কদম রসুল সেতুর পশ্চিমাংশের মুখ পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন
Published: 28th, June 2025 GMT
শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়কে সংযুক্ত করতে প্রস্তাবিত কদম রসুর সেতুর পশ্চিমাংশের মুখটি পরিবর্তনের দাবিতে শনিবার (২৮ জুন) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। “কালীর বাজার বৃহত্তর ব্যাবসায়ী বৃন্দ ও স্থানীয় জনসাধারণ” ব্যনারে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বৃহত্তর কালীর বাজার এলাকার ব্যাবসায়ী ও জনসাধারণ অংশ গ্রহণ করে।
কালীর বাজারের ব্যবসায়ী হাজী মোঃ নাজির খান এর সভাপতিত্বে এবং মোঃ রবিন হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বযক তরিকুর সুজন, ব্যবসায়ী তপু চৌধুরী, ব্যবসায়ী মোঃ সুমন চৌধুরী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সংবাদ মাধ্যমে আমরা জানতে পারি শীতলক্ষ্যা নদীর উপর নির্মিতব্য কদম রসুল সেতুর পশ্চিম পাড়ের মুখটি নামবে নারায়ণগঞ্জ কলেজের সামনে। এ সংবাদটি আমাদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের ও আতঙ্কের। কালীর বাজার ও তৎসংলগ্ন ফলপট্টি এলাকাটি অত্যন্ত ব্যস্ততম সড়ক। এখানে রয়েছে শহরের একটি বড় স্কুল নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল এবং নারায়ণগঞ্জ কলেজ। এখানে রয়েছে শহরের সবচেয়ে বড় দুইটি বাজার কালীর বাজার ও দিগুবাবু বাজারে প্রদেশের মুখ। এইটি শহরের রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল ও লঞ্চঘাটের সংযোগ সড়ক হওয়ায় এখানে প্রতিনিয়ত ভয়াবহ যানজট লেগে থাকে। এমনি স্বাভাবিক সময়েই এখানে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে ও চলাচল করতে প্রচুর দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এর পরে আবার যদি কদম রসুল সেতুতে উঠা-নামার মুখ এখানে তৈরি হয় তা হলে দুর্ভোগ আরও ভয়াবহ ভাবে বৃদ্ধি পাবে। আমরা কদম রসুল সেতুর পশ্চিমাংশের মুখটি অন্যত্র স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি। বক্তারা বলেন, আমরা মনে করছি আমাদের যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত দাবি মেনে নিয়ে কর্তৃপক্ষ অতি দ্রুত এ নকশা বদল করবেন।
.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে গভীর রাতে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন, তাপে চালক জেগে ওঠায় রক্ষা
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ইসদাইর এলাকার আয়কর কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বাসটির ভেতর ওই সময় ঘুমিয়ে ছিলেন চালক ও তাঁর সহকারী। তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি টের পাওয়ায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। তাঁদের দাবি, আগুন লাগার পরপরই নিয়ন্ত্রণে আনার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গেছে।
চালক নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, শহরের ১ নম্বর রেলগেট এলাকার রাসেল গার্মেন্টসের শ্রমিকদের যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হয় বাসটি। গতকাল রাত ১২টার পর শ্রমিকদের সাইনবোর্ড এলাকায় নামিয়ে সহকারী নয়নকে নিয়ে বাসের ভেতর ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। গভীর রাতে আগুনের তাপে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। জেগে দেখেন চালকের আসনের অংশে আগুন জ্বলছে। ওই মুহূর্তে দুজনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হন। তাঁরা পানি দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এবং ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে কে বা কারা আগুন দিয়েছে, তা তিনি দেখেননি।
বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, চালক ও সহকারীর সচেতনতায় বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। ঘটনাস্থলসংলগ্ন সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।