১২ দিনের ইসরায়েল-ইরান সংঘর্ষের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার থাড ক্ষেপণাস্ত্র ইন্টারসেপ্টর মজুদের আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ব্যবহার করেছে। এর জন্য খরচ হয়েছে ৮০ কোটি ডলারেরও বেশি। বুলগেরিয়ান মিলিটারি নিউজ এবং মিলিটারি ওয়াচ ম্যাগাজিন এ তথ্য জানিয়েছে।

ইরান তার পারমাণবিক ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরগুলোতে বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর মধ্যে রয়েছে গাদর এবং এমাদ, মাঝারি পাল্লার খেইবার শেকান এবং ফাত্তাহ-১ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো পুরানো মডেল।

মিলিটারি ওয়াচ ম্যাগাজিনের মতে, যুদ্ধের র সময় ৬০-৮০টি ইন্টারসেপ্টর ব্যবহার করা হয়েছিল। একটি থাড ইন্টারসেপ্টরের একক উৎক্ষেপণের খরচ এক কোটি ২০ লাখ থেকে এক কোটি ৫০ লাখ ডলার। তাই এই ইন্টারসেপ্টরের পুরো খরচ ৮১ কোটি ডলার থেকে ১২১ কোটি ডলারের মধ্যে। এই পরিসংখ্যান ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র খরচের কম।

উত্তর কোরিয়া এবং ইরানের মতো দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতা মোকাবেলা করার জন্য থাড সিস্টেমটি তৈরি করা হয়েছিল। কারণ তারা প্রচলিত বা পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বছরে মাত্র ৫০-৬০টি থাড ইন্টারসেপ্টর তৈরি করে। এর অর্থ হচ্ছে ইরানের সঙ্গে সংঘর্ষে ১১ দিনে যুক্তরাষ্ট্র যা ব্যয় করেছে তা পূরণ করতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদপুর সিটি কলেজের একাডেমিক স্বীকৃতি স্থগিত

চাঁদপুর সিটি কলেজের স্বীকৃতি স্থগিত করে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড। ফলে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে এই কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের পার্শ্ববর্তী বোর্ড অনুমোদিত যে কোনো স্কুল এন্ড কলেজে অথবা কলেজে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের শিক্ষা শাখায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. নুরুন্নবী আলম স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, কলেজ পরিচালনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বোর্ড কর্তৃক আরোপিত শর্তাবলী অনুসারে নিজস্ব জমিতে কলেজটি স্থানান্তর না হওয়া, এনটিআরসিএ সনদবিহীন শিক্ষক দ্বারা পাঠদান, অসন্তোষজনক ফলাফল, পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী না থাকা এবং ভবনের বিপুল ভাড়া বকেয়া থাকায় মালিক কর্তৃক প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ রাখার বিষয়সমূহ বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থী বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন তাদের কাছাকাছি অন্য কলেজে স্থানান্তরের বিষয়টি তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক) স্থাপন, পাঠদান ও একাডেমিক স্বীকৃতি প্রদান নীতিমালা-২০২২ (সংশোধিত-২০২৩)-এর অনুচ্ছেদ ১১.০ অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির পাঠদানের অনুমতি এবং একাডেমিক স্বীকৃতি স্থগিত করা হলো। 

চাঁদপুর শহরের ওয়ারলেস এলাকায় ২০১১ সালে চাঁদপুর সিটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন মো. সহিদুল ইসলাম। ২০১৫ সালে কলেজটির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। 

২০২৪ সালে কলেজটি এমপিও ভুক্ত করা হয়। ওই বছরের ১৮ আগস্ট কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ সহিদুল ইসলাম পদত্যাগ করেন। বর্তমান অধ্যক্ষ মোজাহারুল ইসলামসহ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে সহিদুল ইসলামকে জোর করে পদত্যাগ করানোর অভিযোগ ওঠে। সহিদুল ইসলাম কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।

ঢাকা/অমরেশ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ