দৌলতপুরে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১
Published: 28th, June 2025 GMT
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে রাতে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের হামলায় মোহন (২৫) নামে একজন নিহত ও হৃদয় (২৪) নামে আরেকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ঠোটারপাড়া মাঠের মধ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহন দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন জামালপুর গ্রামের মৃত মদনের ছেলে এবং আহত হৃদয় একই গ্রামের মসুর ছেলে।
স্থানীয়দের থেকে জানা গেছে, রাতে হৃদয়, মোহন ও জনি মোটরসাইকেলে রামকৃষ্ণপুর থেকে নিজ গ্রাম জামালপুরে ফেরার পথে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষ তাদের ওপর হামলায় চালায়। এসময় তাদের রাম দা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মোহন ও হৃদয় আহত হলে জনি পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় মোহনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে মোহন মারা যায়।
মাদক চোরাচালান সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জের ধরে হামলার এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়।
দৌলতপুর থানার (ওসি) মো.
ঢাকা/কাঞ্চন/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় বদলে যেতে পারে শিক্ষার্থীর জীবন
লেখাপড়া প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এক বছর লেখাপড়া শেষে একটা পরিপূর্ণ মূল্যায়ন পেতে চায়। পরীক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর সঠিক মূল্যায়ন পাওয়া সম্ভব। তাই জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা একজন শিক্ষার্থীর জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। একজন শিক্ষার্থীর জীবন এ বৃত্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়েই বদলে যেতে পারে।
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুধু একটি পরীক্ষাই নয়, বরং একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ গঠনের একটি শক্তিশালী ভিত্তি। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থী ধীরে ধীরে এই পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকে। এতে করে তার মধ্যে লক্ষ্য নির্ধারণ, পড়ার প্রতি আগ্রহ এবং নিয়মিত অধ্যবসায়ের অভ্যাস গড়ে ওঠে।
একজন শিক্ষার্থী যখন বৃত্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে, তখন তার মানসিক বিকাশের পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পায়। এই আত্মবিশ্বাস একজন শিক্ষার্থীর জন্য অনেক দরকার। ভবিষ্যৎ লেখাপড়ার প্রতিযোগিতামূলক সড়কে একমাত্র পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থী নিজেকে গড়ে তুলতে সক্ষম।
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা আবার শুরু হতে যাচ্ছে। অবশ্য এ উদ্যোগ ঘিরে বিভক্ত মত রয়েছে শিক্ষাবিদদের মধ্যে। এই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের অভিমত ছাপা হচ্ছে শিক্ষায়আর এই বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জাতীয় পর্যায়ে একটি স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ পায়। একজন শিক্ষার্থী যখন বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়, তখন সে শুধু নিজেই গর্বিত হয় না, তার পরিবার, বিদ্যালয় এবং সমাজও তার ওপর গর্ববোধ করে। এতে তার মধ্যে আরও ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হয়। পড়াশোনায় সে আরও মনোযোগী হয়ে ওঠে এবং ভবিষ্যতে ভালো ফলাফলের জন্য আত্মবিশ্বাস অর্জন করে। এই সাফল্য পরবর্তীকালে তার শিক্ষা ও কর্মজীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুনঅষ্টম শ্রেণিতে আবারও বৃত্তি পরীক্ষা ফিরছে, আছে প্রশ্নও২৮ জুলাই ২০২৫রাবেয়া সুলতানা, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা