দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্তরত প্রায় এক হাজার ৫০০ হৃদরোগ চিকিৎসকের অংশ গ্রহণে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে, ‘ফেলিসিটেশন সিরিমনি এন্ড ন্যাশনাল সায়েন্টিফিক কনফারেন্স ২০২৫’। প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁও-এর বল রুমে গত বুধবার বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটি দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা.

মোহাম্মদ সফিউদ্দীন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ডা. মোহাম্মদ উল্লাহ এবং উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব প্রফেসর ডা. এ এফ খবির উদ্দিন আহমেদ।

কনফারেন্সে দেশের বরেণ্য কার্ডিওভাস্কুলার চিকিৎসক, দেশের হৃদরোগের কারণ, ধরণ, প্রতিরোধ ব্যবস্থা, সচেতনতা ও আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন ও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ উপস্থাপন করেন। 

নতুন কার্ডিওভাস্কুলার চিকিৎসকদের সংবর্ধনা ও দেশবরেণ্য সিনিয়র কার্ডিওভাস্কুলার চিকিৎসকদের সম্মাননা দেয়া হয়। 

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে সন্ধ্যার আয়োজনে হৃদরোগ চিকিৎসায় অসামান্য অবদান রাখায় পাঁচ জন প্রবীণ চিকিৎসককে আজীবন সম্মাননা দেয়া হয়। 

সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটি সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. কেএমএইচ এস সিরাজুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য চিকিৎসা শিক্ষা ও  পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও সমাপনী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ সফিউদ্দীন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ দর গ ল দ শ ক র ড য় ক স স ইট র অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

রোগীদের কেন নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ কিনতে বলা হবে, প্রশ্ন আইন উপদেষ্টার

রোগীদের কেন নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ কিনতে বলা হবে—এমন প্রশ্ন তুলেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। চিকিৎসকদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘পৃথিবীতে কোন জায়গায় হসপিটালে, প্রাইভেট ক্লিনিকে সব সময় ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির জন্য নির্দিষ্ট টাইম থাকে ডাক্তারের।...আপনারা ওষুধ কোম্পানির দালাল? এ দেশে বড় বড় হসপিটালের ডাক্তাররা কি ওষুধ কোম্পানির মধ্যস্বত্বভোগী? কোন জায়গায় নামান আপনারা নিজেদের?’

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএইচসিডিওএ) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক ও বার্ষিক সাধারণ সভায় আইন উপদেষ্টা এ কথাগুলো বলেন।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন বিপিএইচসিডিওএর সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইন উপদেষ্টা বলেন, চিকিৎসকদের বিষয়ে বেশ কিছু সাধারণ অভিযোগ তিনি প্রায়ই শোনেন, যার মধ্যে রয়েছে চিকিৎসকেরা ভালোভাবে রোগের কথা না শুনেই পরামর্শপত্র লেখেন এবং অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা দেন। তিনি বলেন, ‘এই অত্যাচার বন্ধ করেন। মানুষ অনেক গরিব। এখানে লোকজন খুব গরিব আছে। বড়লোকদের গলা কাটেন সমস্যা নাই। গরিব রোগীদের ১৪-১৫টি টেস্ট দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করান।’

সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে অন্যায় মুনাফা করা বন্ধ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের পাশে বেসরকারি খাত না দাঁড়ালে স্বাস্থ্যসেবাকে পুনর্গঠন করা সম্ভব নয়।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিবন্ধনহীন বিদেশি চিকিৎসকের সেবা বন্ধে বিএমডিসির চিঠি
  • চিকিৎসকদের নিয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাল ড্যাব
  • অনর্থক স্বাস্থ্য পরীক্ষার অত্যাচার বন্ধ করুন: আসিফ নজরুল
  • রোগীদের কেন নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ কিনতে বলা হবে, প্রশ্ন আইন উপদেষ্টার