কমিউনিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত
Published: 28th, June 2025 GMT
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৬৬তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীতে কমিউনিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে এ সভায় কয়েকটি বিনিয়োগ প্রস্তাব ও ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় এ কে এম শহিদুর রহমান, মহাপরিচালক, র্যাব; মো.
ঢাকা/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রপ্তানি-প্রবাসী আয় ও রিজার্ভ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বস্তি এসেছে
বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিক এপ্রিল-জুনে রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধিতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তথা মজুত বেড়েছে। তবে একই সময়ে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধিতে ছিল মন্থর গতি। মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিও কমেছে।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) ত্রৈমাসিক পর্যালোচনায় দেশের অর্থনীতি নিয়ে এ কথাগুলো বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক জানুয়ারি-মার্চে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশে, যা দ্বিতীয় প্রান্তিকে ছিল ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। জুনে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে। তবে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, যা সহনীয় মাত্রার অনেক ওপরে।
প্রবৃদ্ধি মন্থর হলেও অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা গেছে। রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে ও অর্থনীতিতে কিছুটা প্রাণচাঞ্চল্য আনতে সহায়তা করেছে।
এমসিসিআই মনে করে, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে কয়েকটি কাঠামোগত সমস্যা বড় বাধা হয়ে আছে। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির দুর্বলতা, মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি হ্রাস এবং বিনিয়োগের মাত্রা কমে যাওয়া—এসবই অর্থনৈতিক গতি মন্থর করেছে।
পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতে দীর্ঘদিনের সমস্যা, যেমন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ঘাটতি এবং ব্যাপক ঋণ অনিয়ম এ খাতের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছে। দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে আর্থিক সুশাসনের উন্নয়ন ও ব্যাংকের প্রতি জনগণের আস্থা পুনঃস্থাপনে সংস্কার কার্যক্রম চলমান রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এমসিসিআই রপ্তানি প্রবৃদ্ধি নিয়ে জানায়, গত অর্থবছরে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৮ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি। পোশাকের বাইরে ১ দশমিক ১৪৫ বিলিয়ন ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ৯৮৮ মিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য এবং ৪৪১ মিলিয়ন ডলারের হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ রপ্তানি হয়েছে।
প্রবাসী আয়ের বিষয়ে বলা হয়, গত অর্থবছরে রেমিট্যান্সে ২৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মোট আয় হয়েছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার।
এমসিসিআই বলছে, গত অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে মোট আমদানি ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়ে ৬৩ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছালেও মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে। বিনিয়োগে স্থবিরতা ও শিল্প সম্প্রসারণে ধীরগতির কারণেই এই খাতে আমদানি হ্রাস পেয়েছে।
সার্বিকভাবে বিদেশি সহায়তা কমে যাওয়া এবং বিনিয়োগে মন্থরতার মধ্যেও রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি সামগ্রিক অর্থনীতিকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। এমসিসিআই মনে করে, এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে বিনিয়োগবান্ধব নীতি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্য রক্ষা জরুরি।
রাজস্ব নিয়েও মন্তব্য করেছে এমসিসিআই। তারা বলেছে, গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর আদায় ২ দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা, যদিও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ঘাটতি হয়েছে ১৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ভ্যাট, শুল্ক ও আয়কর—তিন খাতেই আয় বেড়েছে, তবে লক্ষ্য পূরণ হয়নি। এ সময়ে মার্কিন ডলারের বিপরীতে দেশীয় টাকার মান ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমেছে। এতে প্রতি ডলারের বিনিময় হার ১১৮ টাকা থেকে বেড়ে ১২২ দশমিক ৭৭ টাকা হয়েছে।