কিশোর গ্যাং লিডারের গুলি ছোড়ার ভিডিও ভাইরাল
Published: 28th, June 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় কিশোর গ্যাং লিডার হিসেবে পরিচিত ১৮ বছর বয়সী তেহিম মাতবরের গুলি ছোড়ার ভিডিও শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তেহিম দক্ষিণ ধনুয়া গ্রামের বাসিন্দা আসাদুজ্জামান মাতবর ওরফে জামাল ডাক্তারের ছেলে। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পরপরই তেহিম ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িঘরে তালা দিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, একটি বহুতল ভবনের ছাদে ফুলহাতা কালো শার্ট পরা এক তরুণ ডান হাতে একটি পিস্তল উঁচিয়ে আকাশের দিকে গুলি ছুড়ছেন। ভিডিওর পর থেকে নানা ধরনের অভিযোগ আসতে থাকে তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তেহিম দীর্ঘদিন ধরে কিশোর গ্যাং পরিচালনা করে আসছেন। তার নেতৃত্বে এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখল, ছিনতাই, মারামারি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা নিয়মিত ঘটে আসছে। গার্মেন্টসকেন্দ্রিক এই এলাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ভয়ে কেউ তেহিমের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেন না।
তেহিমের গুলি ছোড়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকে সাহস করে নির্যাতনের স্মৃতি তুলে ধরছেন। স্থানীয় কলিম উদ্দীন মাতবর বলেন, “দুদিন আগে একটি তুচ্ছ বিষয়ে আমার সঙ্গে তেহিমের ঝগড়া হয়। পরে তিনি আমাকে মারতে আসেন এবং এক সহযোগীকে পিস্তল এনে গুলি করতে বলেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে সালিশ হলেও কোনো সমাধান হয়নি। এখন পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছি।”
স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গাজী ইসমাইল বলেন, “তেহিম এলাকায় নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তিনি কাউকে তোয়াক্কা করেন না। তার গুলি ছোড়ার ভিডিও আমি নিজে দেখেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা জরুরি।”
শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক বলেন, “ঘটনার পরপরই বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। ইতোমধ্যে পুলিশের একাধিক সিভিল টিম অভিযানে নেমেছে। ভিডিওর সত্যতা যাচাইসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
তেহিমের ফেসবুক পেজে থাকা গুলি ছোড়ার ভিডিওগুলো দুপুর থেকে আর দেখা যাচ্ছে না। সম্ভবত সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে এরইমধ্যে স্ক্রিনরেকর্ড এবং সংরক্ষিত ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ঢাকা/রফিক/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।
আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।
এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।
ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’
১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।