে।”
আরো পড়ুন:
শিল্প উপদেষ্টা
কর্ণফুলী পেপার মিলকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সেই চিন্তা করছি
সামাজিক ব্যবসা পুরো বিশ্বকে বদলে দিতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা
এর আগে, রথযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অনিয়ম ও বৈষম্য দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “সংস্কারের মাধ্যমে অনিয়ম ও বৈষম্য দূর করতে হবে। সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে। এজন্য সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার একটি বৈষম্যহীন ও মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দীর্ঘদিনের বৈষম্য আর অনিয়ম দূর করে দেশে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এ সরকারের মূল লক্ষ্য।”
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অগ্রগতি তুলে ধরে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক উন্নতি হয়েছে। সাধারণ জনগণের সহযোগিতা পেলে এটিকে আরো সন্তোষজনক পর্যায়ে নিতে পারব বলে আমি আশা করি।”
রথযাত্রা উৎসব প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, “ধামরাইয়ের এই রথযাত্রা বাংলা ১০৭৯ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রায় ৪০০ বছরের এই অনুষ্ঠান নিঃসন্দেহে আমাদের ঐতিহ্যের একটি উজ্জ্বল নিদর্শন। এই রথযাত্রা উপলক্ষে যে শিল্পমেলার আয়োজন চলে, তা এই অঞ্চলের গ্রামীণ অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে।”
ধর্মীয় সহাবস্থানের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “রথযাত্রা হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণি, ধর্ম-বর্ণ ও পেশার মানুষ শরিক হন। এটি এ ভূখণ্ডের মানুষের অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শ্রী শ্রী যশোমাধব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জীবন কানাই দাসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নন্দ গোপাল সেনের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৮১ ব্রিগেড কমান্ডার ব্রি জে ইন্তেখাব হায়দার খান, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আনিসুর রহমান, ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইএনও) মো.
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট জ হ ঙ গ র আলম চ ধ র অন ষ ঠ ন উপদ ষ ট রথয ত র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফের পাহাড়ে পাচারের উদ্দেশ্যে জিম্মি রাখা আরও ২১ নারী ও শিশু উদ্ধার
সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়ার গহিন পাহাড়ে জিম্মি রাখা নারী, শিশুসহ ২১ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ দল।
কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, গতকাল বুধবার মধ্যরাতে বাহারছড়া ইউনিয়নের করাচিপাড়া ঘাটসংলগ্ন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। পাচারের জন্য নারী, শিশুসহ কয়েকজনকে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল—এমন খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী অভিযান চালায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আস্তানাটি তল্লাশি করে ২১ জনকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের অধিকাংশ রোহিঙ্গা নাগরিক।
উদ্ধার হওয়াদের টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে তাঁদের স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
এর আগে ১ অক্টোবর বাহারছড়ার জুম্মাপাড়া পাহাড়সংলগ্ন এলাকা থেকে আটজন নারী ও শিশুকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে একই এলাকার পাহাড় থেকে তিন দালালসহ তিনজনকে উদ্ধার করা হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর কচ্ছপিয়া এলাকার পাহাড় থেকে পাঁচ অপহৃতকে উদ্ধার এবং দুই মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়। এর আগের দিন র্যাব ও বিজিবি অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ তিন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার ও ৮৪ জনকে উদ্ধার করে। ১৮ সেপ্টেম্বর কোস্টগার্ড ৬৬ জনকে উদ্ধার করে। ১৬ সেপ্টেম্বর বিজিবি ১২ পাচারকারীকে আটক ও ১১ জনকে উদ্ধার করে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে টেকনাফ থেকে এখন পর্যন্ত ৬৮ পাচারকারীকে গ্রেপ্তার এবং ২০১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। শীত মৌসুমে সাগরপথে মানব পাচারের প্রবণতা বাড়ে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর বলেন, বুধবার উদ্ধার হওয়া সাত রোহিঙ্গা নারী ও একজন শিশুকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার আরও ২১ নারী ও শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের আগামীকাল শুক্রবার আদালতে পাঠানো হবে।