গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় কিশোর গ্যাং লিডার হিসেবে পরিচিত ১৮ বছর বয়সী তেহিম মাতবরের গুলি ছোড়ার ভিডিও শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তেহিম দক্ষিণ ধনুয়া গ্রামের বাসিন্দা আসাদুজ্জামান মাতবর ওরফে জামাল ডাক্তারের ছেলে। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পরপরই তেহিম ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িঘরে তালা দিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, একটি বহুতল ভবনের ছাদে ফুলহাতা কালো শার্ট পরা এক তরুণ ডান হাতে একটি পিস্তল উঁচিয়ে আকাশের দিকে গুলি ছুড়ছেন। ভিডিওর পর থেকে নানা ধরনের অভিযোগ আসতে থাকে তার বিরুদ্ধে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তেহিম দীর্ঘদিন ধরে কিশোর গ্যাং পরিচালনা করে আসছেন। তার নেতৃত্বে এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখল, ছিনতাই, মারামারি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা নিয়মিত ঘটে আসছে। গার্মেন্টসকেন্দ্রিক এই এলাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ভয়ে কেউ তেহিমের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেন না।

তেহিমের গুলি ছোড়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকে সাহস করে নির্যাতনের স্মৃতি তুলে ধরছেন। স্থানীয় কলিম উদ্দীন মাতবর বলেন, “দুদিন আগে একটি তুচ্ছ বিষয়ে আমার সঙ্গে তেহিমের ঝগড়া হয়। পরে তিনি আমাকে মারতে আসেন এবং এক সহযোগীকে পিস্তল এনে গুলি করতে বলেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে সালিশ হলেও কোনো সমাধান হয়নি। এখন পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছি।”

স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গাজী ইসমাইল বলেন, “তেহিম এলাকায় নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তিনি কাউকে তোয়াক্কা করেন না। তার গুলি ছোড়ার ভিডিও আমি নিজে দেখেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা জরুরি।”

শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক বলেন, “ঘটনার পরপরই বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। ইতোমধ্যে পুলিশের একাধিক সিভিল টিম অভিযানে নেমেছে। ভিডিওর সত্যতা যাচাইসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

তেহিমের ফেসবুক পেজে থাকা গুলি ছোড়ার ভিডিওগুলো দুপুর থেকে আর দেখা যাচ্ছে না। সম্ভবত সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে এরইমধ্যে স্ক্রিনরেকর্ড এবং সংরক্ষিত ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 
 

ঢাকা/রফিক/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ