বেসরকারি মালিকানাধীন যমুনা ব্যাংক পিএলসি ২০২৪ সালের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ ও বোনাস মিলিয়ে মোট ২৪ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে নগদে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং স্টক বা বোনাস শেয়ারে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রদান করা হবে। সম্প্রতি ব্যাংকের ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এই লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।

যমুনা ব্যাংক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ভার্চ্যুয়াল তথা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান রবিন রাজন সাখাওয়াত। এতে ব্যাংকের পরিচালকবৃন্দ ও স্বতন্ত্র পরিচালকগণ; ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মির্জা ইলিয়াস উদ্দীন আহম্মদ, কোম্পানি সচিব এবং উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার অংশ নেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বার্ষিক সাধারণ সভায় যমুনা ব্যাংকের ২০২৪ সালের নিরীক্ষিত বার্ষিক আর্থিক বিবরণী উত্থাপন করলে শেয়ারহোল্ডাররা অনুমোদন করেন। তাঁরা ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রমের ওপর নিজ নিজ মতামত দেন এবং নানাবিধ বিষয়ে প্রস্তাব পেশ করেন। অন্যদিকে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে সব শেয়ারহোল্ডার, গ্রাহক ও অংশীজনের প্রতি তাঁদের নিরবচ্ছিন্ন আস্থা, সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া ব্যাংকিং কার্যক্রমে উদ্ভাবন, টেকসই প্রবৃদ্ধি ও গুণগত মান নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

এদিকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, যমুনা ব্যাংক শেয়ারহোল্ডারদের এর আগে ২০২৩ সালে নগদে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ ও বোনাস শেয়ারে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ২০২২ সালেও নগদে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ ও বোনাস শেয়ারে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়। এ ছাড়া ২০২০ ও ২০২১ সালে নগদে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দেয় শেয়ারহোল্ডারদের।

সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ডিএসইতে যমুনা ব্যাংকের শেয়ারের দাম ১০ পয়সা বেড়ে ১৭ টাকা ৮০ পয়সায় উন্নীত হয়। বেসরকারি মালিকানায় ২০০১ সালের ৩ জুন যমুনা ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ য় রহ ল ড র র পর চ

এছাড়াও পড়ুন:

থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%

এশিয়াসহ বিশ্বের চালের বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এশিয়ায় চালের অন্যতম বৃহৎ সরবরাহকারী থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। মূলত বাজারে চালের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

থাইল্যান্ডসহ চালের অন্যান্য বড় উৎপাদনকারী দেশ ভারত ও মিয়ানমারে উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজারেও চালের দাম কমছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার খাদ্যসূচক অনুযায়ী, চলতি বছর চালের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এমনকি বিশ্ববাজার চালের দাম আগস্ট মাসে আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। খবর দ্য নেশনের

থাইল্যান্ডে চালের দামের এই নিম্নমুখী প্রবণতা একদম নতুন কিছু নয়, বেশ কয়েক মাস ধরেই এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষিবিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দীর্ঘ সময় ধরে চালের দাম কম থাকায় দেশটির কৃষকেরা ধানের আবাদ কমিয়ে দিতে পারেন।

থাইল্যান্ডে গত বৃহস্পতিবার ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের দাম দাঁড়ায় টনপ্রতি ৩৩৫ ডলার। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৩৮ ডলার। থাইল্যান্ডের কৃষি খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত ১৪ বছরে থাই সরকারের জনতুষ্টিমূলক নীতির কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকার কৃষকদের সন্তুষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের নিশ্চয়তা দিয়েছে। এসব কর্মসূচিতে প্রায় ৪০ বিালিয়ন বা ৪ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হলেও একধরনের নীতিগত ফাঁদ তৈরি হয়েছে। ফলে কৃষকেরা প্রযুক্তি উন্নয়ন, দক্ষতা বাড়ানো কিংবা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো থেকে নিরুৎসাহিত হয়েছেন।

সেই সঙ্গে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্ষা মৌসুমের শেষ দিকে বাজারে নতুন চালের সরবরাহ এসেছে। এটাও দাম কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। অন্যদিকে ভারত ও মিয়ানমারের মতো প্রতিযোগী দেশগুলো চালের গুণগত মানের উন্নতি করেছে। আধুনিকতা এনেছে উৎপাদনব্যবস্থায়। ফলে তারা কম খরচে ভালো মানের চাল রপ্তানি করতে পারছে। কিন্তু থাইল্যান্ড এখনো ভর্তুকিনির্ভর ব্যবস্থায় আটকে আছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

এফএওর সূচক কমেছে

প্রতি মাসেই খাদ্যমূল্যসূচক করে থাকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর বিশ্ববাজারে চালের দাম কেমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক নেমে এসেছে ৯৮ দশমিক ৪–এ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তা ছিল ১১৩ দশমিক ৬। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক ছিল ১২৫ দশমিক ৭। সেই হিসাবে এক বছরে চালের দাম কমেছে ২১ দশমিক ৭ শতাংশ।

চালের দামের এই পতন শুরু হয় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত ধাপে ধাপে রপ্তানি–নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে শুরু করে তখন। এ ঘটনা চালের বাজারে বড় প্রভাব ফেলে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সব ধরনের চালের মূল্যসূচক ১৩ শতাংশ কমেছে। খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের

অথচ ২০২৪ সালের শুরুতে এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে। তখন ভারত একের পর এক রপ্তানি সীমাবদ্ধতা জারি করলে ২০০৮ সালের পর চালের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। বিশ্বজুড়ে ভোক্তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। মানুষের মধ্যে মজুতের প্রবণতা তৈরি হয়। অন্যান্য উৎপাদক দেশেও সুরক্ষাবাদী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর পর থেকে চালের দাম কমতে শুরু করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নীরবতা ভেঙে হঠাৎ রাজনীতিকে ‘না’ বলে দিলেন শমসের মুবিন চৌধুরী
  • পাড়ার মঞ্চ থেকে বড় পর্দায় 
  • বিকল্প শক্তির উত্থানে নভেম্বরের শেষে ‘জাতীয় কনভেনশন’ করবে বাম ঘরানার দলগুলো
  • থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%