টোকিও লিফট অব চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫-এ পুরস্কার জিতল তৌফিক এলাহির সিনেমা ‘নীলপদ্ম’। রুনা খান অভিনীত সিনেমাটি উৎসবে ‘বেস্ট ফিচার ফিল্ম’-এর পুরস্কার অর্জন করে।

পুরস্কার পাওয়ার পর নির্মাতা তৌফিক এলাহি বলেন, টোকিও লিফট অব ফেস্টিভ্যালে ‘নীলপদ্ম’ সিলেকশনে ছিল। জুরিরা সিনেমাটিকে বিভিন্নভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করে মার্ক করছিলেন। সমস্ত আপডেটই ই-মেইলযোগে পাচ্ছিলাম। এটি যে নির্বাচিত বহু সিনেমাকে পেছনে ফেলে সেরা ফিচার ফিল্ম হিসেবে পুরস্কৃত হবে, সেটি ভাবিনি।

উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এলাহি আরও বলেন, নীলপদ্ম আমার গবেষণাধর্মী নির্মাণ। অনেক পরিশ্রম করেছি সিনেমাটি নিয়ে। এটি ‘নীলপদ্ম’র প্রথম সম্মান। এ সম্মান শুধু আমার একার প্রাপ্তি নয়; এই সিনেমার শিল্পী, কলাকুশলী এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনসহ সংশ্লিষ্ট সবার।

রুনা খান বলেন, ‘যে কোনো স্বীকৃতি আনন্দের। আমার অভিনীত নীলপদ্ম জাপানে পুরস্কৃত হয়েছে শুনে ভালো লাগছে। স্বীকৃতি কাজের আনন্দ বাড়িয়ে দেয়। এ সাফল্যের কৃতিত্ব আমার নয়, পুরো টিমের। সবার সহযোগিতায় ভালো একটি কাজ উপহার পেয়েছেন দর্শক। ’

রুনা খানের পাশাপাশি সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন রাশেদ মামুন অপু, রোকেয়া প্রাচী, সুজাত শিমুল, শাহেদ আলী, একে আজাদ সেতু প্রমুখ।

দৌলতদিয়ার যৌনকর্মীদের জীবন, সামাজিক পরিচয় ও অধিকারের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘নীলপদ্ম’। নিউইয়র্কে সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসবে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছিল সিনেমাটির। চলতি বছর ঢাকা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও প্রদর্শিত হয় এটি। দর্শকদের বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে সিনেমাটি।

সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। ‘নীলপদ্ম’ বর্তমানে প্রদর্শিত হচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রস ক র

এছাড়াও পড়ুন:

রবীন্দ্রসরোবরে সুরে–ছন্দে জমজমাট নবান্ন উৎসব

অগ্রহায়ণের প্রথম দিনে নবান্ন উৎসব হলো রাজধানীতে। নাচ, গান, আবৃত্তি, আলোচনায় রোববার ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবর উন্মুক্ত মঞ্চে উদ্‌যাপন করা হলো ঋতুভিত্তিক এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব।

হেমন্তের বেলা শেষে ষড়ঋতু উদ্‌যাপন জাতীয় পর্ষদ আয়োজিত নবান্ন উৎসবের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে। এরপর ছিল ফারহানা করিমের নেতৃত্বে সমবেত নৃত্য।

নবান্নকথনে অংশ নেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এহসান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আবহমানকাল থেকে আমাদের কৃষিপ্রধান দেশে অগ্রহায়ণে কৃষকের ঘরে নতুন ফসল ওঠে। নতুন ধান তাঁদের জীবনে নিয়ে আসে সচ্ছলতা। নিয়ে আসে আনন্দ। তবে নবান্ন কেবল ফসলের আনন্দই নয়, আমাদের লোকসংস্কৃতির একটি শক্তিশালী উপাদান। নাগরিক পরিবেশে ঋতুভিত্তিক এই উৎসবকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বসন্ত, বর্ষা, শরৎসহ ঋতুভিত্তিক উৎসবগুলো আয়োজন করা হবে।’

নবান্ন উৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রসরোবর মঞ্চ ও মঞ্চের চারপাশের স্থান বর্ণাঢ্যভাবে সাজিয়ে তোলা হয়। এর সঙ্গে ছিল ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলির স্টল।

আলোচনার পরে শুরু হয় গানের পালা। সাগর বাউল শুরু করেছিলেন ভবা পাগলার গান ‘বারে বারে আসা হবে না’ গেয়ে। এরপর তিনি পরিবেশন করেন লালন সাঁইয়ের গান ‘লোকে বলে লালন ফকির কোন জাতের ছেলে’ এবং রাধারমণ দত্তের গান ‘অবলারে কান্দাইয়া’। ঢোল, একতারার বাজনা, বাঁশির সুর আর লোকসাধকদের এসব মরমি গানে গানে সাগর বাউল শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন।

অনুষ্ঠানে নজরুলসংগীত পরিবেশনের কথা ছিল শিল্পী ফেরদৌস আরার। তবে তিনি অসুস্থতার জন্য সংগীত পরিবেশন করতে পারেননি। এই চমৎকার অনুষ্ঠানের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ ও শ্রোতাদের শুভেচ্ছা জানান।

লোকশিল্পী আলেয়া বেগম পরিবেশন করেন ‘মালা কার লাগিয়া গাঁথি’সহ বেশ কয়েকটি গান। গানের ফাঁকে ফাঁকে ছিল আবৃত্তি ও কবিদের কবিতা পাঠ। এই পর্বে অংশ নেন কবি রাসেল রায়হান, রিক্তা রিনি, সানাউল্লাহ সাগর, জব্বার আল নাইম, ইসমত শিল্পীসহ অনেকে।

সংগীতশিল্পীদের মধ্যে কোহিনূর আক্তার পরিবেশন করেন লালন সাঁইয়ের গান ‘তিন পাগলের হইল মেলা’। ডলি মণ্ডল পরিবেশন করেন ‘সব লোক কয় লালন কী জাত সংসারে’। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ষড়ঋতু উদ্‌যাপন জাতীয় পর্ষদের সদস্যসচিব দীপান্ত রায়হান।

শীতের মৃদু পরশ লেগেছে রাজধানীর হাওয়ায়। হালকা কুয়াশাও জমছে আকাশে। নাতিশীতোষ্ণ পরিবেশে সুরে-ছন্দে বেশ খানিকটা রাত অবধি জমজমাট হয়ে উঠেছিল এই নাগরিক নবান্ন উৎসব।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জানা গেল রাজামৌলির ছবির নাম, থাকছেন মহেশ বাবু-প্রিয়াঙ্কা
  • দেশের প্রথম নারী এভারেস্টজয়ী নিশাত মজুমদারের জয়ের গল্প আসছে
  • নানা আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আদি নববর্ষ’ উদ্‌যাপন
  • মুগ্ধ করল নবান্ন উৎসবে ধান কাটার প্রতিযোগিতা
  • রবীন্দ্রসরোবরে সুরে–ছন্দে জমজমাট নবান্ন উৎসব
  • নবান্নের পিঠায় সুবাসিত রাবি
  • ঘূর্ণির জাদুতে বিশ্বজয় 
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তারুণ্যের উৎসব রোববার
  • পয়লা অগ্রহায়ণে ‘নববর্ষ’ উদ্‌যাপন করবে ডাকসু
  • দিনভর আনন্দ আয়োজনে সাফল্য উদ্‌যাপন